আ.লীগ বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল দেবে, এখন কত : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, ১০ টাকা কেজি চাল দেবে। আর এখন চালের দাম কত? কোনো হিসাব নাই। প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
রিজভী বলেন, কৃষক যারা ফসল উৎপাদন করেন, তারা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। যারা পণ্য কেনেন তারাও ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারেন না। তাহলে মাঝখানের এই টাকাটা খায় কারা? চাঁদাবাজরা, সিন্ডিকেট ওয়ালারা? এরা কাদের লোক, এরা সরকারের লোক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেদিনই বলবেন উন্নয়ন করেছি, ধরে নিতে হবে পরদিন থেকে চালের দাম বাড়বে, ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে। জনগণ খেলো কি মরল, সেই তোয়াক্কা সরকার করে না।
রিজভী বলেন, এই সেই আওয়ামী লীগ, যাদের আমলে মানুষ না খেয়ে ফুটপাতে কাতরাচ্ছে। ১৯৭৪ সালের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। মানুষের জীবন-মৃত্যু রাস্তায় লুটোপুটি করছিল, আর এ প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেই সোনার মুকুট পড়ে তার ভাইদের বিয়ে হয়েছিল। এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। এরা চালের দাম বাড়াবে, ডালের দাম বাড়াবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজদের কারণেই প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তিনি যাতে এ সরকারের অনাচার দুর্নীতি এবং অক্ষমতার বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করতে না পারেন, সেজন্যই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু জনগণ পরিবর্তন চায়। জনগণ এ নির্যাতন, অপশাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কষ্ট থেকে মুক্তি চায়। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারা তাদের মা, তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে পাশে চায়।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরজাহান ইয়াসমিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নায়েবা ইউসুফ, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা রুনা প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কদম ফোয়ারার দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ বাধা দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেয়। পরে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে মিছিল শেষ হয়।
এএজে/আরএইচ