ছবি : সংগৃহীত

১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মের পেছনে সন্তান জন্মদানের প্রসব বেদনার মতো আন্দোলন, সংগ্রাম, দাবি, দাবির বিরোধিতা ইত্যাদি অনেক কিছু ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি রমেশ চন্দ্র মজুমদার তার ‘জীবনের স্মৃতিদ্বীপে’ বইতে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। যা জানলে বিশ্ববিদ্যালয় মানে এবং অধ্যাপক পদের গুরুত্ব বুঝতে সুবিধা হবে।

বইতে তিনি লিখেছেন, একদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন জাঁদরেল ভাইস চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখার্জি বড় লাটের কাছ থেকে জরুরি মার্কা দেওয়া একটি চিঠি পেলেন। চিঠিতে বড় লাটের প্রাইভেট সেক্রেটারি লিখেছেন হাইকোর্ট থেকে ফেরার পথে তিনি যেন বড় লাটের সাথে দেখা করে যান। চিঠিতে যেই সময় লেখা ছিল সেই সময়মতোই আশুতোষ মুখার্জি সেখানে যান।

যাওয়া মাত্রই প্রাইভেট সেক্রেটারি সোজা একেবারে বড় লাটের কামড়ায় নিয়ে যান। বড় লাট ঘরে ঢুকে দুয়েক কথার কুশলাদি শেষেই বললেন, ‘দেখো এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তোমরা অযথা উত্তেজনা সৃষ্টি করছ। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করবোই। কিন্তু আমি গোলমাল ভালোবাসি না। এই বিরোধীদলের মধ্যে যে তুমি একজন তা আমি জানি এবং তোমার প্রতিবাদকে আমি ভয় করি। তুমিতো জান আমি কূটনীতির ছাত্র। কাজ কীভাবে করিয়ে নিতে হয় আমি জানি। তোমাকে সোজাসুজি জিজ্ঞেস করি তুমি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কী পেলে এই প্রতিবাদ বন্ধ করতে রাজি আছ? আমি এর জন্য যথোচিত মূল্য দেব।’

হঠাৎ এমন কথা শুনে আশুতোষ মুখার্জি কিছুই ভাবতে পারছিলেন না। কিন্তু বড় লাট চাইলেন তখনই যেন আশুতোষ মুখার্জি উত্তর দেন। তখন বড় লাট আবার বললেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবেই। তুমি ইচ্ছে করলে তোমার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু চেয়ে নিতে পার।’ তখন আশুতোষ মুখার্জি বললেন, আচ্ছা আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির বিরোধিতা করবো না যদি ভারত সরকার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চারটি অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করে। বড় লাট তখনই এই প্রস্তাবে রাজি হলেন।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চারটি অধ্যাপক পদ সৃষ্টির বিনিময়ে আশুতোষ মুখার্জি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির বিরোধিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দুটি জিনিস স্পষ্ট হয়। ১। আশুতোষ মুখার্জির বিরোধিতা শক্তিশালী রাজনৈতিক বিরোধিতা ছিল না। ২। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদ গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান বাংলাদেশে ২০১১ থেকে ১৩ বছরে দেশে ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে। এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে দেশের মানুষ এবং ব্রিটিশ সরকারকে কতকিছু করতে হয়েছে। আর এখন যেখানে ইচ্ছে সেই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় বানানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের চেয়ে সংখ্যায় গুরুত্ব দিচ্ছি। একই সাথে অধ্যাপকের গুরুত্বও আমরা কমিয়ে ফেলেছি।

সত্যেন বোস যখন অধ্যাপক পদের জন্য দরখাস্ত করেছিলেন তখন সেই বিজ্ঞাপনের বিপরীতে ড. দেবেন্দ্রমোহন বসুও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদের জন্য দরখাস্ত করেছিলেন। ড. দেবেন্দ্রমোহন বসু পিএইচডি করেছিলেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, পোস্ট-ডক করেছিলেন জার্মানিতে। তৎকালীন সব বড় বড় জার্মান বিজ্ঞানীকে তিনি চিনতেন এবং অনেকের সাথে কাজও করেছেন।

পৃথিবীতে এমন একটি দেশ পাবেন না যেই দেশ বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া জ্ঞান, বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও ক্ষমতায় উন্নত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সুপার পাওয়ার কারণ সেইখানে এমআইটি, হার্ভার্ড, প্রিন্সটন, স্ট্যানফোর্ডের মতো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে।

সত্যেন বোস তখন আইনস্টাইনের আমন্ত্রণে ইউরোপে। ইউরোপে থাকা অবস্থায় সত্যেন বোসের শুভাকাঙ্ক্ষীরা আইনস্টাইনের কাছ থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল কারণ সত্যেন বোসের পিএইচডি ছিল না। সত্যেন বোস যখন আইনস্টাইনের কাছে তার পিএইচডি নেই বলে একটি রেকমেন্ডেশন লেটার চেয়েছিলেন আইনস্টাইন তখন সত্যেন বোসকে বলেছিলেন—কেন তোমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কি জানে না তোমার Zeitschrift für Physik জার্নালে প্রকাশিত আর্টিকেল দিয়ে কয়েকটি পিএইচডি হতে পারে?

সেই সময় দেবেন্দ্রমোহন ও সত্যেন বোসের দরখাস্তের ডকুমেন্ট মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছিল জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী আর্নল্ড সমারফিল্ড-এর কাছে যার ৯ জন ছাত্র নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল। সেই সমারফিল্ড দেবেন্দ্রমোহন বসুকে রেকমেন্ড করেছিলেন যদিও তিনি বলেছিলেন দু’জনই শক্তিশালী প্রার্থী। পরে দেবেন্দ্রমোহন বসু অধ্যাপক পদে যোগ না দেওয়ায় সত্যেন বোসকেই অধ্যাপক পদে নিয়োগ বোর্ড রেকমেন্ড করে।

এর মাধ্যমে পরিষ্কার হলো তখন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধ্যাপকের গুরুত্ব বোঝার মতো মানুষ ছিল। তখন পদোন্নতির কাগজপত্র বিদেশে জগদ্বিখ্যাত গবেষকদের কাছে পাঠিয়ে মতামত নেওয়া হতো।  

সেই সময় অধ্যাপক পদের যখন বিজ্ঞাপন হয় তখন বেতনের হার ছিল ১০০০-১৮০০ রুপি (সূত্র : রমেশ চন্দ্র মজুমদারের ‘জীবনের স্মৃতিদ্বীপে’) তখন অধ্যাপক বেতন পেতেন ১২০০ রুপি অর্থাৎ তখন একজন অধ্যাপক তার বেতন দিয়ে ৪৫০ মন চাল কিনতে পারতো। বর্তমানে একজন অধ্যাপকের পূর্ণ বেতন দিয়ে বড়জোর ৪০ মন চাল কিনতে পারে।

১৯৮০ সালের দিকেও একজন কলেজ শিক্ষকের বেতন তৎকালীন সাবডিভিশনাল অফিসার বা এসডিও (বর্তমান বিসিএস ক্যাডার) এর চেয়েও বেশ বেশি ছিল। কয়েক বছর আগেও পিএইচডির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কয়েকটা ইনক্রিমেন্ট পেত। এমনকি অনার্স, মাস্টার্স, ফার্স্ট ক্লাসের জন্যও ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। এর অর্থ তখন মেধাকে কিছুটা হলেও মূল্যায়ন করা হতো। সেইসব মূল্যায়নও এখন নেই।

সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একটা পেনশন পেত। সেই পেনশনও এখন কেড়ে নিচ্ছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, পারত পক্ষে কোনো মেধাবীরা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাইবে না। এইভাবে শিক্ষকতা পেশাকে দিন দিন মেধাবীদের কাছে অনাকর্ষণীয় করা হয়েছে। এর ফলে দেশ এখন মারাত্মক ব্রেইন ড্রেইনের শিকার হয়েছে।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ৪০ বিলিয়ন ডলার যোগ করে। যারা যোগ করে এদের একটা অংশে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও আছে। এদের তৈরি করেছে কারা? বাংলাদেশ তার সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় এদের তৈরি করে, আর আমাদের ভুল নীতির কারণে এরা অন্য দেশের অর্থনীতিতে কন্ট্রিবিউট করছে। একই সাথে আমরা আমাদের আগত প্রজন্মের জন্য শশ্মান রচনা করছি। দেশ দিন দিন মেধা শূন্যতায় ভুগছে যা মানুষের রক্ত শূন্যতায় ভোগার চেয়ে বড় রোগ।

ঠিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মের ১০ বছর আগে চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Tsinghua University)-র জন্ম হয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয় এখন এশিয়ার সেরা এবং টাইমস হাইয়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং অনুসারে বিশ্বের ১২তম সেরা এবং QS র‍্যাঙ্কিং অনুসারে ২৫তম। চীনের উন্নতির সাথে চীনের অর্থনীতি হাত ধরাধরি করে চলেছে।

পৃথিবীতে এমন একটি দেশ পাবেন না যেই দেশ বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া জ্ঞান, বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও ক্ষমতায় উন্নত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সুপার পাওয়ার কারণ সেইখানে এমআইটি, হার্ভার্ড, প্রিন্সটন, স্ট্যানফোর্ডের মতো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ইংল্যান্ড এখনো জ্ঞান-বিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে অন্যতম সুপার পাওয়ার কারণ সেইখানে ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ড, UCL, ইম্পেরিয়াল কলেজ ইত্যাদি আছে।

সিঙ্গাপুরের মতো প্রাকৃতিক সম্পদবিহীন ছোট একটি দেশও অর্থনীতিতে এত এগিয়ে কারণ সেইখানে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর আছে। হংকংয়েও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় আছে যার প্রতিফলন হংকং-এ গেলে বোঝা যায়। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের অর্থনীতি ও সামরিক ক্ষমতার জ্বালানি।

বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখা যায় আমরা সর্বদিক থেকে তলিয়ে যাচ্ছি। তার কারণ আমাদের নীতিনির্ধারকরা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিশেষ করে তারা আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বনসাই বানিয়ে রেখেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বড় হতে দেয়নি বা দিচ্ছে না।

একটি জিনিস দেখে আমি বিস্মিত হই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কথা উঠলেই ৫২-তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা, ৬৯-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা, ৭১-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা, ৯০-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়েই আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকে। আমরা অতীত দিয়ে বর্তমানকে জাস্টিফাই করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস করছি।

দিনটি উপলক্ষে অনেক প্রোগ্রামই নেওয়া হয়েছে কিন্তু আমার ক্ষমতা থাকলে আমি একটি ডোনেশন প্রোগ্রাম হাতে নিতাম। এইদিন সব অভিভাবক ও অ্যালামনাইদের আমন্ত্রণ জানাতাম এবং সবাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোনেট করতে বলতাম।

৭১-এর আগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা আর ৭১-এর পরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা কি এক হওয়ার কথা? সেই জন্যই কি আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি? ৭১-এর আগের সরকার ছিল এদেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধের সরকার। তাই আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আন্দোলন খুবই জাস্টিফায়েড। কিন্তু ৭১-এর পরে তো আমাদের নিজেদের সরকার এসেছে।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ তো কেবল আন্দোলন সংগ্রাম করার মানুষ সৃষ্টির জন্য নয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির মূল লক্ষ্য জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের মাধ্যমে একটি আলোকিত সমাজ তৈরি করা। ৭১-এর আগের সরকারেরা এই বিশ্ববিদ্যালয় বড় হোক, আলোকিত মানুষ তৈরি করুক সেটা নিশ্চয়ই চায়নি। তাই একে খুব যৎসামান্য বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু ৭১-এর পরে বরাদ্দের ক্ষেত্রে কি বড় কোনো পরিবর্তন এসেছে?

স্বাধীন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কেন বস্তির মতো মানবেতর জীবন যাপন করবে? কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পহেলা জুলাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নানা প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে। প্রথমত এইদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। বন্ধ থাকা মানে অনেক ছাত্র আসবে না।

দিনটি উপলক্ষে অনেক প্রোগ্রামই নেওয়া হয়েছে কিন্তু আমার ক্ষমতা থাকলে আমি একটি ডোনেশন প্রোগ্রাম হাতে নিতাম। এইদিন সব অভিভাবক ও অ্যালামনাইদের আমন্ত্রণ জানাতাম এবং সবাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোনেট করতে বলতাম। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ডোমেন্ট মানি কত জানেন? ৪৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজার্ভ বাংলাদেশের রিজার্ভ-এর দ্বিগুণেরও বেশি। কীভাবে এত রিজার্ভ হয়? তাদের অ্যালামনাই এবং সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের দানে। তারা দান করে কেন? কারণ তারা বুঝতে পেরেছে যে সমাজের অন্যের সন্তানরা লেখাপড়া করে সুশিক্ষিত হলে পরেই সমাজ সুন্দর হয়। সমাজ সুন্দর হলে তারা এবং তাদের সন্তানরা ভালো থাকবে।

মানুষ যদি দান করতো তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো মানের আবাসিক সুবিধা পেত। শিক্ষকদের বেতন উন্নত ও আকর্ষণীয় হলে মেধাবীরা দেশে ফিরে আসতো এবং বিশ্ববিদ্যালয় হতো মেধাবীদের আঁতুড়ঘর।

মনে রাখবেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো থাকার সাথে পুরো দেশের ভালো থাকা জড়িয়ে আছে। এই কথাটি আমাদের নীতি নির্ধারকদের বোঝার ক্ষমতা হওয়ার আশা রাখি।

শুভ জন্মদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আমি তোমার কাছে ভীষণভাবে ঋণী। আমি আজ যা তার জন্য তোমার কাছে আমার ঋণের শেষ নেই। তাই সারাদিন রাত চেষ্টা করি আমার সাধ্যমতো কিছুটা ঋণ ফেরত দিতে।

ড. কামরুল হাসান মামুন ।। অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়