পানি হলো হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌগ যা জীবকোষের জন্য অপরিহার্য। এজন্য মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার আগে প্রথমে সেই জায়গায় পানির অস্তিত্ব খোঁজেন। মনে করা হয় যে, যদি পানি না থাকে, তাহলে সেইখানে প্রাণের অস্তিত্ব অসম্ভব।

পানি একটি সর্বজনীন দ্রাবক এবং প্রাণীর জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য রক্ত এবং পাচক রসের মতো জলীয় দ্রবণের ওপর নির্ভরশীল। পানি আমাদের শরীরের জৈবিক প্রক্রিয়াসহ স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রস্রাব, ঘাম এবং মলত্যাগের মাধ্যমে শরীরের বর্জ্য নির্গমনে সাহায্য করে। শরীরকে সচল রাখার জন্য খাদ্য তালিকায় প্রচুর পানির দরকার।

পানি রক্তে ও কোষে অক্সিজেন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। দেহে পানির অভাব ঘটলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনির সমস্যাসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। পুষ্টিবিদ মার্গারেট ম্যাকউইলিয়ামস এবং ফ্রেডেরিক স্টেয়ারের মতে, প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করে। এর মধ্যে ফল এবং সবজিতে থাকা পানি, ক্যাফেইন এবং কোমল পানীয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

সার্বিক বিবেচনায় পানি মানবজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপহার বা সম্পদ। গৃহস্থালি, পরিবহন, কৃষি, শিল্প, বিনোদন এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারসহ অনেক দৈনন্দিন ব্যবহার রয়েছে এই অমূল্য সম্পদের। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় এই অমূল্য সম্পদ নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পানি দূষণ একটি বড় সমস্যা। প্রকট হচ্ছে সুপেয় পানির সমস্যা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৭ সালে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, অনিরাপদ পানি সরবরাহের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে ৪ বিলিয়ন মানুষ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং ১.৮ বিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এটি অশনি সংকেত, যা নিয়ে আমাদের এখনই ভাবতে হবে।

অনেকেই মনে করেন, পানি নিয়ে হয়তো তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হতে পারে। পানি দূষণ বিভিন্ন ধরনের অজৈব ও জৈবযৌগ এবং অণুজীবের কারণে হতে পারে। কিছু পর্যবেক্ষক অনুমান করেছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা পানিজনিত রোগের সম্মুখীন হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৭ সালে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, অনিরাপদ পানি সরবরাহের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে ৪ বিলিয়ন মানুষ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং ১.৮ বিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এটি অশনি সংকেত, যা নিয়ে আমাদের এখনই ভাবতে হবে।

পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রায় ৭১ ভাগ পানি হলেও সুপেয় পানির পরিমাণ খুবই কম। আমরা সমুদ্রের পানিতে মনের আনন্দে অবগাহন করলেও সেই পানির এক ফোঁটাও পান করতে পারি না। নদীবিধৌত বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটা সেই অবস্থায় পৌঁছেছে। ঢাকা শহর ঘিরে যে কয়েকটি নদী রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ এবং বালু নদী। এই জীবন্ত নদীগুলো আমরা জেনেশুনে মেরে ফেলেছি।

পরিবেশ বাঁচাও (পবা) আন্দোলনের একটি বিশেষজ্ঞ দল ২০১৬ সালে ৪টি নদীর দূষণ পর্যবেক্ষণে দেখিয়েছে যে, অধিকাংশ স্থানের পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা শূন্যের কোঠায়। যেটি ভালো বার্তা বহন করে না। এর মূল কারণ হলো এসব নদীর তীরে গড়ে উঠেছে চামড়া এবং টেক্সটাইলসহ নানা ধরনের শিল্প কলকারখানা। এই কারখানা থেকে প্রতিনিয়ত অবাধে বর্জ্য পানি সরাসরি নদীতে পড়ছে।

বর্তমান সরকার এর গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রতিটি শিল্পকারখানায় বাধ্যতামূলক বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা বা ইটিপি রাখার প্রস্তাব করেছে বলে জেনেছি। তবে কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে তা বিবেচ্য। একই সাথে ঢাকা শহরের গৃহস্থালি থেকে নির্গত বর্জ্য পানি শোধনের জন্য নেই পর্যাপ্ত গৃহস্থালি বর্জ্য পানি শোধনাগার।

শিল্প কারখানার সাথে গৃহস্থালি থেকে নির্গত বর্জ্য পানি নদী এবং উন্মুক্ত জলাশয়কে দূষিত করছে। ফলে নদীর পানি আর নদীর পানিতে নেই, পরিণত হয়েছে বর্জ্য পানির বড় আকারের নর্দমায়। দেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। শুধু উন্নয়ন ঘটেনি নদীর পানি দূষণের ক্ষেত্রে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে এটি কোনোভাবেই ধনাত্মক ইঙ্গিত বহন করে না। টলটলে নদীর পানি দেখলে মন ভালো হয়। তাইতো শরীর ও মন ভালো রাখতে মানুষ অবসরে নদীর তীরে বা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যায়।

পানি দূষণ হলে কী হয়? এটি নিয়ে কেন এত হইচই? তা নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করা যাক। গৃহস্থালি, শিল্পকারকাখানা এবং খেতখামার থেকে নির্গত বর্জ্য পানিতে নানা ধরনের দূষক পদার্থ থাকে। এই দূষক পদার্থের পরিমাণ এবং ঘনত্ব তাদের উৎসের ওপর নির্ভর করে। দূষক পদার্থকে সাধারণত ভৌত, রাসায়নিক এবং জৈব পদার্থ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।

পানি দূষণকারী পদার্থের মধ্যে রয়েছে জটিল জৈব পদার্থ, নাইট্রোজেন, ফসফরাস সমৃদ্ধ যৌগ এবং নানা ধরনের রোগজীবাণু (ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং প্রোটোজোয়া)। এইসব দূষকের সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে মানবসৃষ্ট কৃত্রিম জৈব রাসায়নিক বা জেনোবায়োটিক যৌগ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের টেক্সটাইল রঞ্জক পদার্থের মধ্যে অন্যতম হলো মারাত্মক অ্যাজো ডাই। এছাড়াও রয়েছে অজৈব রাসায়নিক ও মাইক্রোপ্লাস্টিক জাতীয় মারাত্মক দূষক পদার্থ। পানি দূষণকারী একটি নির্দিষ্ট উৎস বা বিচ্ছুরিত উৎস থেকে উদ্ভূত হতে পারে। বিন্দু উৎস দূষণকারী এমন একটি যা একক পাইপলাইন বা চ্যানেল থেকে সহজেই নিকটবর্তী জলাশয়ে পৌঁছাতে পারে। যেমন নির্দিষ্ট শিল্পকারখানা থেকে একটি নিষ্কাশন বা আউটফল পাইপের মাধ্যমে এটি ঘটতে পারে।

অন্যদিকে বিচ্ছুরিত উৎস হলো বিস্তৃত, অবাধ এলাকা যেখান থেকে দূষক পদার্থ নানাভাবে জলাশয়ে প্রবেশ করতে পারে। যেমন, খামার থেকে পশুর বর্জ্য, সার, কীটনাশক বিভিন্নভাবে উন্মুক্ত জলাশয়ে মিশে পানিকে দূষিত করে। বৃষ্টিপাত এবং বন্যার মাধ্যমে ফসলের খেত থেকে খুব সহজেই অব্যবহৃত সার, কীটনাশক বা বালাইনাশক নদীর পানিতে মিশে নদীর পানি দূষিত হতে পারে।

নির্দিষ্ট উৎস দূষণকারী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দূষণকারীদের তুলনায় নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। কারণ এটি একটি একক স্থানে প্রবাহিত হয়। শোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। অপরদিকে বিচ্ছুরিত উৎস থেকে দূষণের নিয়ন্ত্রণ সাধারণত সম্ভব হয় না বিধায় এটি সামগ্রিক পানি দূষণ সমস্যার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

শিল্প ও কৃষি কার্যক্রম বৃদ্ধির ফলে প্রায় সব এশিয়ান উন্নয়নশীল দেশসহ বাংলাদেশের জন্য পানি দূষণ এটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান উপলব্ধি এবং দৃষ্টিভঙ্গি আমূল পরিবর্তন না হলে এটি ভবিষ্যতের একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে ক্ষতিকর বালাইনাশক ‘ডিডিটি (DDT)’-এর একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব যেটি ‘বায়োম্যাগনিফিকেশন’ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারি। 

খেতখামার থেকে বালাইনাশক ডিডিটি বৃষ্টি বা বন্যার পানির মাধ্যমে খুবই অল্প মাত্রায় নদীর পানিতে মিশে যেতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে যে ঘনত্বকে আমরা গুরুত্ব নাও দিতে পারি। এটি যদি শুধুমাত্র পানিতেই সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে কোনো কথা ছিল না। এটি যখন পানির খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করবে তখনই সমস্যার শুরু।

ধরা যাক, পানিতে শুরুতে এর ঘনত্ব ছিল ০.০০০০০৩ পিপিএম। এই নগণ্য ঘনত্ব বায়োম্যাগনিফিকেশন বা বিবর্ধনের মাধ্যমে খাদ্য শৃঙ্খলের প্রথম স্তর থেকে শেষ স্তরে কতগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে দেখা যেতে পারে। পানিতে বায়োম্যাগনিফিকেশনের ধাপগুলো হলো পানি-জ্যুপ্ল্যাংকটন-মাছ-পাখি। পানিতে ডিডিটি-এর ঘনত্ব ছিল ০.০০০০০৩ পিপিএম। এই নগণ্য পরিমাণ ডিডিটি ১০ বিলিয়ন গুণ বিবর্ধিত হয়ে মাছ শিকারি পাখির শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা হলো ২৫ পিপিএম।

চোখ বন্ধ করে বিষয়টি ভাবুনতো, কেন এমনটি হলো? ডিডিটি একটি লিপিড পছন্দকারী স্থায়ী দূষক যৌগ। প্রকৃতিতে এর বায়ো-ডিগ্রেডেশন বা জৈব-অবক্ষয় ঘটতে দীর্ঘ সময় লাগে। লিপিড পছন্দকারী পদার্থ হওয়ায় এটি প্রাণীর দেহে লিপিডের সাথে আঠার মতো লেগে থেকে এর ঘনত্ব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাদ্য শৃঙ্খলের যত উপরের স্তরে যেতে থাকবে ততই এটির ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।

কাগজে কলমে আমরা সবাই পানি দূষণের বিরুদ্ধে। তারপরও পানি দূষিত হচ্ছে! তাই প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আমাদেরই ভাবতে হবে। এই মুহূর্তে পানি দূষণ রোধে যে উপায়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে তা হলো—বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা কারিকুলামে পানি দূষণের প্রভাব ও পরিণতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আলোকিত করা

ডিডিটি দূষিত পানির মাছ যদি আমরাও খাই তাহলে আমাদের শরীরেও একইভাবে তা বিবর্ধিত হতে থাকবে। সেইখানেই আমাদের মাথা ব্যথার কারণ। আমরা নদী-নালা, খাল-বিল প্রভৃতি মুক্ত জলাশয়ের মাছ খেয়ে থাকি। মুক্ত জলাশয়ের পাশেই আমদের কৃষি জমি। আমরা কৃষিতে যে পেস্টিসাইড বা বালাইনাশক ব্যবহার করি তা পাশের মুক্ত জলাশয়কে দূষিত করে ফেলে। আমাদের প্রিয় কৃষক বন্ধুদের বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্বন্ধে তেমন কোনো ধারণা নেই।

কৃষির গুরুত্ব বিবেচনায় ঠিক এই মুহূর্তে পেস্টিসাইড ব্যবহার নিষিদ্ধ করা না গেলেও প্রান্তিক কৃষকেরা যেন মাত্রাতিরিক্ত পেস্টিসাইড ব্যবহার না করেন সেইদিকে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত রোগীর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হতে পারে এই বিষযুক্ত খাদ্যগ্রহণের প্রভাব।

হাজারীবাগ ট্যানারি থেকে নির্গত বর্জ্য পানি থেকে যে পরিমাণ ক্ষতিকর ভারি ধাতু ‘ক্রোমিয়াম’ বুড়িগঙ্গার পানিতে মিশেছে তার হিসাব দেওয়া কঠিন হলেও এটা অনুমেয় যে তার অনেকটাই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পানির খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়েছে।

একইভাবে টেক্সটাইল শিল্প কারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত রঞ্জক পদার্থ তুরাগ নদীর পানিতে মিশেছে এবং খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ঢুকেছে। এই বিবেচনায় এটা বলা যায় যে, টেক্সটাইল এবং ট্যানারি শিল্প মালিকেরা যেমন আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে ঠিক তেমনই আমাদের মৃত্যু ঝুঁকির চাকাকেও সমানভাবে সচল রেখেছে। তাই এটি নিয়ে নিশ্চয়ই ভাবতে হবে।

উপসংহারে এটা বলতে চাই যে, কাগজে কলমে আমরা সবাই পানি দূষণের বিরুদ্ধে। তারপরও পানি দূষিত হচ্ছে! তাই প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আমাদেরই ভাবতে হবে। এই মুহূর্তে পানি দূষণ রোধে যে উপায়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে তা হলো—বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা কারিকুলামে পানি দূষণের প্রভাব ও পরিণতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আলোকিত করা; প্রিন্টিং এবং ইলেকট্রনিক প্রচার মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে পানি দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক প্রচার ব্যবস্থা করা; গৃহস্থালি বা শিল্পকারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য পানি শোধনের জন্য পরিবেশবান্ধব ইটিপি বা বর্জ্য পানি শোধনাগারের ব্যবস্থা করা।

পাশাপাশি কঠোর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা। একবিংশ শতাব্দীর পানি দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিবেশবান্ধব শিল্পকারখানা স্থাপনে প্রণোদনার ব্যবস্থার প্রস্তাব রাখছি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারসহ সবার এগিয়ে আসতে হবে। আমরা পারি, আমরা পারব। দৃঢ়ভাবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। পানির অপচয় রোধ করুন।

ড. মিহির লাল সাহা ।। অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়