ছবি : সংগৃহীত

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্বনেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তার সুদক্ষ নেতৃত্ব, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও কর্মকুশলতার উজ্জ্বল আলোয় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এককথায় জি-২০ শীর্ষ নেতারা শেখ হাসিনায় মুগ্ধ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)-এর প্রেসিডেন্সিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ‘জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৩’-এর সভাপতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে এবং আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই গ্রুপের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ জি-২০ এর সদস্য নয়। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র ভারতই জি-২০ এর সদস্য। আর এবারের শীর্ষ সম্মেলনের স্বাগতিক দেশও ছিল ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই একমাত্র এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।

আরও পড়ুন >>> আমেরিকার প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য কতটা উপকারী? 

জি-২০ সম্মেলনের সময় বাংলাদেশের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সাথে একটি সেলফি তোলা। এটি এমন সময়ে হলো যখন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ঢাকার ওপর তার চাপ বাড়াচ্ছে। মে মাসে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার সাথে যুক্ত বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বাংলাদেশের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সংবাদপত্র (১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) উল্লেখ করেছে যে, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং তার মেয়ের সাথে হাসিমুখের সেলফি এটি প্রদর্শন করে যে সম্পর্কে আর টানাপোড়েন নেই।’ যদিও বাইডেনের সেলফি তোলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হাসিনার জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব লক্ষ্য করা যেতে পারে। কয়েক মাসে কিছুটা অনড় থাকার পর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এটি গলিত সম্পর্কের সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের মনোবল বৃদ্ধিকারী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেলফি পর্বটি শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ইন্ডিয়া ন্যারেটিভের (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সাথে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান অবশ্য বলেছিলেন যে সেলফি পর্বটি, যদিও এক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক ব্যাপার, তবে খুব বেশি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত নয়। যদিও সেলফি পর্বে খুব বেশি লেগে থাকা উচিত নয় এবং আমরা জানি না যে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে কি না, যদিও ঘটনাটি ইতিবাচক বার্তা বয়ে এনেছে।

বাইডেনের সেলফি ছাড়াও, হাসিনার সাথে কথা বলার সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)-এর হাঁটু গেড়ে থাকার ছবিও ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে। হাজার হাজার বাংলাদেশের নাগরিক হাসিনার প্রশংসা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলো এমন মন্তব্যে সরব হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, কয়েক মাসে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের বর্ধিত সম্পৃক্ততা একজন বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে হাসিনার ভাবমূর্তিকে আরও বৃদ্ধি করেছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ তার আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির হারকে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২২-২৩ সালে, একটি অস্থায়ী অনুমান অনুসারে ৬.০৩ শতাংশ বৃদ্ধির হার লক্ষ্য করা গেছে। দেশটি এখন ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আশ্চর্যজনকভাবে, দেশের বিরোধী শক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জো বাইডেনের সাথে শেখ হাসিনার সেলফি পর্বটি ভালোভাবে নিতে পারেনি। ‘আপনার গলায় সেলফি ঝুলিয়ে রাখুন। এটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। আপনি জনগণকে বলার চেষ্টা করছেন যে বাইডেন এখন আপনার সাথে আছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের ইংরেজি সংবাদপত্র বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এ বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন >>> কূটনীতির নতুন মাত্রা 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে তার সফল সফরের বিষয়ে বলা যায়, তিনি শুধু জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেননি বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিশ্ব নেতাদের সাথে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন। বিগত সপ্তাহ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং ঘটনাবহুল।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ (Sergey Lavrov) এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron)-কেও আতিথ্য দিয়েছে। ল্যাভরভ শীর্ষ সম্মেলনের একদিন আগে ঢাকায় এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করলেও, ম্যাক্রোঁ শীর্ষ সম্মেলনের ঠিক পরপরই দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে দুই দিনের সফরে যান।

রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথমবারের মতো ঢাকা সফর। ঢাকায় ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বিশ্ব মঞ্চে তার স্থান পুনরুদ্ধার করছে।’ গত মাসে জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনেও যোগ দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। ‘জি-২০ সম্মেলনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের পর বাংলাদেশের অনুভূতি খুবই ইতিবাচক। এটি বাংলাদেশে তার ভাবমূর্তিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে, এই পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের একজন সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ বদরুল আহসান-এর। তিনি আরও বলেন, ‘জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন এবং শীর্ষ সম্মেলনে অন্যান্য নেতাদের সাথে তার ব্যস্ততা (বাংলাদেশ) প্রধানমন্ত্রীকে অনেক সদিচ্ছা অর্জনে সহায়তা করেছে।’

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ভারতে পৌঁছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একই দিনে নয়াদিল্লিতে তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বাসভবনে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। দুই দেশ ডিজিটাল পেমেন্ট মেকানিজমের ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট মেকানিজমের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। আরেকটি সমঝোতা স্মারক ২০২৩-২০২৫ এর জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি (সিইপি) পুনর্নবীকরণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

ভারতীয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (আইসিএআর) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)-এর মধ্যে তৃতীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শেখ হাসিনার ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (সিইপিএ) ওপর আলোচনা শুরু করার জন্য উন্মুখ ছিলেন, যা পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্য বিষয়াদিকে সংযুক্ত করে এবং বিনিয়োগকে সুরক্ষা ও প্রচার করেছে।

আরও পড়ুন >>> বৈশ্বিক খাদ্য সংকট : বাংলাদেশ কি প্রস্তুত?

রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, পানিসম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সংযোগসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পূর্ণ পরিসর নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন। আলোচনার মধ্যে সাম্প্রতিক আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০২৩ সালের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের থিম ছিল, ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। থিমটি মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ এবং অণুজীবের মূল্য, পৃথিবী গ্রহে এবং বৃহত্তর মহাবিশ্বে তাদের আন্তঃসংযুক্ততা নিশ্চিত করে।

বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করতে জি-২০ সম্মেলনে ৪টি প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের পৃথিবীকে শক্তিশালী করতে এবং বাঁচাতে জি-২০ অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ। আমাদের একে অপরের এবং আমাদের মা ধরিত্রীর যত্ন নেওয়ার জন্য নিজেদের পুনরায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালে গঠিত জাতিসংঘ মহাসচিবের গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের অন্যতম চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সুপারিশগুলো তুলে ধরেন। অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময়, তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা চাই যা দারিদ্র্য বিমোচনের সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন, সংঘাত প্রতিরোধ এবং জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজের জন্য প্রযুক্তিগত স্থানান্তরের জন্য অর্থায়ন করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এই শীর্ষ সম্মেলনটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ‘আমাদের মা ধরিত্রী’ জলবায়ু পরিবর্তনের একাধিক সংকট, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি, নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জ দ্বারা প্রভাবিত। এই চ্যালেঞ্জগুলো সবার জন্য, মানবজাতির জন্য, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য ভাগ করা ভবিষ্যৎসহ একটি সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা অপরিহার্য করে তোলে।

তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হলো মানুষ এবং আমাদের মাতৃভূমি কেবল পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমেই বিদ্যমান থাকতে পারে। সুতরাং, আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টা সবুজ এবং টেকসই উন্নয়নের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। ...এখন, আমরা বৃত্তাকার অর্থনীতির পদ্ধতিও নিচ্ছি। ...বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তনে নগণ্য অবদান রাখা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এর পরিণতির শিকার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন >>> পাকিস্তান : কান্ট্রি অব থ্রি ‘এ’ 

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক সাক্ষাৎকার সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে। এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেন, জি-টোয়েন্টিতে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভারত আমাদের সম্মানিত করেছে।

মোমেন বলেন, সম্মেলনের পুরো সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি তার প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনাকে অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে উৎসাহিত করেন। আমরা খুব গর্বিত এবং প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা)ও উল্লেখ করেছেন যে ভারত আমাদের অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে আমাদের সম্মানিত করেছে এবং আমরা ভারতের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তারা গ্লোবাল সাউথের সমস্যাগুলো উত্থাপন করার জন্য আমাদের একটি সম্মান এবং বিশেষাধিকার দিয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের সমস্যাগুলো উত্থাপন করে আসছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে নেতা, আমরা নারীর ক্ষমতায়নে নেতা, আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নেতা এবং জি-২০ নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উত্থাপিত সেই বিষয়গুলো উন্মোচন করেছেন।

অধ্যাপক অরুণ কুমার গোস্বামী ।। পরিচালক, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ঢাকা; সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, এবং সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা