ছবি : সংগৃহীত

একটি উদাহরণ দিয়ে শুরু করছি—ব্রিটিশদের থেকে কেন ইন্ডিয়া বা পাকিস্তান এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে কেন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল? এক বাক্যে জানতে চাইলে হয়তো উত্তর হবে ‘সীমাহীন শোষণ, নিপীড়ন থেকে সত্তাকে রক্ষা করে নিজের যা আছে তা দিয়েই আত্ননির্ভশীল জাতিতে পরিণত হওয়া’।

আজকের বাংলাদেশ তারই ফল। সেই ১৭ শতাব্দীর বাংলা আর আজকের বাংলার দিকে দেখুন। প্রত্যেক খাতেই আমরা ভালো করছি। কেন সম্ভব হলো? আমরা স্বাধীন হয়েছি বলেই। আমাদের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের ভাষার জন্য আন্দোলন হয়েছে। আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ ‘প্রেক্ষাপট’ ছিল অন্য। এখন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ বিশ্ববাসীর। কিন্তু পেছন ফিরে দেখেন, একটি গোষ্ঠী এই ভাষার অস্তিত্বকেই স্বীকৃতি দিতে চায়নি।

বিশ্ববাসী জানতেই পারতো না যে, ভাষা কত গুরুত্বপূর্ণ; হোক তা জাতীয় বা আঞ্চলিক। সেই ভাষা নিয়ে আজ কত গবেষণা হচ্ছে, সুরক্ষার জন্য রয়েছে নানা জাতীয়-আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি বিধি-বিধান, রয়েছে আরও কত কী! অথচ আপাত দৃষ্টিতে আপনার-আমার কাছে হয়তো এই ভাষা নিয়ে এত প্রতিষ্ঠান, আইন বা গবেষণার কোনো গুরুত্বই নেই!

আমাদের দেশ গরিব হলেও আমাদের রয়েছে অনন্য কিছু উপকরণ বা সম্পদ। প্রাণিসম্পদ এগুলোর একটি। স্বাধীনতার পর দেশের জনসংখ্যা প্রায় তিনগুণ হলেও আজ আমরা প্রাণিজাত পণ্য যেমন ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদনে বেশ ভালো করছি, অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণও বলতে পারেন।

ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশে আমাদের মুরগি ও গরুর মাংস রপ্তানির অভাবনীয় সুযোগ থাকলেও আমরা একটুকরা মাংসও বিদেশে রপ্তানি করতে পারছি না। এর অন্যতম কারণ আমাদের দেশে এমন কিছু প্রাণিরোগ ও রোগজীবাণু আছে যেগুলো থাকলে ঐসব দেশে পণ্য রপ্তানি সম্ভব নয়। প্রশ্ন আসতেই পারে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও এসব রোগ-বালাই থেকে মুক্তি কেন সম্ভব হলো না? দেশে কি প্রাণিসম্পদ নিয়ে পড়ালেখা করে এমন কোনো গ্র্যাজুয়েট নেই বা গবেষণার সুযোগ নেই, নাকি সরকারের স্বদিচ্ছার অভাব?

প্রশ্নগুলোর উত্তর হলো, এই দেশে প্রাণিসম্পদ নিয়ে কাজ করা গ্র্যাজুয়েট আছে, স্বল্প পরিসরে গবেষণাও হয়, সরকারি বিধি-বিধান বা প্রতিষ্ঠানও আছে! কিন্তু যার যে কাজ করার কথা, যেখানে যার থাকার কথা তা নেই বা হচ্ছে না বা করতে দেওয়া হয় না!

প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে কাজ করে মূলত দুই ধরনের পেশাজীবী। অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েটরা এবং প্রাণী চিকিৎসক। অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েটরা প্রাণী চিকিৎসা ব্যতীত অন্যান্য যাবতীয় বিষয় যেমন অ্যানিমেল জেনেটিক্স-ব্রিডিং, রিপ্রোডাকশন, নিউট্রিশন-ফিডিং, বায়োসিকিউরিটি-ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য সার্বিক বিষয়ে পড়ালেখা করে থাকেন।

অন্যদিকে ভেটেরিনারিয়ান বা প্রাণি চিকিৎসক গ্র্যাজুয়েটরা ফিজিওলোজি, অ্যানাটমি-হিস্টোলজি, প্যারসাইটোলজি, সার্জারি, মেডিসিনসহ প্রভৃতি চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি পড়ে থাকেন। উভয় গ্র্যাজুয়েটরাই কিছু বেসিক কোর্স (৫-১০ শতাংশ) যেমন—অ্যাগ্রোনমি, স্ট্যাটিসটিকস, অর্থনীতি, সোশিওলজি ইত্যাদি পড়েন ও একে অন্যের কিছু কমন কোর্স/বিষয় পড়েন (১০-২০ শতাংশ)।

প্রাণিচিকিৎসকগণের ‘গুরু দায়িত্ব’ হচ্ছে দেশের প্রাণিসম্পদের বা প্রাণিকুলের (মানুষ ব্যতীত) রোগ ব্যবস্থাপনা। আমাদের দেশ হলো রোগ-জীবাণুর আঁতুড়ঘর। উদাহরণস্বরূপ, যক্ষ্মা বা ক্ষুরারোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়া প্রাণিকুলের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে নির্মূল করার জন্য টিকা আবিষ্কারসহ পরিবর্তিত সময়ের সাথে রোগের পরিবর্তিত ধরন উপযোগী টিকা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া [কারণ এসব রোগের জীবাণু প্রতিনিয়ত মিউটেশন করে বা ধরন পরিবর্তন করে, কোভিড-১৯ এর মতোই বলতে পারেন-কখনো ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট, কখনো উহান ভ্যারিয়েন্ট আবার কখনো অমিক্রন] এবং সর্বোপরি দেশে থেকে এই রোগ নির্মূলে কাজ করা।

পোল্ট্রির রোগেরও কথাও যদি বলা যায়, সালমোনিলা বা রাণীক্ষেত বা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ বেশকিছু জটিল রোগ আমাদের দেশে রয়েছে যেগুলোর কারণে আমাদের এইখাতটি বহু ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। খামারিরা সর্বস্ব হারিয়ে ফেলছেন।

প্রাণিসম্পদের অনুপাতে আমাদের দেশে প্রাণী চিকিৎসকের সংখ্যা কম, প্রতি উপজেলায় মাত্র একজন ভেটেরিনারি সার্জন! কাজেই এত অল্প লোকবল নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা কঠিনই না বরং চ্যালেঞ্জিংও বটে। যেখানে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাটাই দায় সেইখানে সুপারফিশিয়াল, সংজ্ঞাভিত্তিক বা ১০-২০ শতাংশ কোর্সের জ্ঞান জাহির করার দুই দণ্ড সময় বের করা ভেটেরিনারিয়ানগণের পক্ষে কতটুকু সম্ভব বোঝার জন্য পিএইচডি করতে হবে না। তবুও আমাদের দেশের ফিল্ড লেভেলের তথা জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ভেটেরিনারিয়ানগণ সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন এবং বিএলআরআইসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারিয়ানগণ টিকা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

তাহলে তো ঠিকই আছে, তবুও দেশের এই অবস্থা কেন? জনগণের প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন এরপরও আমরা মাংস রপ্তানির ক্ষেত্র তৈরি করতে পারলাম না আজও? কেন নিজস্ব জাত উদ্ভাবন বা উন্নয়ন করে অন্তত কিছুটা আমদানি নির্ভরশীলতা কমাতে পারলাম না? কেন যে দু-একটি পটেনশিয়াল প্রাণীর জাত আছে (রেড চিটাগং ক্যাটেল, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, দেশি মুরগি প্রভৃতি) সেইগুলোর উন্নয়ন বা সম্প্রসারণ হচ্ছে না?

শুধু রোগবালাই হলে এর চিকিৎসা করে বা টিকা নিয়ে গবেষণা করে কোনোদিনই রোগমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে না বা এর দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কোথাও নেই। কোনো রোগ-বালাই যেন সহসাই না হয় সেই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং দেশের সক্ষমতা অনুযায়ী রোগবালাইমুক্ত অ্যানিমেল তৈরি বা জাত উদ্ভাবন বা দেশীয় প্রাণিগুলোর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করাটা অত্যন্ত জরুরি।

এজন্য প্রয়োজন স্পেশালাইজড জ্ঞান যেমন অ্যানিমেল জেনেটিক্স, ব্রিডিং, নিউট্রিশন, ম্যানেজমেন্ট ও তার যথার্থ প্রয়োগ। ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা তো এসব কিছুটা পড়েই আসেন, তবুও হচ্ছে না কেন? এর কারণ হচ্ছে, শুধুমাত্র সুপারফিসিয়াল বা সংজ্ঞাভিত্তিক বা কোর্সের ২৫-৩০ শতাংশ পড়ে কোনোকিছুই পরিপূর্ণভাবে শেখা যায় না, প্রয়োগ তো পরের কথা! নিজ ফিল্ডে যারা পিএইচডি করেছেন তারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে তার ঐ ফিল্ডের কতভাগ তিনি সত্যিকার অর্থে জানতে পেরেছেন। সেইখানে অনার্স লেভেলে ২৫-৩০ শতাংশ পড়েই সেই ফিল্ডে পারদর্শী হলে কোর্সের ৭০ শতাংশ অ্যানিমেল জেনেটিক্স, ব্রিডিং, নিউট্রিশন ও ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার দক্ষতা সহজেই তুলনীয়।

অনার্সের ৭০ শতাংশ পড়ুয়ার (হোক ডিভিএম অথবা এএইচ) জ্ঞানও যে ঐ জগতে ১ শতাংশের সমান নয় সেইটি পিএইচডি না করে থাকলে বুঝতে পারার কথা নয়। বিশ্বে এজন্যই বর্তমানে স্পেশালাইজড বিষয়ের কদর বাড়ছে।

দেশের ভেটেরিনারিয়ানদের তাই চিকিৎসা বা এতদসংক্রান্ত বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা জরুরি। দিন যাচ্ছে, নতুন নতুন রোগ-বালাই এর সংক্রমণ হচ্ছে, কাজেই এই বিষয়ে সার্বক্ষণিক পড়ালেখা বা গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন এবং অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রিদের তাদের নিজস্ব স্পেশালাইজড ফিল্ডে কাজ করা প্রয়োজন বা সুযোগ তৈরি করে দেওয়া সময়ের দাবি।

আমি যদি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে একটি পোল্ট্রি ব্রিডিং খামার করতে চাই, আমি বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোথায় যাবো/কোথায় একজন ব্রিডিং স্পেশালিষ্ট পাব? যারা কিছুটা জানেন তারা হয়তো বলবেন—বিএলআরআই। বিএলআরআই-এর কথা দেশের কতজন জানেন (জানলেও সীমিত জনবল দিয়ে কয়জনকেই সেবা দিতে পারবে বিএলআরআই), তাহলে হাতে থাকলো উপজেলা বা জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর (যাকে মানুষ শেষ পর্যন্ত ‘পশুহাসপাতাল’ নামেই জানবে ও চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো কাজ/সার্ভিস সেইখানে পাওয়া যাবে তা চিন্তাও করবে না)।

দেশের প্রেক্ষাপট বলছে, স্পেশালাইজড ডিগ্রিধারী অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েটদের আইনি স্বীকৃতি দিয়ে নিজ নিজ কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া, তবেই একজন খামারি বা উদ্যোক্তা সহজেই তার প্রয়োজন অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন।

দেশের পটেনশিয়াল প্রাণিসম্পদ গবেষণার মাধ্যমে উন্নয়ন বা দেশীয় নতুন জাত উদ্ভাবন করে আমদানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিয়ে আসা যেমন সম্ভব, তেমনি স্পেশালাইজড জ্ঞান প্রয়োগ করে ও গবেষণালব্ধ জ্ঞান মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করতে পারলে নিরাপদ প্রাণীজাত পণ্যের চাহিদা তো পূরণ হবেই, দেশে রপ্তানি উপযোগী পরিবেশও তৈরি হবে।

কাজেই, ভেটেরিনারিয়ানদের দাবি হওয়া হলো, দেশের প্রাণিচিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আরও ডাক্তার নিয়োগ করা বা প্রাণিরোগ/ভ্যাকসিন গবেষণার কাজ বৃদ্ধি করা, অন্যের স্পেশালাইজড জ্ঞান তুচ্ছ করে সর্বজ্ঞানী না সাজার চেষ্টা করা।

এক ডিগ্রি বা কম্বাইন্ড ডিগ্রি অথবা এক কাউন্সিল দিয়ে সব হয়ে যাওয়ার কথা থাকলে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও প্রাণিসম্পদের এই বেহাল দশা আজ দেখতো হতো না। গায়ের জোর বা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেই একজন ভেটেরিনারিয়ান বা একই ডিগ্রির অন্য মোড়কযুক্ত (এএইচ ও ভেট সাইন্স) গ্র্যাজুয়েট দিয়ে অ্যানিমেল জেনেটিক্স, ব্রিডিং, নিউট্রিশন ও ম্যানেজমেন্ট-এর কাজ কখনোই সম্ভব নয়।

তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই যে বিশ্বের কোথাও তো অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল নেই তবে বাংলাদেশে কেন? কারণ বিশ্বের কোথাও কোনো ভেটেরিনারিয়ান শুধু নিজ প্রফেশনের স্বার্থই চিন্তা করে না, তারা দেশের সার্বিক চিন্তা করে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া চিন্তা করে; দেশকে আমদানির পকেট বানাতে চায় না; অন্যের ডিগ্রি বা জ্ঞানকে ‘ডোন্ট কেয়ার’ করে না। তাদের নির্ধারিত চিকিৎসা সেবা বা রোগভিত্তিক গবেষণা নিয়েই তারা ব্যস্ত। তাদের অন্যের ফিল্ড দখল করার দরকার হয় না।

এই দেশ যে প্রেক্ষাপটে স্বাধীন হয়েছে, যে প্রেক্ষাপটে ভাষার জন্য রাজপথে মিছিল হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে আজ দেশের মানুষকে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্টের মতো নীরব মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে, দেশকে ভ্যাকসিন বা ওষুধ বা বিদেশজাত আমদানির পকেট মার্কেট না বানাতে, দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে, স্পেশালাইজড ডিগ্রির জন্য ‘অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল’ অত্যন্ত প্রয়োজন।

বিশ্বের কত দেশেই তো বাংলাদেশের অনেক কিছুই অনুসরণ/অনুকরণ করছে, তবে কেন ‘অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল’ তার মধ্যে হবে না? তারা তো নিশ্চয় চিকিৎসা করতে কাউন্সিল দাবি করছে না? সঠিক লোককে সঠিক জায়গায় সুযোগ দিয়ে দেখুন না একবার কী হয়?

দেশের স্বাধীনতার মতোই, ভাষার স্বতন্ত্র রক্ষার করার মতোই, দেশে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট এএইচ গ্র্যাজুয়েটদের পেশাগত জ্ঞান সঠিকভাবে প্রয়োগ করে দেশকে এগিয়ে নিতেই, স্বার্থান্ধ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সীমাহীন জুলুম ও কড়ালগ্রাস থেকে নিজেদের প্রাপ্য অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্যই, দেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে রপ্তানি উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সরকারের স্বদিচ্ছাকে স্বাগত জানিয়ে ‘অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন (খসড়া)-২০২৩’ অবিলম্বে পাস ও কার্যকর করা প্রয়োজন।

মো. আতাউল গনি রাব্বানী ।। ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রেষণ), বিএলআরআই