ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূরণ হলো। এখনো আমরা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহত-আহতদের তালিকা তৈরি করতে পারিনি। তাদের যথাযথ মর্যাদা, চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের কাজও শেষ হয়নি। আহতদের বিক্ষোভের মধ্য দিয়েই আমরা ১০০ দিনে প্রবেশ করলাম।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সাধারণ কোনো সরকার ব্যবস্থা নয়। ইতিপূর্বে আমরা বেশ কয়েকবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেখেছি। যাদের কাজ ছিল নির্দিষ্ট সময়ে সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। কিন্তু বর্তমানে আমরা যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেখছি তা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ নতুন একটি সরকার ব্যবস্থা।

ব্যাপক ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে এক বিশেষ পরিস্থিতিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এ সময় আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়েছিল যে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন আর ফিরে না আসতে পারে তার ব্যবস্থা করা। একই সাথে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া।

কাজেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাথে সাথে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে তা চিহ্নিত করে কাজ শুরু করবে। স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যাতে ফিরে না আসতে পারে তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে শাসকরা সংবিধানের অপব্যবহার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে যেভাবে দলীয়করণ করে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো ভোঁতা করে ফেলেছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় নির্মাণে রূপরেখা তৈরি করবে।

অতীতে দেখা গেছে, একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থা উচ্ছেদ করলেও আবার অন্য একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থা আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে। সাধারণ মানুষ যে উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নিয়ে সরকার পরিবর্তন করে তা আর অর্জিত হয় না।

বিশেষ করে অর্থনীতির ভিত্তিটা কী তার ওপর সরকারের আচরণ অনেকটাই নির্ভর করে। দুর্বৃত্তায়িত অর্থনীতি বিদ্যমান থাকলে তার ওপর দাঁড়িয়ে দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি তৈরি হয়। আর দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতিকে পাহারা দিতে একটি সরকারকে স্বৈরাচারী হতে হয়।

কিছু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থাকে যা সরকারকে স্বৈরাচারী আচরণ করা থেকে বিরত রাখতে ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের কাজকে সীমাবদ্ধ রাখে, সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের নিকট তাদের কর্মের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান যদি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারে তাহলে তারা কিছুটা হলেও জনকল্যাণে অবদান রাখতে পারে। কিন্তু আমরা বিগত দিনগুলোয় দেখেছি, এসব প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের মাধ্যমে অকার্যকর বা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

অতীতে এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের ক্রীড়ানকের ভূমিকা পালন করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে পুনর্গঠন করা যায়, এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ চিন্তকদের সাথে আলোচনা করে সেই অনুযায়ী পথরেখা বা নির্দেশনা তৈরি করা।

২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম স্লোগান ছিল—বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। কাজেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে সমাজের সবস্তরে বিদ্যমান বৈষম্য যথাসম্ভব দূর করা। এ লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়ন করবে এবং সুপারিশ প্রদান করবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই সুপারিশগুলো গ্রহণ করা গেলে, আগামী সরকারকে বা সরকারের বাইরে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীকে ওই সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করাতে প্রচেষ্টা নেওয়া যাবে।

এ বিষয়ে ঐকমত্য থাকলে সাধারণভাবে বলা যাবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সেইসব সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। আর এ কাজ না করলে জনগণই তাদের বিরুদ্ধে ভূমিকা নেবে।

অতীতে দেখা গেছে, একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থা উচ্ছেদ করলেও আবার অন্য একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থা আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে। সাধারণ মানুষ যে উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নিয়ে সরকার পরিবর্তন করে তা আর অর্জিত হয় না।

বর্তমানে আমরা যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেখছি তা বিপ্লবী সরকারও নয় আবার নিয়মিত সরকারও নয়। কাজেই তাদের কার্যক্রমের মধ্যে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই বাস্তবতা বুঝেই বর্তমান সরকারকে তার সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে হবে।

আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরিই ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচন ছিল পুরোপুরি বিতর্কযুক্ত এবং এসব নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। সাধারণ মানুষ ক্রমশ নির্বাচন বিমুখ হয়ে পড়েছে।

কাজেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্যতম প্রধান কাজ হবে সংস্কার করে এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলা যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন আলোচনায় বসেছিল তখন আমরা বলেছি, আপনারা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কী কী উদ্যোগ নিতে চান বা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চান তার একটি সঠিক রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করুন। এ জন্য রাজনীতিবিদ ও সমাজ চিন্তকদের সঙ্গে আলোচনা করুন।

সেই আলোচনার ভিত্তিতে এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলুন যাতে ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হতে না পারে। সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করুন এবং সম্ভব হলে কিছু কিছু সংস্কার কার্যক্রম শুরু করুন। আপনারা পুরো সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন না। সেটা আপনাদের দায়িত্বও নয়।

আপনারা সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করুন। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে সেই সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মূল দায়িত্ব হবে সংস্কারের সূচনা করা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের এই অভিমতের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছে। কিন্তু এই সরকারের একশত দিন পূরণ হলেও এখনো পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরাসরি আলোচনার কোনো উদ্যোগ দেখছি না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কয়েক মাসের কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে আমরা বলতে পারি, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্যের পথে চলার যে আকাঙ্ক্ষা ছিল তা এখনো পূরণ হয়নি। একটি চলমান সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনা।

এর আগে এক দশক ধরে স্বৈরাচারী সরকার দায়িত্ব পালন করেছে তাদের প্রতি সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ ছিল। ছিল অসন্তুষ্ট। আর সে কারণেই তারা সেই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনমনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তেমন একটা সাফল্য প্রদর্শন করতে পারছে না।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। নিত্যপণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় বাড়েনি। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো সাফল্য প্রদর্শন করতে পারছে না। এক্ষেত্রে সরকারের তেমন কোনো দৃঢ় পদক্ষেপও প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে না।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ এসব ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তেমন কোনো প্রত্যাশার আলো দেখাতে পারছে না। অর্থাৎ দুঃখজনক হলেও এটা বলতে হয় যে, এতদিনেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনআকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি। এমনকি এক্ষেত্রে তারা কোনো পথ রেখাও দেখাতে পারছে না।

এতকিছুর পরও আমরা আশা করবো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত এই সরকার গণআকাঙ্ক্ষা পূরণে এগিয়ে যাবে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরুতেই বেশকিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে ঢুকে গেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল ইতিমধ্যেই তাতে ফাটল ধরতে শুরু করেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করতে চাইছে। সংবিধান পুনর্লিখনের কথা বলার মধ্য দিয়ে নানাবিধ বিতর্কের সৃষ্টি করছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের সংবিধান পুনর্লিখন করতে হবে কেন? আমাদের এই সংবিধানে অনেক অসম্পূর্ণতা রয়েছে। এসব কথা আমরা ১৯৭২ সালেই বলেছি। এরপর অনেক সংশোধনী হয়েছে কিন্তু ওই অসম্পূর্ণতা দূর করা যায়নি। তাই সংবিধানের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানের অসম্পূর্ণতা দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বিবেচনা করতে হবে।

আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরিই ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচন ছিল পুরোপুরি বিতর্কযুক্ত এবং এসব নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

কেউ কেউ সংবিধানকে একটি বিশেষ দলের সংবিধান হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। এতে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আসল উদ্দেশ্য বা লক্ষ কী? এমন কিছু বিতর্কিত বিষয়ের ও কার্যক্রমের অবতারণা করা হচ্ছে যাতে মানুষ এই সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে থাকা কেউ যাতে কোনো বিষয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রধান প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ। বিগত সরকার আমলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছিল।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। কথা বলার স্বাধীনতা রুদ্ধ হয়েছিল। সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব স্থাপন করা হয়েছিল। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে একই সঙ্গে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয়েছে বাস্তবায়নে নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে, যে স্বৈরাচারকে আমরা বিদায় করলাম এই স্বৈরাচার কিন্তু শুধু ব্যক্তি মাত্র নয়। স্বৈরাচার একটি ব্যবস্থা। তারা সেই ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করবে। দীর্ঘদিন সমাজে ভয়ের রাজত্ব স্থাপন করার কারণে অগণতান্ত্রিক এবং অপশক্তি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। আগামীতে যাতে এই অপশক্তি আরও বেশি মাত্রায় জাগ্রত হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে না পারি, সরকার যদি দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারে তাহলে সাম্রাজ্যবাদী-অধিপত্যবাদী বিদেশি শক্তি আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আমাদের সদা সতর্ক থেকে দেশবাসীকে সাথে নিয়েই গণ অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স ।। সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
hossainprince@yahoo.com