বাজেট ২০২৪-২০২৫ : জ্বালানি খাতে যে বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া জরুরি
বাংলাদেশে জ্বালানি পরিস্থিতির কিছুটা অগ্রগতি পেয়েছি। যদিও অনেকেরই শঙ্কা এটা সাময়িক প্রশান্তি। কেননা আমদানি-নির্ভর জ্বালানি-ব্যবস্থায় জ্বালানি নিরাপত্তা বলে তেমন কিছু থাকে না, যদি না খুব ভালো নিবেদিতপ্রাণ একটি ফোকাস-গ্রুপ থাকে যাদের কাজ আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারকে হাতের তালুর মতো চেনা।
এছাড়া আন্তর্জাতিক জ্বালানি সাপ্লাই-চেইন সম্পর্কেও ভালো ধারণা রাখা দরকার। কারণ জ্বালানি তো আমদানি করেই বেঁচে থাকতে হবে। এই রকম একেবারে কিছু নাই তা নয়, তবে সত্যি বলতে, চোখে পড়ার মতো নেই। আমদানি রপ্তানি চেইনে কোথাও বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে আমাদের হোঁচট খেতে হয়। সবাই থমকে যায়, সত্য, কিন্তু আমরা বেশি চমকাই।
বিজ্ঞাপন
আরও একটি সত্যি কথা হলো, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জ্বালানি আমদানি করে চলে। যেমন চিন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বড় দেশও আমদানি-নির্ভর। পূর্ব এশিয়ার বড় অর্থনীতির দেশগুলোর জ্বালানি সরবরাহ যায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের দক্ষিণে মালাক্কা প্রণালি হয়ে দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে। ফলে ঐ অঞ্চলে ভূ-রাজনীতির নতুন জ্বালামুখ উন্মোচিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক খবরাখবর যারা রাখেন, তারা নিশ্চয় এটা গণমাধ্যমে দেখেছেন।
আরও পড়ুন
তাহলে জটিল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের জ্বালানি অভিমুখ কেমন হবে? এটা লম্বা প্রশ্ন এবং এর উত্তর সময়ের সাথে বদলাতে থাকবে। তবে প্রতি বছর বাৎসরিক বাজেট প্রণয়নের মুখে আমরা জ্বালানি নিয়ে একই প্রশ্ন রাখি। আমাদের কী হবে? এই বছর আমরা কোথায় কোথায় অর্থছাড় দেব? এই ছাড়ের মাধ্যমে আমরা জ্বালানি খাতে কী বার্তা পাবো?
এই ধরনের প্রশ্ন প্রতি বছর ঘুরেফিরে আসছে। প্রতি বছর আমরা একরকমের বাজেট-বার্তা পেয়ে থাকি, পরের বছর সেই অভিমুখ আবার বদলে যায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা বা দৃশ্যকল্পের অভাব যেন আমরা টের পাই। তবে এবার আমাদের হাতে আছে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ পরিকল্পনা বা ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (IEPMP) এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা। এগুলোর আলোকে আমাদের আরও কিছু ছোটবড় স্বল্পমেয়াদি প্ল্যানের কথা শোনা যায়। যাই হোক, তবে এই দুটির মধ্যে বিশেষ করে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ পরিকল্পনা উল্লেখ করার মতো বিষয় যা জাইকা’র অর্থায়নে এবং তত্ত্বাবধানে প্রণীত হয়েছে।
আগামী বাজেটে আপনি কী দেখতে চাইবেন—এই প্রশ্নের প্রথম উত্তর হলো কোনো রকমের টোটকার চাইতে আমাদের একদম চোখ বন্ধ করে উচিত হবে সমন্বিত জ্বালানি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ রচনা করা। অর্থাৎ সমন্বিত প্ল্যানে স্বল্পমেয়াদে যা যা করতে বলা হয়েছে, তার ভিত তৈরি করা। আমাদের দেখানো উচিত—আমরা এই পরিকল্পনাকে অত্যন্ত সিরিয়াসলি নিয়েছি, আমরা এতে বিশ্বাস করি এবং আস্থা রেখেছি।
অন্তত ২০৩০ নাগাদ এই প্ল্যান মাথায় রেখে এগোতে হবে এবং ২০৩০ সালে গিয়ে একটা রিভিউ করতে হবে। কিন্তু আগামী ৫ বছর এই প্ল্যানকেই এগিয়ে নিতে হবে। এর দুর্বলতা আছে, কিন্তু তবু এটি এমন একটি প্ল্যান যা বিভিন্ন অংশীজন দ্বারা নিরীক্ষিত হয়েছে। ২০২৪-২০২৫ বাজেটে আমাদের এমন কয়েকটি খাতে বাজেট রাখতে হবে যা সরাসরি সমন্বিত প্ল্যানে উল্লিখিত আছে। ঠিক কোন কোন প্রকল্প অগ্রাধিকার পেতে পারে তা বিদ্যুৎ বিভাগ বুঝে নিক, কেননা প্রকল্পের আপডেট তারাই রাখেন। কিন্তু যা কিছু হোক, তা যেন সমন্বিত প্ল্যান অনুযায়ী হয়।
তবে আরও কিছু কথা থাকে। আমি সম্প্রতি ফেনীর সোনাগাজী সোলার প্ল্যান্ট পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এর বাস্তবায়নকারী সংস্থা হলো ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি (ইজিসিবি)। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন ইজিসিবি ৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে। প্রকৌশলগত দিক দিয়ে এটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং একটি প্রকল্প।
সঞ্চালন লাইন তথা জাতীয় গ্রিডের সামর্থ্য বাড়ানো দরকার, ফলে আগামী বাজেটে আমরা গ্রিডের সুস্বাস্থ্যের পরিপূরক প্রকল্পের অর্থায়ন আশা করি। এটা খুবই দরকার।
প্রাথমিকভাবে, এটি ছিল ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প। পরে অর্থ উদ্বৃত্ত থাকায় আরও ২৫ মেগাওয়াট যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এটি সোনাগাজী সদর উপজেলা থেকেও বেশ খানিকটা দূরে সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত। এর খুব কাছেই মুছাপুর সমুদ্র সৈকত বলে একটি জায়গা নির্মিত হয়েছে যা আঞ্চলিক পর্যটকদের জন্য পছন্দের জায়গা হয়ে উঠছে। সমুদ্র পাড়ে নিচু জমিতেই সোলার প্ল্যানটা স্থাপিত হয়েছে।
আরও পড়ুন
পুরো প্ল্যান্টকে ঘিরে প্রায় ১৬ ফুট উঁচু বাধ দিতে হয়েছে, যাতে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত না হয়। কন্ট্রোল রুম, ২৩০/৩৩ কেভি সুইচইয়ার্ড, প্রশাসনিক ভবন, ডরমিটরি তৈরি হয়েছে ভিত উঁচু করে মাটি প্রস্তুত করে। এখানে ২৪টি ইনভার্টারের মাধ্যমে সোলার প্যানেল থেকে ডিসি বিদ্যুৎকে এসি বিদ্যুতে রূপান্তর করা হয়। প্রতিটি ইনভার্টারে (৩.১২৫ মেগাওয়াট ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে) প্রায় ১৩০০ ভোল্ট ডিসি বিদ্যুৎকে ৬০০ ভোল্ট এসিতে রূপান্তর করে ট্রান্সফরমারে পাঠিয়ে ৩৩ কিলোভোল্টে উন্নীত করা হয়।
দুইটি সঞ্চালন ট্রান্সফরমারের (৬৫ এবং ৩৫ এমভিএ) সাহায্যে তাকে ২৩০ কিলোভোল্টে উন্নীত করে জাতীয় গ্রিডে পাঠানো হয়। এই ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকে আবার মিরসরাইয়ের উপকেন্দ্রে পাঠানোর জন্য ৩৮টি টাওয়ার সমৃদ্ধ ১৩.৩৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে হয়েছে। এর মধ্যে আবার একটি নদী-পারাপার (রিভার ক্রসিং) আছে।
প্রকল্প থেকে জানা গেল, তারা সর্বোচ্চ ৭৯ মেগাওয়াট উৎপাদন করেছে এবং প্রায় ৫১০ মেগাওয়াট-ঘণ্টা (প্রায় ২ টেরাজুল) বিদ্যুৎ সরবরাহ করেতে পেরেছে, যেখানে প্ল্যান্টটির প্রত্যাশিত শক্তি উৎপাদন মাত্রা হলো ৫৩০ মেগাওয়াট-ঘণ্টা। ফলে এর প্ল্যান্ট পারফরম্যান্স রেশিও প্রায় ৮৫ শতাংশ বা তদূর্ধ্ব। প্রায় ২৮৪ একর জায়গা জুড়ে এই প্ল্যান্টটি অবস্থিত যার ঋণের মূল্য প্রায় পৌনে-নয়শ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে এই প্ল্যান্টটি ৯.৫০ টাকা (ফ্ল্যাট রেট ৮.৬৬ সেন্ট) বাল্ক-রেটে বিদ্যুৎ বিক্রি করে ২০ বছরে সমুদয় খরচ উত্তোলনের আশা রাখে। এই চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পটি সম্ভব হয়েছে পানি-উন্নয়ন বোর্ডের একটি পরিকল্পনার ফলে। ছোট ফেনী নামের নদীতে পাউবো একটি ‘ক্লোজার’ বা নদী-বন্ধ স্থাপন করে, অর্থাৎ নদীর মুখ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ভাটিতে পতিত জমি তৈরি হয়, আর উজানে পানি সেচের ব্যবস্থা হয়। নদীর পানিকে একটি স্লুইস গেইটের সাহায্যে সন্দীপ চ্যানেলে চালিত করা হয় এবং এই প্রকল্পের একটি পার্শ্ব-ফলাফল হলো মুছাপুর সমুদ্র সৈকত, ভাটিতে একটি সোলার প্ল্যান্ট এবং আরও বেশকিছু মাছচাষ প্রকল্প।
এই রকম আরও কিছু প্রকল্পের ইঙ্গিত আমাদের বাজেটে থাকা উচিত। সোনাগাজীতেই আরও অন্তত ৪টি সমক্ষমতার প্ল্যান্ট হতে পারে। এটা বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি মাইলফলক হতে পারে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ কিছু কার্বন ক্রেডিটও অর্জন করতে পারে। সোলার প্ল্যান্টের এই ধরনের সফলতাকে আরও দৃশ্যমান করা উচিত। সেইসাথে গ্রিন-ইলেক্ট্রিসিটি স্থাপনের আরও কিছু উদাহরণ, যেমন কক্সবাজার খুরুশকুল বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প, আগামী বাজেটে আমরা দেখতে চাই। এছাড়া অফশোর বায়ুবিদ্যুতের একটি পরিপূর্ণ ফিজিবিলিটি বা সমীক্ষা যেন আমরা আগামী বছরের মধ্যে পাই।
আরও পড়ুন
সঞ্চালন লাইন তথা জাতীয় গ্রিডের সামর্থ্য বাড়ানো দরকার, ফলে আগামী বাজেটে আমরা গ্রিডের সুস্বাস্থ্যের পরিপূরক প্রকল্পের অর্থায়ন আশা করি। এটা খুবই দরকার। একটি ‘সুদৃঢ়’ জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড দেশের এনার্জি ব্যাকবোন বা জ্বালানি মেরুরজ্জু বিশেষ। এটা শিল্পের জন্য যেমন, উৎপাদনের জন্য যেমন, বাসাবাড়ি আলোকিত, কৃষিখেতে সেচ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্যেও তেমন দরকারি।
গ্রিডের দিকে আমরা মনোযোগ দেইনি, এবার সময় এসেছে স্মার্ট গ্রিডের দিকে পূর্ণমাত্রায় ঝোঁকা। গ্রিডে সৌর বা বায়ু বিদ্যুৎ যত বেশি যোগ হবে, গ্রিডের ঝুঁকি তত বাড়বে। এটি একটি প্রকৃতিগতভাবে সত্য কথা। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলো অ্যাকটিভ বা মেগাওয়াট পাওয়ার দিতে পারলেও রি-অ্যাকটিভ বা মেগা-ভার দিতে পারে না।
উপরন্তু তারা ইন্টারমিটেন্ট বা সাময়িক—দিনের বেলা সূর্য থাকলেও রাতের বেলা থাকে না, কিংবা বছরের সব ঋতুতে বাতাস পর্যাপ্ত থাকে (ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে খুরুশকুল বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল)। সবচেয়ে বিপদের বিষয় হলো—একটা বড় মেঘ যদি সোলার প্ল্যান্টের ওপর এসে পড়ে তাহলে চট করে প্ল্যান্টের আউটপুট কমে যায়। যদি এই রকম বড় অনেকগুলো প্ল্যান্ট থাকে, তাহলে মিনিটের মধ্যে কয়েকশত মেগাওয়াট পাওয়ার গ্রিড থেকে চলে যাবে, আবার মেঘ সরে গেলে চলেও আসবে।
এত বড় পরিবর্তন গ্রিডকে সহ্য করতে হলে এর বেশকিছু কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে বা যুক্ত করতে হবে। এদের জন্য প্রয়োজন ব্যাটারি স্টোরেজ। ব্যাটারিতে সৌর বা বায়ুবিদ্যুৎ সংগ্রহ করে রাখা হবে, রাতের বেলা বা যখন সূর্য অথবা বাতাস থাকবে না, তখন লোড-কেন্দ্রের ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
আসন্ন এবং আগামী কয়েক বছরের বাজেটে আমি জীবাশ্ম-জ্বালানিতে বিনিয়োগ কমিয়ে নবায়নযোগ্য এবং পরিচ্ছন্ন বিদ্যুতের উৎসগুলোর অন্বেষণে বাজেট বৃদ্ধির আশা রাখি।
অনেকটা হাইব্রিড গাড়ির মতো যার ইঞ্জিন ও ব্যাটারি দুটোই আছে। মূল পাওয়ার-হাউজ অন্তর্দাহী ইঞ্জিন, কিন্তু এই পাওয়ার ব্যাটারিকে চার্জ করে, ব্যাটারি গাড়ির চাকা চালায়। এটি দারুণভাবে জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং যান্ত্রিক দক্ষতাও তুলনামূলক বেশি। কিন্তু মেগাওয়াট-স্কেলের ব্যাটারি স্টোরেজ ভীষণ খরচ সাপেক্ষ।
যেমন টোকিও শহরকে যদি শুধু ব্যাটারি চালিয়ে ৩ দিন চালু রাখতে হয়, তাহলে ১৪ মিলিয়ন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির প্রয়োজন হবে, যার বাজারমূল্য দাঁড়াবে ৪০,০০০ কোটি টাকা! ব্যাটারির শক্তি-ঘনত্ব খুবই কম—পেট্রোলের ৩৫ ভাগ! ব্যাটারি-সঞ্চয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন আমাদের খুবই প্রয়োজন—এর শক্তি-ঘনত্ব বাড়াতে হবে, এর খরচ কমাতে হবে, এর আয়তন কমিয়ে আনতে হবে, দূষণও কমাতে হবে। এটা বড় রকমের চ্যালেঞ্জের বিষয়।
আরও পড়ুন
এছাড়া নেট-মিটারিং, সোলার রুফটপ, সোলার ইরিগেশনের জন্য মিনিগ্রিড জনপ্রিয়করণ—ইত্যাদি বিষয়গুলো জ্বালানি বাজেটে আসা উচিত। ফ্লোটিং সোলার বিষয়ে আমাদের একটি ভালো গবেষণা এবং পাইলটিং প্রয়োজন। এটা আসন্ন বাজেটেই করে ফেলা দরকার। এই গবেষণাটি কারিগরি দিক নিয়ে নয়, বরঞ্চ একটি জলাশয়কে যদি সোলার প্যানেল দিয়ে আচ্ছাদিত করে দেওয়া হয়, তাহলে এর প্রাণিসম্পদের কী অবস্থা হবে, মৎস্যসম্পদের জন্য কতখানি ক্ষতিকর হবে, আচ্ছাদন যদি নিরবচ্ছিন্ন না হয়ে আলোছায়ার ক্রমান্বয়ে হয় তাহলে মাছের কী হবে—এই জৈববৈজ্ঞানিক গবেষণা আশু প্রয়োজন।
আসন্ন এবং আগামী কয়েক বছরের বাজেটে আমি জীবাশ্ম-জ্বালানিতে বিনিয়োগ কমিয়ে নবায়নযোগ্য এবং পরিচ্ছন্ন বিদ্যুতের উৎসগুলোর অন্বেষণে বাজেট বৃদ্ধির আশা রাখি। জীবাশ্ম জ্বালানির কথা বলতে গেলে, সমুদ্রের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, এলএনজি সঞ্চয়, এবং ক্রসবর্ডার বিদ্যুৎ আমদানির কথা বলতে হবে। আমরা জানি আমাদের আশা অনেক, কিন্তু বাস্তবতা সীমিত। তবু জাতীর আকাঙ্ক্ষা জাতীয় বাজেটে সামান্য হলেও প্রতিফলিত হবে—এটা আমরা আশা করতেই পারি।
ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী ।। পরিচালক, জ্বালানি ও টেকসই গবেষণা ইন্সটিটিউট; অধ্যাপক, তড়িৎকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়