নির্বাচনী বছরে বাজেটে বাজিমাত কতটুকু সম্ভব?
১ জুন ২০২৩। আর্থিক বছর ২০২৩-২০২৪ এর জন্য আমাদের মাননীয় মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়, আ হ ম মুস্তফা কামাল, দেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে পেশ করেছেন। বাজেটে ব্যয়ের আকার ধার্য করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যা জিডিপির আকারে ১৫.২ শতাংশ এবং চলতি বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ১২.৩৫ শতাংশ বেশি।
'উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা' শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিক ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকসহ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা এবং বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
বিজ্ঞাপন
প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার ৫ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬৭ হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর মাধ্যমে কর সংগ্রহ হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ও কর বহির্ভূত উৎস থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন >>> বৈশ্বিক মন্দা ও বাংলাদেশের প্রস্তুতি
চলতি বছরেও জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার একই ধরা হয়েছিল। তবে, অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে চলতি বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশে দাঁড়াবে বলে সরকার আশা করছে। কাঙ্ক্ষিত জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার আগামী অর্থবছরে সরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে জিডিপির ৬ দশমিক ৩ শতাংশে ধার্য করেছে।
যদি বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হয় তবে অবশ্যই সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অর্জন করে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে আরও এক ধাপ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস্তবে এর সঠিক বাস্তবায়ন কি আদৌ সম্ভব?
প্রস্তাবিত বাজেট বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে প্রাক্কলন করা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়, আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত থাকবে। কেননা, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে এসেছে। এছাড়া দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় ও খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার কোটি টাকা যা চলতি বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লক্ষ ৬৯ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৯৪ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করা হবে। বাজেটের বাকি ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৪ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা।
করোনা অতিমারির দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি পুনরুদ্ধার, চলমান মূল্যস্ফীতি, আর্থিক সংকট, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রদত্ত ঋণের শর্ত পূরণের চাপ ছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিবেচনায় রেখে এই বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাজেট এমনভাবে করা হয়েছে যে, মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
আরও পড়ুন >>> সন্নিকটে সংকট, শঙ্কিত কি অর্থনীতি!
নির্বাচনী বছরে সরকার জনবান্ধব বাজেট তৈরি করে রাজনৈতিক বাজিমাত করবে এটাই স্বাভাবিক। তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের ভেতর এমন বাজেট উপহার দেওয়া সত্যি ঈর্ষণীয় ব্যাপার। যদি বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হয় তবে অবশ্যই সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অর্জন করে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে আরও এক ধাপ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস্তবে এর সঠিক বাস্তবায়ন কি আদৌ সম্ভব?
দীর্ঘস্থায়ী কোভিড-১৯ বৈশ্বিক অতিমারির মহা বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ব্যাপকতার কারণে আমাদের চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরটি শুরুই হয়েছিল কতগুলো নেতিবাচক ও খারাপ অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে।
নেতিবাচক এই সূচকগুলো এখনো বর্তমান এবং এগুলোর ভালো অবস্থায় ফিরে আসার তেমন কোনো উজ্জ্বল সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। বরং তা আরও গভীর ও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির আস্ফালন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হ্রাস, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট, মুদ্রা পাচার, ইত্যাদি আরও বেড়েছে। মোটের ওপর, আমাদের অর্থনীতিতে একটি দৃশ্যমান সংকট বিদ্যমান।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ২০২৩ এবং তৎপরবর্তী সময়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে আর্থিক মন্দা ও খাদ্য সংকটের পূর্বাভাস দিয়েছে। আমাদের সরকারও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করে সব ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রতার ওপর জোর দিয়েছে।
আর্থিক সংকটের কারণে সরকারি কৃচ্ছ্রতা সাধনের ফলে চলমান অর্থবছরে অনেক খাতেই সরকার ব্যয় সংকোচন করেছে। সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয় ১৭ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা হ্রাস করা হয়েছে। ব্যয় সংকোচনের ফলে জনকল্যাণও সংকুচিত হয়েছে। তাই, চলমান আর্থিক সংকট বজায় থাকলে প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে ব্যয়ের লক্ষ্য অর্জন কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যায়।
আরও পড়ুন >>> আইএমএফের ঋণ : ইতিহাস যা বলে
তবে, আর্থিক সংকট চলমান থাকলেও নির্বাচনী বছর হওয়ায় সরকারের পক্ষে বৎসরের প্রথমার্ধে কৃচ্ছ্রতা সাধন হয়তো সম্ভব হবে না। কেননা, নির্বাচনী বছরে নির্বাচনী ব্যয় ছাড়াও গৃহীত প্রকল্পগুলোয় সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতিতে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া, প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার, সভা ও জনসংযোগ ইত্যাদির জন্য মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় তো রয়েই গেছে।
মোট কথায়, নির্বাচনী অর্থ বছরে নির্বাচনের কারণে অর্থনীতির মূল্যস্তরের ওপর বাড়তি একটি চাপ পড়বে যা সামাল দিয়ে ভোটের আগে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা বর্তমান আওয়ামী লীগ সমর্থিত সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
আগামী বাজেটে ও নির্বাচন উভয় ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাবে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটা অবশ্যই ভাবনার বিষয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। বর্তমানে এই হার হয়তো আরও বেশি। যদিও চলতি বছরের বাজেটে প্রাক্কলিত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ যা কখনোই ধরে রাখা যায়নি। আইএমএফ অনুমান করছে যে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে প্রায় ৯ দশমিক ১ শতাংশে।
অধিকন্তু, বাজেট ঘোষণার পরপরই যথারীতি দ্রব্যমূল্য আরও এক ধাপ বৃদ্ধি পেয়ে তা কোথায় দাঁড়াবে সেটা শুধু সময় বলে দেবে। চলমান মূল্যস্ফীতির আস্ফালন নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে এই বাজেটে কতটুকু জনতুষ্টি সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েই যায়।
নির্বাচনী বছর হওয়ার কারণেই হয়তো আইএমএফের চাপ থাকা সত্ত্বেও সরকার ভর্তুকির পরিমাণ না কমিয়ে বরং বৃদ্ধি করেছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকির প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা যা চলতি বছরে তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আবার একই সাথে সরকারি সেবা নিতে হলে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর ধার্য করেছে। জমি-ফ্ল্যাটের নিবন্ধনে বিদ্যমান করের হার বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিত্তবানদের নিট সম্পত্তির ও দ্বিতীয় গাড়ি কেনার উপর সারচার্জ আরোপ করে নতুন করে করের পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আইএমএফ কর জিডিপি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ করার কথা বলেছে। অনেকেই বলছেন যে, আইএমএফের চাপেই সরকার করের হার ও পরিধি বৃদ্ধি করতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন >>> দুঃখী মানুষের বাজেটের সন্ধানে
আইএমএফের দেওয়া ঋণের শর্ত পূরণে সরকার ইতিমধ্যে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আগামী জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে। সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আগামী অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে জিডিপির ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ হওয়ার যে প্রত্যাশা করা হচ্ছে তা পূরণ হওয়া অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। আর বিনিয়োগ বৃদ্ধি না পেলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে।
নির্বাচনী বছর হওয়ার কারণেই হয়তো আইএমএফের চাপ থাকা সত্ত্বেও সরকার ভর্তুকির পরিমাণ না কমিয়ে বরং বৃদ্ধি করেছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকির প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা যা চলতি বছরে তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
মূল্যস্ফীতির সাথে সাথে যদি জনগণের আয়ও বৃদ্ধি পায় তবে মূল্যস্ফীতির প্রভাব জনজীবনে তেমন কোনো দুর্ভোগ নিয়ে আসতে পারে না। তবে এই বাজেটে ব্যক্তি আয় বৃদ্ধির চেয়ে ব্যক্তি ব্যয় সংকোচনের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
অনেক পণ্যের উপর আমদানি কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণের কৌশল বিদ্যমান আছে। বিদেশে ভ্রমণ কর আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলমান মূল্যস্ফীতি বাজেটে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ হওয়ার পরও সরকারি কর্মচারীদের বেতন আগের মতোই রয়ে গিয়েছে।
আগামী অর্থবছরের জন্য ভালো দিকও রয়েছে। যেমন—প্রবাসী ও রপ্তানি উভয় খাতেরই আয় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ১ হাজার ৪০১ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশের মতো।
আরও পড়ুন >>> অর্থনৈতিক মন্দার শিকড় কোথায়?
তাছাড়া, আগামী বাজেটে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ১.১৮ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সামনে রেখে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের নারী ও যুবশক্তি কাজে লাগাতে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আগামী বাজেটে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
পরিশেষে, দেশীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাবের কারণে সহসাই আমাদের আর্থিক সংকট কেটে যাবে এমনটি মনে করা যাচ্ছে না। তাই, আগামী অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটটি এ যাবৎ কালের সর্ব বৃহৎ বাজেট হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের পর যারাই সরকার গঠন করুক না কেন তাদের অবশ্যই ব্যয়ে লাগাম টানতে হবে।
আপাতত প্রয়োজনীয় নয় এমন উন্নয়ন খাতে ব্যয় স্থগিত কিংবা পরিহার করতে হবে। তাই, প্রস্তাবিত এই বাজেটের কর্মক্ষমতা আগামী অর্থবছরের শেষার্ধে ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
নীলাঞ্জন কুমার সাহা ।। ডিন, ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজ ও অধ্যাপক, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়