ব্যবসায়ীদের পণ্যের দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে বিএনপি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে খাদ্যপণ্যের কোনো সঙ্কট নেই, যারা কৃত্রিমভাবে খাদ্য পণ্যের সঙ্কট তৈরি করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনাসিয়াম মাঠে বইমেলার সমাপনী, মহান একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি মাঠে কর্মসূচি দিয়েছে দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে, আর অসাধু ব্যবসায়ীদের তারা বাতাস দিচ্ছে যাতে করে পণ্যের মূল্যটা বাড়ায়। দেশে যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, যে সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যমূল্য বাড়িয়ে যেমন দেশবিরোধী কাজ করছে, একইসঙ্গে বিএনপিও দেশবিরোধী কাজ করছে। বিএনপি আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিচ্ছে পণ্যের মূল্য বাড়ানোর জন্য। আমরা নজর রাখছি। সরকার কিন্তু এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে আমরা দেখতে পাই সেখানে কোনো অনুষ্ঠান কিংবা পূজা-পার্বণের আগে পণ্যের মূল্য কমিয়ে দেওয়া হয়। রমজান, ঈদ-পূজা-পার্বণ এলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা দেখা যায় পণ্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করে। এটা প্রচণ্ড অসততা এবং জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। যারা এগুলো করবে তারা জনবিরোধী কাজ করবে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। নয়া পল্টনের অফিসে বসে গত ১৩ বছর ধরেই আমাদের বিদায় ঘণ্টা বাজাচ্ছেন তারা। কিন্তু তাদের ঘণ্টায় মানুষ সাড়া দেয় নাই। ১৩ বছর ধরেই এই বিদায় ঘণ্টার মধ্যেই আছি আমরা। আরও কত বছর তাদের এই বিদায় ঘণ্টা বাজাতে হয় সেটি জনগণ ঠিক করবে। তাদের ঘণ্টা বাজানোর মধ্যেই আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। যারা বিভ্রান্তির চেষ্টা চালায়, তাদের চিহ্নিত করুন, তাদের বর্জন করুন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ১৯ দিনব্যাপী বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. মুমিনুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বইমেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু।
অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকের পৃথিবীর বাস্তবতায় মানুষের বই পড়ার অভ্যাস অনেক কমে গেছে। এখন মানুষ আগের মত বই পড়ে না। এর একটি কারণ হচ্ছে, মানুষের অবসর কমে গেছে। মানুষের বই পড়ার জন্য সময়টুকু এখন আগের মত আর নাই। কারণ মানুষ শুধু ছুটছে, মানুষ অর্থের পেছনে ছুটছে আবার অনেকে জীবনযুদ্ধে ছুটছে, মানুষ চিরন্তন ছুটে চলছে।
তিনি বলেন, আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। মানুষ যে অবসর সময়টুকু পায় এখন সেই অবসর সময়টুকু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু একটি বই মানুষের জীবনে কি পরিবর্তন আনতে পারে এবং মানুষের মননশীলতা বিকাশের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের সুকোমল বৃৃত্তিগুলো বিকশিত করার ক্ষেত্রে, কিংবা জীবনকে পাল্টে দেওয়ার ক্ষেত্রেও একটি বই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা একইসঙ্গে সঠিক বই পড়তে দেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেএম/এসএম