বিএনপি অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়
তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মন্ত্রী পদমর্যাদায় আসীন। প্রেস কনফারেন্সে মিডিয়া ডেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিলেন। বিএনপি সেদিন তাকে বাহবা দিয়েছিলো। এরকম বক্তব্য তিনি বহুবার দিয়েছেন। তখন নারীবাদীরা ঘুমিয়েছিল।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম জিয়ার সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যরা সংসদ থেকে ওয়াক করেছিলেন। তখন স্বয়ং খালেদা জিয়াসহ বিএনপি জামায়াতের সংসদ সদস্যরা হাততালি দিয়ে পিন্টুকে বাহবা দিচ্ছিলেন। এরপর নারীর অবমাননা হয়েছে বলে কোনো আওয়াজ কোথাও শুনিনি।
ঝিনাইদহ থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান ওই সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম জিয়ার সামনে শেখ হাসিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। দিতে চাইলে এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যাবে। ওইসব জঘন্য বক্তব্যের পরও নারীবাদ জাগ্রত হয়নি।
বিজ্ঞাপন
আর বিএনপি? তারা তো তাদের নেতাদের নোংরা কথা বলতে সব সময় উৎসাহ দিয়েছে। স্বয়ং খালেদা জিয়ার সামনেই তারা বলতেন। আর বেগম জিয়া শাড়ির গোলাপি আঁচল মুখে দিয়ে মিটি মিটি হাসতেন। যদি কারো সন্দেহ থাকে ওই সময়ের সংসদের ভিডিওগুলো দেখলেই সন্দেহ দূর হয়ে যাবে।
সর্বশেষ আলালের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো বিএনপি অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়। তারা সদলবলে আলালের নোংরামির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আর বেগম জিয়ার নাতনি সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করায় শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দিয়েছেন এবং দল থেকে বহিস্কার করেছেন।
আশরাফুল আলম খোকন ।। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব