বঙ্গবন্ধু ও শান্তি
১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ (ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিল) কর্তৃক মর্যাদাপূর্ণ জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়েছিল। এটা কোনো আশ্চর্যজনক বিষয় ছিল না, কারণ শান্তির আলোকে সমুন্নত ছিল বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের মূলমন্ত্র ছিল শান্তি, সৌন্দর্য, ভালোবাসা, মুক্তি ও স্বাধীনতা।
জীবনের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু জন্মস্থানের প্রাকৃতিক পরিবেশে শান্তিপ্রিয়তার বীজ অঙ্কুরোদ্গম করেছিলেন। প্রসঙ্গক্রমে, তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সম্পাদিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ’ এর ‘১৫ আগস্ট ১৯৭৫’ লেখার বর্ণনা থেকে উদ্ধৃতি দেওয়া যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
লেখার শুরুতেই লেখক শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ার প্রাকৃতিক পরিবেশের অনবদ্য বিবরণ তুলে ধরেছেন। লিখেছেন—‘মধুমতী নদীর তীরের একটি গ্রাম। গ্রামটির পাশ দিয়ে আরও একটি নদী বয়ে গেছে-বাইগার নদী। মধুমতী ও বাইগার নদীর সঙ্গে সংযোগকারী একটি খাল রয়েছে। মূলত নদী, শাখা নদী আর খাল দিয়ে পরিবেষ্টিত সবুজ-শ্যামল ছায়াময় তাল-তমাল-হিজল গাছের ছায়াঘেরা সুন্দর গ্রামখানি (পৃষ্ঠা-৪৩)।’
আরও পড়ুন >>> তোমাদের যা বলার ছিল, বলছে কি তা বাংলাদেশ?
সুন্দর ও শান্তিময় গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কবির বর্ণনার ‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়’ এর প্রতিচ্ছবি। এই পরিবেশেই জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ কেটেছে। এখানেই তার শৈশব ও কৈশোর কাল অতিবাহিত হয়েছে। রাজনীতির শুরুও হয়েছিল এখান থেকে। উদ্দেশ্যের প্রতি সৎ থাকার শিক্ষা পেয়েছিলেন তার পিতার কাছ থেকে। শিক্ষার প্রতি অনুরাগও পরিবার থেকে পেয়েছিলেন।
রাজনীতিতে প্রবেশের পরেও তিনি টুঙ্গিপাড়ার ‘সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ’ পরিবেশে ‘বারে বারে’ ফিরে এসেছেন। আর এই পরিবেশ থেকেই বঙ্গবন্ধুর মধ্যে সৌন্দর্য ও শান্তির প্রতি আকর্ষণ ও অঙ্গিকারের সূত্রপাত ঘটেছে। মানুষের প্রতি তার ভালোবাসার উৎপত্তিও সেখান থেকে অঙ্কুরিত হয়েছে।
শান্তির প্রতি অঙ্গিকার এবং জনগণের প্রতি ভালোবাসার কারণেই তিনি বাঙালিদের ওপর ধর্মের নামে চলা পাকিস্তানের শোষণ, বঞ্চনা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণ সংগঠিত করেছেন। বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে পরিশেষে মানুষের জন্য ‘শান্তি’ এবং মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ‘ভালোবাসা’র অঙ্গিকারই বঙ্গবন্ধুকে উদ্বুদ্ধ করেছে বাঙালিদের জন্য ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের ঘোষণা দিতে।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সমগ্র বিশ্বের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে একটি জাতি হিসেবে গঠনের লক্ষ্যে তার আত্মত্যাগের জন্য যথার্থভাবেই তাকে ‘বিশ্ববন্ধু’ বলা হয়। এটি বাংলাদেশের স্থপতির উপর শুধু একটি আবেগপ্রবণ পর্যবেক্ষণ নয়। এটাই বাস্তবতা যা তিনি সারাজীবন প্রমাণ করেছেন।
আরও পড়ুন >>> বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সত্যিই বেদনাদায়ক
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরপরই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি প্রণয়নের সময় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘আমরা একটি ছোট দেশ, আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ চাই না’। সেই থেকে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়’ বাংলাদেশের ট্যাগলাইন।
‘শান্তি’র জন্য বঙ্গবন্ধু তার জীবন ও যৌবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবনে মোট ৪ হাজার ৬৮২ দিন জেল খেটেছেন। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেডিকেল চেকআপের জন্য যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এটি ছিল তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি বার্মিংহামে একটি সভা করেন। বার্মিংহাম প্যালেসে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় রানি এলিজাবেথ এবং ডিউক অব এডিনবারার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথ বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানান এবং পরে তার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই মুহূর্ত থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ কূটনীতির জন্ম। এখান থেকেই তিনি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
পরবর্তীতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বদেশ পুনর্গঠিত করে দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে ‘শান্তি’ স্থাপনের কাজে মনোনিবেশ করেন। তারই স্বীকৃতি মিলেছিল ১৯৭৩ গ্রালের ২৩ মে।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত করে। উল্লেখ্য, বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে এই পদক দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১৯৭২ গ্রালের ১০ অক্টোবর।
দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার এক বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া এই পদক ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের জন্য যা মর্যাদা বয়ে এনেছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের বেশিরভাগ সময় রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে রাজনীতিতে কাটিয়েছেন। বাঙালিদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ঔপনিবেশিক ও অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন-প্রথমে প্রায় সাত বছর ধরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এবং পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৪ বছর।
আরও পড়ুন >>> এই দুঃখ কোথায় রাখি?
যদি আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে তার দীর্ঘ, কঠিন সংগ্রাম এবং সাড়ে তিন বছরের শাসনের দিকে তাকাই, তবে তিনি বাঙালি এবং অন্যদের জীবন গঠনের জন্য একটি ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, বিশ্বকে একটি ভালো জায়গায় রূপান্তরিত করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর কয়েকটি সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক আদর্শ ও লক্ষ্য ছিল এবং সেগুলো অর্জনের জন্য তিনি ধারাবাহিকভাবে কাজ করেছেন। তার কৃতিত্বের মাধ্যমে, তিনি আমাদের এবং বিশ্বের সামনে ভালোবাসা, শান্তি এবং স্বাধীনতার একটি দর্শন উপস্থাপন করেছিলেন।
মেরি কুরি এবং পিয়েরে কুরি ছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী। রেডিওলজির উপর উইলিয়াম রোনজেনের আবিষ্কারের পর, কিউরিরা তাদের গবেষণা চালিয়ে যান, পোলোনিয়াম এবং রেডিয়াম উপাদান আবিষ্কার করেন। তাদের উদ্ভাবন পদার্থবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করে।
১৯৫০ সাল থেকে, বিশ্ব শান্তি পরিষদ ফ্যাসিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াই এবং মানবতার কল্যাণে শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থাকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদান করে আসছে।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধুকে কারারুদ্ধ করা হয়। বঙ্গবন্ধু পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন মেনে নিতে পারেননি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক বিশাল জনসভায় শেখ মুজিব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।'
৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু মূলত স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ২৫ মার্চ মধ্যরাত ১২টার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হলে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। লাখো বাঙালির দাবি ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বিশ্ব পরিস্থিতি শান্তি, অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক শক্তি এবং গণতন্ত্র ও জাতীয় মুক্তির আন্দোলনের অনুকূলে পরিবর্তিত হয়। এই সময়ে উপমহাদেশে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সু-প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক স্থাপন এবং উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত-সোভিয়েত শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি ১৯৭১ এবং বাংলাদেশ-ভারত শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি ১৯৭২ এর মাধ্যমে উপমহাদেশে উত্তেজনা প্রশমন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু।
আরও পড়ুন >>> বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতার দ্বৈরথ
জোট নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করে এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের শান্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার ফলে বাংলাদেশ বিশ্ব পরিষদে ন্যায়বিচারক দেশের মর্যাদা পায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবার প্রতি বন্ধুত্বের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করে বলেছিলেন, 'পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তি মানুষ হত্যার জন্য অস্ত্র তৈরিতে অর্থ ব্যয় করছে, সেই অর্থ দরিদ্র দেশগুলোকে দিলে শান্তি আসতে পারে।'
সেই প্রেক্ষাপটে ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোয় বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্ট কমিটির বৈঠকে শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র ১৯৭২ সালে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের প্রস্তাব পেশ করেন। বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন ও বিশ্ব শান্তিতে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতি। বিশ্বের ১৪০টি দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে 'জুলিও কুরি' শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত পৃহীত হয়।
শান্তি পরিষদের সিদ্ধান্তের পর, বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭৩ সালের মে মাসে এশিয়ান পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি কনফারেন্স উপলক্ষে ঢাকায় দুই দিনব্যাপী একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ব শান্তি পরিষদের শাখার অনেক প্রতিনিধি এই সভায় যোগ দেন। প্রতিনিধিরা ছাড়াও আরও কমপক্ষে চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ এই শান্তি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র একটি সুসজ্জিত প্যান্ডেলে বিশ্ব শান্তি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে 'জুলিও কারি' শান্তি পদক প্রদান করেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের খোলা চত্বরে। তখন তিনি বলেন, শেখ মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধু নন, আজ থেকে তিনি বিশ্ববন্ধুও।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ পাওয়ার ৫০ বছর পর শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আজ এটিও উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক হবে যে তার প্রদর্শিত পথ ধরে রাষ্ট্র পরিচালনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অনেক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ও পদক অর্জন করেছেন। দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমরা সবাই তাই ধন্য বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার জন্য।
অধ্যাপক অরুণ কুমার গোস্বামী ।। পরিচালক, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ঢাকা; সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, এবং সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়