জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে দুটি জোট হবে। একটিতে সরকারি দল ও তাদের সমর্থকরা থাকবে। অপরটিতে থাকবে বিরোধী জোট। সে জোটের নেতৃত্ব দেবে জাতীয় পার্টি। আমাদের জোটে সমর্থন থাকবে দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) মিরপুরের গোলাপটেক মাঠে দারুস সালাম থানা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশে এখন আর গণতন্ত্রও নেই দাবি করে জিএম কাদের বলেন, আগে দেশের মানুষ এক দিন ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্রের স্বাদ উপভোগ করত। ১৯৯১ সালের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি টাকা এবং পেশিশক্তি ব্যবহার করে গণতন্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। দল দুটি ইচ্ছেমতো সংবিধান কাটাকাটি করে গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছে। তারা সাংবিধানিকভাবেই সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

সাংবিধানিকভাবেই এখন সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে দাবি করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, তিনি যা বলবেন তাই হবে, তার কথার বাইরে কিছুই সম্ভব নয়। তিনি সকল আইন ও জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে। ১৯৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করেছে। তারা দেশকে জবাবদিহিতাহীন দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। বিচারকদের নির্দেশ আর দরকার হয় না। ডিজিটাল সিস্টেমে সব হয়ে যায়। তাই মানুষ আইনের শাসন পুরোপুরি ভোগ করতে পারছে না।

সম্মেলনে মো. আলমাস উদ্দিনকে সভাপতি ও মাসুম পারভেজকে দারুসসালাম থানা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

এএইচআর/এসকেডি