ছবি : সংগৃহীত

৩ জানুয়ারি আমি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। যোগদানের আগে একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানে রিসার্চ অফিসার হিসেবে কাজ করেছি। তার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও শাবিপ্রবিসহ আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছি প্রায় সাড়ে তিন বছরের মতো।

ডিসেম্বর মাসে চাকরি ছেড়ে আসার সময়ে লোকমুখে শুনেছিলাম যে জানুয়ারি বা খুব শিগগিরই আমার পদোন্নতি হতে যাচ্ছে। ভ্যাট-ট্যাক্স ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাবাদি স্যালারি হওয়ার কথা ছিল ৭৫ হাজার টাকার উপরে (বেসিক)। ১০ বছর ধরেই শিক্ষকতায় আসতে চাওয়া আমি যখনই শাবিপ্রবিতে প্রভাষক হিসেবে ডাক পায়, তখন সে চাকরি ছেড়ে আসতে দ্বিতীয়বার ভাবিনি।

তিন বছরে যদি আগের কর্মস্থলে আর কোনো পদোন্নতি নাও হতো, তাহলেও আমি তিন বছরে পেতাম— ২৯ লাখের কাছাকাছি। যেখানে, প্রভাষক হিসেবে তিন বছরে আমি পাবো ৮ লাখের মতো (বেসিকের হিসেব অনুযায়ী)। এমন আরও অনেক অনেক প্রভাষক আছেন যারা লাখখানেক টাকার চাকরি ছেড়ে এ পেশায় এসেছেন, যারা এটাও জানেন যে প্রভাষক পদ থেকে তাদের পদোন্নতি হতে প্রায় তিন বছর সময় লেগে যাবে।

এরপরেও যা ছেড়ে এসেছেন, সে সুযোগ-সুবিধার ধারে কাছে যাবেন না। তারা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? নিশ্চিত চাকরির জন্য বা সেসব প্রতিযোগিতা নির্ভর চাকরিতে প্রতিযোগিতা করতে পারবেন না, এ ভয়ে? কখনোই না! শিক্ষকতার মতো পেশায় আসতে চেয়েছেন দেশের আগামী প্রজন্মকে গড়ার মহান প্রত্যয়ে! সে প্রত্যয় যে যোগদানের পর এমন স্কিম হয়ে দেখা দেবে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষাব্যবস্থায় এত বড় ভূমিকা ফেলবে—যা তাদের জানা ছিল না।

শিক্ষকদের এ আন্দোলন যে কারণে জরুরি : পক্ষ-বিপক্ষ ও আমাদের তর্ক সংস্কৃতি

শিক্ষকদের তিন দাবির এ আন্দোলনকে অযৌক্তিক ভাবার কোনো কারণ নেই। যারা অযৌক্তিক ভাবছেন, তাদের কিছু যুক্তির মাঝে আছে—

১। শিক্ষকতা মহান পেশা, উনাদের নির্মোহ হওয়া উচিত;

২। র‍্যাঙ্কিং-এ বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে আছে;

৩। গবেষণায় শিক্ষকদের অবদান আশাব্যঞ্জক নয়;

৪। নিয়োগজনিত ইস্যু।

কেন একজন শিক্ষক নির্মোহ হবেন? শিক্ষকদের কী কোনো শপথ বাক্য পাঠ করানো হয় নিয়োগের সময়? নাকি তার মা-বাবা বা

স্ত্রী-সন্তান নেই? আর নির্মোহ কথার মানে কী? মোহ বলতে কী বোঝাতে চান? ব্যাখ্যা পরিষ্কার না।

একজন শিক্ষকের আর্থিক সক্ষমতা না থাকলে কী তিনি নিজের সংসার টানবেন, মা-বাবাকে বৃদ্ধ বয়সে সাহায্য করবেন, নাকি ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন বা গবেষণা করবেন?

গবেষণায়, বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞানের বিষয়গুলোয়, গবেষণার মূল জায়গায় থাকে সামাজিক সমস্যাগুলো। আর এখানে তিনি নিজেই সামাজিক বা আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত! আমি অন্যের ঘটনা না এনে নিজের ঘটনা বলি- প্রভাষক হিসেবে বিয়ের পর আমি ও আমার স্ত্রী থাকি একটা বাসা ভাড়া নিয়ে। শিক্ষক কোয়ার্টারে জায়গা নেই।

মাস প্রতি বাসা ভাড়া ১২ হাজার টাকা, গ্যাস সিলিন্ডারের খরচ ১৫০০ টাকা, ইলেকট্রিসিটি বিল ও সার্ভিস চার্জ গড়ে ১০০০ টাকা, ওয়াই-ফাই বিল ৫০০ টাকা, বাইকের তেল ২৫০০ টাকা, বাজার ৯ হাজার টাকা। সাড়ে ২৬ হাজার খরচ হয়ে যাওয়ার পর যা বাকি থাকে, তা দিয়ে যাতায়াত ভাড়া, মেডিকেল ইস্যু ও সামাজিকতা রক্ষার নানান প্রোগ্রামে চলে যায়।

ধরেন তো, যে প্রভাষকের পরিবার তার দিকে তাকিয়ে আছে; খুব স্বাভাবিক না? যে প্রভাষকের মা অসুস্থ? কিংবা, যে প্রভাষকের তার ভাইবোনের পড়ালেখার খরচ দিতে হয়? তিনি কীভাবে নির্মোহ থেকে শিক্ষার্থী পড়াবেন বা গবেষণার জন্যে মাথা খাটাবেন? তাই এক মনীষীর সাথে তাল মিলিয়ে বলতে ইচ্ছা করে—খালি পেটে দার্শনিক হওয়া যায় না।

এমন পরিস্থিতি উপরের পদের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য—কারণ, সময়ের সাথে সাথে তখন সন্তানদের বড় করা, পড়ালেখা করানোসহ আরও দায়িত্ব বাড়তে থাকে। দুই রুমের বাসা নিয়েও তখন আর থাকা সম্ভব হয় না! তাহলে কি তাদের ঋণ করে চলতে হবে না?

২০১৫ সালে বেতন স্কেল অনুযায়ী চলা বর্তমান প্রভাষকেরা এখন যে বাসা ১২ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া নিয়ে থাকছেন, সে সময়ে এ বাসার ভাড়া ৮ হাজারের বেশি ছিল না অবশ্যই। বাকি বাজার, গাড়ির তেল বা অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা আর নাইবা বললাম। কীভাবে অযৌক্তিক বলা যায় এ আন্দোলন?

শিক্ষকদের অতীত ও বর্তমান দায়:

জাতির কারিগর হিসেবে একজন শিক্ষকের বা সামষ্টিকভাবে শিক্ষকদের দায় অনেক। একটা ছোট উদাহরণ দেই। আমি প্রায় সময়েই আমার জুনিয়র বা শিক্ষার্থীদের বলে থাকি যে, পৃথিবীতে প্রায় সমস্যারই কোনো না কোনো সমাধান আবিষ্কার হয়ে আছে। যেমন, অস্ট্রেলিয়ায় পলিথিনের ব্যবহার হয় রাস্তার পিচের গালাতে; এতে করে রাস্তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

কোভিডের অলস সময়ে একটা বই লেখারও পরিকল্পনা করেছিলাম—যার মূল আর্গুমেন্ট হচ্ছে আমাদের একবিংশ শতাব্দীতে এখন প্রয়োজন দুই দিকে কাজ করার—এক, নতুন আবিষ্কারের দিকে আগানো; দুই, ইতিমধ্যে আবিষ্কৃত থিওরি বা সলিউশান সমাজের উঁচু থেকে নিচুর দিকে ছড়িয়ে দেওয়া।

অন্যথায়, বাংলাদেশ থেকে যেমন ২০০ বছর শোষণকারী ব্রিটিশরা যেভাবে কমপক্ষে ১০০ বছর এগিয়ে আছে; একইভাবে পিছিয়ে রাখা বা মার্জিনালাইজড লোকজন বা আমজনতা একই দেশে পিছিয়ে থাকবে। ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিতে কথা বলার, কোনো প্রেক্ষাপটকে বোঝার বা দেখার মাঝে বিস্তর পার্থক্য থাকবে। যাই হোক, শিক্ষকদের দাবিদাওয়া বা চাহিদা নিয়ে সে ইতিমধ্যে আবিষ্কৃত সমাধান আমাদের পাশের দেশগুলো থেকেই আমরা দেখতে পাই। সমাধান আছে আশেপাশেই।

বহুল শ্রুত শিক্ষকদের দায় হলো—দেশের নানান বিষয়ে কথা বলা, সমাধানের পথ বাতলে দেওয়া, চুলচেরা ব্যাখ্যা প্রদান করা। আমি ধরলাম যে, এটা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক করলেন। এভাবেই কি তাহলে প্রত্যেকটা বিষয়ে কাজ হবে দেশের? কেন? এমনটা কি হতে পারে না যেকোনো বিষয়ে যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কত কত সাবজেক্ট বা বিভাগ আছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়।

জুনিয়রদের প্রয়োজন নেই, পিএইচডি করা স্পেশালাইজড এক্সপার্ট শিক্ষকদের নিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না? শিক্ষকরা কেন তাদের নিয়মিত কাজ ফেলে সমাজের নানান সমস্যা নিয়ে র‌্যান্ডম লিখবেন? আর, সে সব লেখার ফর্মাল কি কোনো ফলাফল থাকে? কয়টা লেখার এমন ফলাফল আমরা এখনো পর্যন্ত দেখতে পাই? আমার জানা নেই।

এখানে আমার অজ্ঞতা আছে। তাও ধরে নিলাম যে লেখালেখি হলো! এখানে ডিসিশন-মেকার কে? এই যে এত এত গবেষণাপত্র পলিসি রেকমেন্ডেশনের কথা লেখা হয়, এর কয়টা অ্যাড্রেস করা হয়েছে? কেন হয়নি? তবে আমরা কী শুধু দেখানোর জন্য বা সংখ্যার খেলার গবেষণা করি নাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে?

আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় দায়-শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বোঝা ও শিক্ষাব্যবস্থার ভিত মজবুতকরণে সর্বোচ্চ নজর রাখা। এ নজরে প্রাইমারি শিক্ষা কারিকুলাম, শিক্ষকদের ট্রেনিং ও সুযোগ-সুবিধা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম, শিক্ষকদের ট্রেনিং ও সুযোগ-সুবিধা সবকিছু আসা উচিত।

কেননা, আপনি কীভাবে আশা করেন যে প্রাইমারি, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো শিক্ষাব্যবস্থা বা শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা না থাকলে, আপনারা মেধাবী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবেন? এখানেও ধরলাম যে সবাই কথা বললেন-কিন্তু, ডিসিশন মেকার কে?

কোটা আন্দোলন নিয়ে শিক্ষকদেরও ভাবনার জায়গা আছে। কোটা সংস্কার করা জরুরি, ভীষণ জরুরি। পাশাপাশি অনগ্রসর বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের প্রতি নজর রাখা উচিত। হলিস্টিক্যালি না দেখে অযৌক্তিক সংগ্রামের পক্ষপাতী আমি না। আমি গবেষণার সময়ে মাঠকর্মে নানান জনগোষ্ঠীদের দেখেছি যে তারা কীভাবে ও কেমন সংগ্রাম করে পড়ালেখা করছেন।

এখনো অনেক এলাকায় স্কুল কলেজের ঘাটতি আছে। তাদের সুযোগ না দিলেই নয়, যারা এতটা দূর পর্যন্ত পড়ালেখা করে এসেছেন। তবে, আমার পক্ষ থেকে নতুন আলাপ এই যে তাদের মাঝেও যারা এখন এগিয়ে এসেছেন, সেখান থেকে কোটা কমিয়ে আনা। এমন তো হতে পারে না, তাই না? যে একবার কোনো একটি নিয়ম শুরু হয়েছে তাই, মৃত্যু পর্যন্ত তেমনই চলতে থাকবে। তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ জরিপ বা গবেষণা প্রয়োজন।

আরও একটা কথা উঠেছে—বিশ্ববিদ্যালয় কোনো প্রোডাক্টিভ বা আয়মূলক কাজ করছে না। আয়-উপার্জন করে দিচ্ছে না সরকারকে। এ জন্য আনফান্ডেড-এ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পেনশন পেতে গেলে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখা হবে। এ কথাটির সাথে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করি আমি। কেননা, অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে এ তুলনা চলেই না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার কারণ ও এর নির্ধারিত কাজ সম্পর্কে ভুলে গেলে চলবে না। এ নিয়ে এক-দুই বাক্য লেখার মতোও কিছু নেই। তবে, এরপরেও আরেকটি প্রস্তাব দিতে চাই—বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন রিসার্চ সেন্টার আছে, তেমনি করে ইনোভেশন সেন্টার চালু করা হোক—এটা একান্ত ব্যক্তিগত মতামত।

কী কী আমাদের সমস্যা আছে, সেসব নিয়ে সার্কুলার দিন, ফান্ডের ব্যবস্থা করুন। শিক্ষক শিক্ষার্থী মিলে সে সমাধান খুঁজে বের করুক তাদের একাডেমিক এক্সপার্টাইজ দিয়ে। দেশের সেরারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী হিসেবে যেহেতু এসে থাকেন, তাদের পড়ালেখার পাশাপাশি দেশের জন্যে কিছু করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি।

এতে করে শিক্ষার্থীদের সংযুক্তি বাড়বে। বাস্তব জ্ঞানের চর্চা বাড়বে। শুধু পাবলিক কেন, বেসরকারি বা আরও যেসব সরকারি কলেজে ডিগ্রি প্রদান করা হয়, সেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে এ বিষয়গুলো ভাবা উচিত। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে যখন কোনো চাকরি বা সার্ভিসে যাবে, তখন এসব ব্যাপারে বাস্তব জ্ঞান নিয়ে তারা চাকরিতে যোগদান করবেন। দেশের উন্নতি হবে।

সিদ্ধান্ত গ্রহীতাদের বলছি:

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই আন্দোলনে—এটা সুন্দর দেখায় না। সাধারণ মানুষ ও ভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে এটা কোনো ভালো বার্তা দেয় না। এটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়, সহজ কথা না। আপনারা দাবিগুলো মেনে নিন।

দেশের নানান বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন যারাই নিয়োগপ্রাপ্ত, যাদের সাথেই কথা হয়—বেশিরভাগই দেশে থাকতে চান না। বাইরে গিয়ে উনারা কী করবেন? বেশিরভাগ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স/পিএইচডি করে শিক্ষকতা করবেন হয়তো, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং বাড়বে, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান দেশের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। শুধু মেধাবীদের সেবা পাবে না এ দেশের শিক্ষার্থীরা। সে দায় কার?

সবশেষে বলতে চাই—কে নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন হয়ে থাকতে চায়? কেউই না। মাইগ্রেশন নিয়ে যারা পড়ালেখা করেন, তারা খুব ভালোভাবে এ ব্যাখ্যা দেন যে দুইটি ফ্যাক্টর এর পেছনে কাজ করে—এক, পুল ফ্যাক্টর; দুই, পুশ ফ্যাক্টর। আমাদের দেশের শিক্ষকরা এ দুই কারণেই দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছেন। তাদের ধরে রাখেন, সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করুন।

এ দাবি মেনে নেওয়ার পর এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। না হয় আগামী কয়েক বছর পরে যে আবারও এমন দিন আসবে না এটা বলা যায় কী? আমার এক সিনিয়র কলিগ ঢাকার জ্যামে বসে একবার বলেছিলেন—উন্নয়ন সেটা না যা এখন দরকার আর এখনই সমাধান করলাম। উন্নয়ন হওয়া উচিত অদূর ভবিষ্যতে আমরা যেদিকে ধাবিত হচ্ছি বা সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আসছে, সেসব আমলে নিয়ে বর্তমানে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করা।

আমাদের দেশ সেবা করার সুযোগ দিন। আমরা দেশকে ভালোবাসি, ভীষণভাবে ভালোবাসি। না হয়, দেশভাগ হয়ে যাবে। সীমানায় নয়—মানুষে মানুষে।

মো. আশরাফুল হক ।। প্রভাষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়