মদের লাইসেন্স বাতিলের দাবি ইসলামী ঐক্যজোটের
মদের লাইসেন্স বাতিলসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। বুধবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
ইসলামী ঐক্যজোটের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে; বাক স্বাধীনতা হরণকারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে; গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল কমাতে হবে ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে; ব্যাংক-বিমা, শেয়ারবাজার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সড়ক, রেল ও আকাশপথের যোগাযোগ খাতের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে; পাট, তাঁত, গার্মেন্টসহ সকল বন্ধ কল-কারখানা খুলে দিতে হবে; প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে; সীমান্ত নির্যাতন হত্যা বন্ধ করা ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে করতে হবে এবং দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাতে তামাশার ভোটে নির্বাচনই জুলুম, দুর্নীতিপূর্ণ দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সকল জনদুর্ভোগের কারণ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল ডেকেছিল, সেই আওয়ামী লীগ ভোটবিহীনভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখার জন্য ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করেছে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কুখ্যাত ৯০বি ধারা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের শর্ত ১২ এর ক ধারার মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রায় দুঃসাধ্য করে তুলেছে। মদের মত জঘন্য পাপের লাইসেন্স সেবার মাধ্যমে জনগণের চরিত্র ধ্বংসের ব্যবস্থা করছে। বাংলাদেশের পাঠ্যক্রম থেকে ধর্ম শিক্ষাকে গুরুত্বহীন করার মাধ্যমে এদেশের মানুষের নৈতিকতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের চেতনাকে বিপন্ন করে তুলছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজার হাজার রাজনীতিবিদ আলেম ওলামাদের সরকার কারাবন্দী করে রেখেছে।
তারা বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সকল জনদুর্ভোগ নিরসন ও ধর্ম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক এবং মদের লাইসেন্স বাতিলসহ সকল জন দাবিতে তুমুল গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান করছি সবাইকে।
ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মওলানা শওকত আমীনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের মহানগর নেতা মাওলানা বরকতুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শামঙ্গল হক, পীরজাদা সৈয়দ মো. আহসান প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি