ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে ১৯ এপ্রিল ২০২৪-এ শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন, যা চলবে ছয় সপ্তাহ। ভারতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভাসহ বহুদলীয় সংসদীয় সরকার রয়েছে। ভারতে প্রায় সাতানব্বই কোটি ভোটার ৪৪ দিনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ তথা লোকসভার ৫৪৩ জন সদস্যকে নির্বাচিত করবেন।

যে দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতবে তারা প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী মনোনীত করবে এবং ক্ষমতাসীন সরকার গঠন করবে। সরকার গঠন করতে যেকোনো দল বা নির্বাচনী জোটকে ২৭২ জন সদস্যের সমর্থন জোগাড় করতে হয়। বিজেপি বর্তমানে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) নামে পরিচিত একটি জোটের সাথে শাসন করে, সাম্প্রতিক জনমত জরিপগুলো বিজেপি, মোদি এবং তাদের অনেক সহযোগীদের ক্ষমতায় থাকার পক্ষে আভাস দেয়।

বিজেপির কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো ২৬টি দলের একটি জোট, যাকে বলা হচ্ছে ভারতীয় জাতীয় উন্নয়ন-অন্তর্ভুক্তি মূলক জোট, যার নেতৃত্বে আছে প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যেমন ভারতের প্রচুর আগ্রহ থাকে, তেমনি প্রতিবেশী দেশটির নির্বাচন নিয়েও এই দেশের মানুষের আগ্রহের কমতি নেই।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যেমন বড় ধরনের অর্থনৈতিক স্বার্থ আছে, তেমনই রয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক তথা নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে একত্রে কাজ করার বাস্তব প্রয়োজনীয়তা। বাংলাদেশ ভারত থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমাণের শিল্পজাত কাঁচামাল আমদানি করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বন্দর, রেল, সড়ক ও জলপথ ব্যবহার করে ভারত তাদের উত্তরপূর্বের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে সহজে ও কম খরচে যোগাযোগ স্থাপন করে তাদের পণ্য পরিবহন করতে পারছে।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সাথে ভারত যখন গণতান্ত্রিক উৎসবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো গভীরভাবে রাজনৈতিক নাটকীয়তা পর্যবেক্ষণ করছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে বিকশিত হচ্ছে যা; বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার দ্বারা চিহ্নিত।

বৈশ্বিক শক্তির গতিশীলতার পটভূমিতে, বিশেষ করে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে টানাপোড়েনের মধ্যে ভারতের লোকসভার নির্বাচনী ফলাফল কীভাবে আঞ্চলিক গতিশীলতাকে রূপ দিতে পারে সেইদিকে বাংলাদেশের দৃষ্টি রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক গভীরভাবে নিহিত রয়েছে যা আমাদের মহান স্বাধীনতা এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যেমন বড় ধরনের অর্থনৈতিক স্বার্থ আছে, তেমনই রয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক তথা নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে একত্রে কাজ করার বাস্তব প্রয়োজনীয়তা। বাংলাদেশ ভারত থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমাণের শিল্পজাত কাঁচামাল আমদানি করে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে, উভয় দেশই কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধনকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছে। অবকাঠামো উন্নয়ন, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করে ভারত বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। এই ইতিবাচক অগ্রগতি সত্ত্বেও, চ্যালেঞ্জগুলো রয়ে গেছে, বিশেষ করে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য, নাগরিকত্ব আইন, তিস্তা চুক্তি ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড, ট্রানজিট ও বন্দর ব্যবহার এবং নিরাপত্তা উদ্বেগের মতো বিষয়গুলো নিয়ে।

পর্যায়ক্রমিক সীমান্ত সংঘর্ষ, তিস্তা চুক্তি ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং অবৈধ অভিবাসন নীতি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, উভয় দেশই সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশের আগ্রহের অন্যতম ক্ষেত্র হলো অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্পর্ক। নির্বাচন-পরবর্তী ভারতের অর্থনৈতিক নীতির স্থিতিশীলতা এবং পূর্বাভাস সরাসরি বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে। বাংলাদেশও বিনিয়োগের সুযোগ এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে।

ভারতীয় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বাজারে বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস, তথ্যপ্রযুক্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো খাতে ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখিয়েছে। নির্বাচন-পরবর্তী ভারতে একটি অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ এই ব্যবসায়িক সম্পর্কগুলো আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে যা উভয় দেশকে উপকৃত করবে।

নিরাপত্তা এবং ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা

নিরাপত্তা উদ্বেগ, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উভয় দেশ সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যক্রম এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। ভারতের নির্বাচনের ফলাফল এবং পরবর্তী জাতীয় নিরাপত্তা নীতির প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তর অঞ্চলে পড়বে; যা বাংলাদেশের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থান বাংলাদেশকে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হিসেবে আবির্ভূত করেছে যা; ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সীমানা ভাগাভাগি করে। এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, বিশেষ করে তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের মাধ্যমে, ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের গতিশীলতায় আরেকটি ইস্যু যুক্ত করেছে। বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার জন্য ভারত, চীন এবং অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়ে সচেতন; যা বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্র নীতিতেও পরিলক্ষিত হয়।

চীন-মার্কিন নীতি ও আঞ্চলিক গতিশীলতা

চীন-মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সমগ্র বিশ্বের দেশগুলোর জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। চীনা ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবিওআর) এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) এর জন্য বাংলাদেশের প্রতি চীন-মার্কিন নীতিতে দ্বিধা রয়েছে, যা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই তাদের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে।

ভারত, তার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক এবং সামরিক সক্ষমতাসহ, এই ভূ-রাজনৈতিক কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি স্থিতিশীল এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক কাম্য। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জোরদার হয়েছে, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের মতো ক্ষেত্রগুলো অন্তর্ভুক্ত করে।

ভারত, তার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক এবং সামরিক সক্ষমতাসহ, এই ভূ-রাজনৈতিক কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি স্থিতিশীল এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক কাম্য।

নির্বাচন-পরবর্তী ভারতের পররাষ্ট্র নীতির যেকোনো পরিবর্তন এই অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণে, বাংলাদেশের কৌশলগত ভূমিকাকে প্রভাবিত করতে পারে। অন্যদিকে চীনও বাংলাদেশের অন্যতম অর্থনৈতিক সহযোগী দেশ হিসেবে ক্রমবর্ধমানভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সমুদ্রবন্দর ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্পে চীন একটি বড় বিনিয়োগকারী হলেও ঋণের স্থায়িত্ব এবং কৌশলগত প্রভাব নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ প্রবল। বাংলাদেশ তার নিজস্ব অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সাথেই তার সম্পর্কের একটি ভারসাম্য চায়।

ভারতের নির্বাচন থেকে প্রত্যাশা

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হলো ভারত। ভারতের স্থিতিশীল সরকার বাংলাদেশের জন্য নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যখন ভারতের উৎসবমুখর লোকসভা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে, তখন বেশকিছু প্রত্যাশাও বিবেচনা সামনে এসেছে।

এই প্রত্যাশাগুলো নিন্মরূপ—

স্থিতিশীলতা এবং ধারাবাহিকতা: বাংলাদেশ নির্বাচন-পরবর্তী ভারতে একটি স্থিতিশীল এবং ধারাবাহিক সরকারের প্রত্যাশা করে। ভারতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ: উন্নত বাণিজ্য সম্পর্ক, প্রযুক্তি, অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য শক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ভারতীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। ভারতে একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ এই সম্পর্কগুলো আরও শক্তিশালী করতে পারে।

নিরাপত্তা সহযোগিতা: আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যক্রম এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগিসহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে অব্যাহত সহযোগিতা অপরিহার্য যা; বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী দেশটির সাথে সর্বদা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। কারণ, সীমান্ত সংঘর্ষ, তিস্তা চুক্তি ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং অবৈধ অভিবাসন নীতি দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে।

ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্য: জটিল ভূ-রাজনৈতিক জটিল সমীকরণের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ আশা করে ভারত এই অঞ্চলের সব অংশীদারদের স্বার্থ বিবেচনা করে তার বৈদেশিক নীতিতে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখবে।

আঞ্চলিক সংযোগ: আঞ্চলিক সংযোগ উন্নত করার লক্ষ্যে ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট, ট্রান্সপোর্ট করিডোর এবং বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবস্থার মতো উদ্যোগগুলো প্রতিবেশীদের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক একত্রীকরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

ভারতের ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন কেবল একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় নয় বরং এটি নিজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীন-মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাসহ বৈশ্বিক শক্তির বিকশিত গতিশীলতা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য খুবই জরুরি। ভারতের নির্বাচন থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশা স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির উপর কেন্দ্রীভূত।

ভারতে দশ বছর ধরে একই সরকার আছে এবং ভারত যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে সমর্থন করে তা প্রমাণিত। তারা এই সময় বাংলাদেশের কাছ থেকে যেসব সুবিধা নিয়েছে তার বিনিময়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি খুব বেশি নয়। তবে ভারতে যে রাজনৈতিক জোটই ক্ষমতায় আসুক, তাতে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশ শুধু ভারতের প্রতিবেশী একটি দেশ নয় কৌশলগত মিত্রও বটে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা থাকবে অতীতের সব সমস্যার (আন্তঃসীমান্ত অসম বাণিজ্য, নাগরিকত্ব আইন, তিস্তা চুক্তি ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড, ট্রানজিট ও বন্দর ব্যবহার এবং নিরাপত্তা) দ্রুত সমাধান হোক এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের সম্পর্ক সমতার ভিত্তিতে অন্য উচ্চতায় এগিয়ে যাক।

অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার দত্ত ।। সভাপতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
datta.ir@cu.ac.bd