বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের বক্তব্য পাড়া-মহল্লার মাস্তানদের মতো বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির নেতারা। তারা বলেন, এখন আর কেউ সরকারি কর্মকর্তা নেই। সবাই এক ব্যক্তির কর্মচারী হয়ে গেছে। তবে তাদের বেশি দিন নেই।

রোববার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে দলের নেতারা এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন >> তাদের নেত্রী নাকি এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা, হাস্যকর : ডিএমপি কমিশনার

খালেদা জিয়াকে নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে চলছে অরাজক অবস্থা। কোনো সরকারি কর্মকর্তা নেই। সবাই এক ব্যক্তির কর্মচারী। তাদের আসল চরিত্র কখনও কখনও মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে। যিনি খালেদা জিয়াকে নিয়ে কথা বলেছেন, তিনি আগে কখনও এমন কথা বলেননি। এখন সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী স্বরূপে আবির্ভূত হচ্ছেন। 

রাজনীতির চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমাজসেবা উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, যা জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন করে যাচ্ছে। তাদের কর্মকাণ্ড অন্যদেরও উৎসাহ দেয়। করোনাকালে তাদের হোম হেলথ সার্ভিস খুব ভালো সাড়া ফেলেছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে এগোতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দেশপ্রেম নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তবে তার আত্মা সার্থক হবে।

ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য পাড়া-মহল্লার মাস্তানদের মতো বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের কথাবার্তা শুনলেই বোঝা যায় দেশের কী ভয়ংকর অবস্থা। ডিএমপি কমিশনার খালেদা জিয়া সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।

রিজভী আরও বলেন, শুনেছি ডিএমপি কমিশনার এক্সটেনশন হয়েছে। আবার এক্সটেনশন নেওয়ার জন্যই কি শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্যই এ কথাগুলো বলেছেন? আমলাদেরকে বলা হয় একটি রাষ্ট্রের স্টিল ফ্রেম। আর সেই স্টিল ফ্রেম আজকে দেখছি একেবারে গদগদ হয়ে প্রশংসা করছে একটি অবৈধ সরকারের। আর সেটি করতে গিয়ে সভ্যতা, ভব্যতা, সুরুচি সব কিছুকে জলাঞ্জলি দিয়ে বখাটে পাড়া-মহল্লার মাস্তানরা যেভাবে কথা বলে, সেভাবেই পুলিশের একজন বড় কর্মকর্তার মুখ থেকে যদি এমন কথা বের হয় তাহলে এটা কত বড় ন্যক্কারজনক কথা হতে পারে।

এএইচআর/জেডএস