ঠিকঠাক জায়গায় বার্তা ‘পাঠান’
বাংলাদেশে যখন ‘পাঠান’ আসব আসব করছে, কিংবা কাগজে-কলমে আসার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা হয়ে গেছে এবং গণমাধ্যম খবর দিতে শুরু করেছে, ঠিক তখন আমার মাথায় একটা বিজ্ঞাপনী পাঞ্চলাইন ঘুরঘুর করতে থাকল। কিন্তু যেহেতু আমার সাথে কোনো বিজ্ঞাপনী সংস্থাই যোগাযোগ করে না, আমারও আর ওই বুদ্ধি কাউকে বলা হলো না। আমি ভেবেছিলাম একটা সরবরাহকারী মেসেঞ্জার কোম্পানি এরকম বিজ্ঞাপন করতে পারত—‘পাঠাও কিংবা পাঠান, আমাদেরকে দিয়েই পাঠান’। এরকম একটা বিজ্ঞাপনে, আমি ভাবছিলাম, এই চলচ্চিত্রের আমদানিকারক ও পরিবেশকের পাশাপাশি ওই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি যুগপৎ লাভ ভাগ করে নিতে পারত। জীববিদ্যায় যাকে বলে মিথোজীবিতা।
এখন লাভ-লোকসানের বিষয় যেহেতু আসলোই, সপ্তাহখানেক পর কী ধরনের মুদ্রাপ্রাপ্তি ঘটেছে তার খোঁজ নিতে বসলাম। সাইবার কালে সুবিধা অনেক। দেখা গেল, আমদানিকারক-পরিবেশক ঠিক ভেঙে বলতে চাইছেন না। বললেও যে লোকজন ওটা অবিকল মেনে নিতেন এমনও ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। কিন্তু আসলেই কি আমাদের কারও উপর ভরসাই করতে হবে? একটু চেষ্টা করলেই কি এই মুভিখানার আয়-পাত্তি বাংলাদেশে আমরা আন্দাজ করতে পারব না? একটা খসড়া আন্দাজ করা কিছুতেই কঠিন না। হলের সংখ্যা, আয়োজনের খরচ, টিকেটের দাম, টিকেট বিক্রির সংখ্যা আর এই মারাত্মক পণ্যখানা আমদানির খরচ ইত্যাদি হিসাব করে এক সপ্তাহে যে কোটিখানেক টাকা লভ্যাংশ তুলতে পারেনি সেটা বোঝার জন্য গণিত বা অর্থশাস্ত্র কোনোটারই ডিগ্রি লাগবে না আমাদের। এর মানে হলো, ভারতীয় চলচ্চিত্র বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বাজার ‘খেয়ে ফেলবে’ আর্তনাদটা যারা করেন তারা অঙ্কের হিসাবে করেন না। বাজারটা কই? সিনেমা হলইবা কই?
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন >>> গল্প বলার স্বাধীনতা চাই
ফলে ওই আবোল-তাবোল বিশ্লেষকদের বাইরে তাকানো দরকার। হয়তো ভালো হবে যারা ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’ লজিক দিয়ে আগাচ্ছেন। আসলে আলাপগুলো যথেষ্ট মিলমিশ করেই আছে। তারপরও প্রবণতা হিসেবে স্বতন্ত্র ধরে আগানো যায়। ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’ অন্তত না-থাকা ‘বাজারটাকে খেয়ে ফেলা’র থেকে মেধাবী আর্তনাদ।
অনেক বছর আগে আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন এমন এক খালাম্মার বাসায় সেজান জুসের কাগুজে প্যাকেট নিয়ে গেছি। তখনো সেজান পাকিস্তানের জুস বলে পরিচিত ছিল; আর এর গায়ে কিছু কিছু উর্দু কথাও লেখা থাকত। যেহেতু উর্দুজ্ঞান থাকা এই পণ্য কেনার কোনো শর্ত ছিল না, আমি অনায়াসেই সেজান জুস খেতাম। খালাম্মা ভীষণ রেগে গেলেন যে কেন আমি পাকিস্তানের পণ্য কিনলাম। আমার ধারণা তিনি পাকিস্তানের আমের (যদি ভেতরে থেকে থাকে) গুণাগুণ কিংবা বাংলাদেশি আমের বাজার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় রাগ করেননি। তার জন্য পাকিস্তানের ব্র্যান্ডের প্রতি আমার (বা অন্যদের) আনুগত্য অগ্রহণযোগ্য ছিল।
ভারতীয় চলচ্চিত্র বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বাজার ‘খেয়ে ফেলবে’ আর্তনাদটা যারা করেন তারা অঙ্কের হিসাবে করেন না। বাজারটা কই? সিনেমা হলইবা কই?
‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’ আরকি! তার জাতীয়তাবাদের প্রতি আমার যাই থাকুক, তার প্রতি আমার অবারিত শ্রদ্ধা ছিল। শেষমেশ বিলাতের জিনিসপাতির সাথে তুলনা করে, বিলাতের সাথেও আমাদের ২০০ বছরের শত্রুতা ইত্যাদি বলে টলে পরিত্রাণ পাই। তাছাড়া একটা মীমাংসা না হলে আমি জুসটা আরাম করে খেতেও পারছিলাম না। বলাই বাহুল্য, তিনি খাননি। ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’-এর অভিযোগ বা বোধ চিরকালই আপন-পর বোঝাবুঝির সাথে সম্পর্কিত। যখন প্রসঙ্গটা ‘ভারতীয় পণ্য’র তখন ছায়াছবির নাম ‘পাঠান’ না হয়ে ‘চক্রবর্তী’ বা ‘আয়েঙ্গার’, ‘জাঠ’ কিংবা ‘মারাঠি’ হলেও বিশেষ তারতম্য হতো না। কিন্তু প্রসঙ্গটা কোথায় কোথায় আছে তার হিসাব অত সহজ নাও হতে পারে, সাংস্কৃতিক পণ্যের বেলায়। ভারতের ছায়াছবি কোনো অখণ্ড-অটুট বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বস্তুও নয়। যাকে ‘বাণিজ্যিক ধারার’ বলা হয়ে থাকে সেসব হইচই ছবি বনাম বাস্তবতাবাদী গল্পের মধ্যকার তুলনা বাদ দিলেও, ভারতে অজস্র ভাষায় ছায়াছবি হয় আর মানুষজন বড়জোর হিন্দি ছবির আসতে পারা (বা আটকাতে পারার) মধ্যেই আছেন। তথাকথিত জনগণের কথা বাদই দিলাম, আমার মনে হয় না সরকারও ‘দিল সে’ কিংবা ‘রোজা’র মতো ‘মেইস্ট্রিম’ ছায়াছবি আনার ক্ষেত্রেও একই রকম আরামসে সই করে দিতে পারতেন; প্রথমটা এমনকি শাহরুখ-স্টারার।
আরও পড়ুন >>> সিনেমা হোক দখিনা হাওয়ায় দুরন্ত পালতোলা নাও
কারণটা খুবই সহজ। বাংলাদেশের দৃশ্য দুনিয়াতে এই মুহূর্তে ‘সেনাবাহিনি’ ইঙ্গিতপ্রাপ্ত হয়, হোক ভারতীয় সেনাবাহিনি, এমন কিছু বিরাজ করতে থাকার সম্ভাবনা কম ধরে নিয়ে বললাম। আমার ধরে-নেওয়া ভুল হতে পারে এবং আমি জ্যোতিষও নই, কিন্তু প্রকরণ ও পদ্ধতিটা নিশ্চয়ই তাতে পাঠকের কাছে অপরিচিত লাগছে না। পাকিস্তানও একদা ভারতের ছায়াছবি উন্মুক্ত করে দিয়েও শাহরুখ তারকাখচিত ছায়াছবি নিষিদ্ধ করেছিল। সম্ভবত ‘মাই নেইম ইজ খান’। নেটে খোঁজাখুঁজি করা যায়, কিন্তু জরুরি নয়। ‘রাইস’ নিষিদ্ধ এবং কারণ স্পষ্ট উল্লেখকৃত—মুসলিমদের জেনেরিকভাবে ক্রিমিনাল দেখানো হয়েছে বলে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মুক্তি’ আমার খুবই প্রিয়। তারপরও আমি নিজে, জাতীয়তাবাদীদের ভয় ছাড়াও, নানান কারণে বাংলাদেশে নিজ-উদ্যোগে দেখাতে চাইব না। এখানে একটা কর্তাসংকট আছে বলে। ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’ ভাষামালা উপরিভাগে যতই ভোঁতা হিসেবে আবির্ভূত হোক না কেন, এর গঠন গভীরভাবে একটা বিশেষ সময়ের রাষ্ট্রবাদী, রাষ্ট্রসংলগ্ন, জাতীয়তাবাদী উপাদান দিয়ে গঠিত। আর সেটা গতকাল যেরকম ছিল, আজকে অবিকল সেভাবেই থেকে যাবে তা ধরে নেওয়া আহাম্মুকি হবে।
আমি আশৈশব ‘অন্য’দের (অন্য রাষ্ট্রের) সাংস্কৃতিক দ্রব্যাদি দেখার-শোনার এবং দেখানো-শোনানোর পক্ষপাতী মানুষ। এত ছোটকাল থেকে যে ওটা রাজনৈতিক-দার্শনিক মীমাংসা থেকে এসেছে তা দাবি করা নিজের কাছেই হাস্যকর লাগবে। বরং, ওটা ছিল অসংলগ্ন অথচ নিবিড় কৌতূহল। যখন রেডিওর মালিকানা ছিল (আসলে ওইটাই ছিল কেবল শৈশবে), তখনো বাবার জিম্মার বাইরে পেলে কখনো কখনো বুঝতে পারি না এমন ভাষার স্টেশনগুলোও টিউন করতাম। ওটা নিছকই অজানার প্রতি কৌতূহল। আমার জৈবনিক আখ্যান আজকের প্রসঙ্গ নয়। কিন্তু যে কারণে তুললাম তা হলো সার্ক। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কিছু কিছু দৃশ্য সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা হিসেবে আমাদের পরিচিত হয়েছিল, টেলিভিশন মালিকানার কালে। কখনো প্রতিবেশীর বাসায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ভিজ্যুয়াল দেখাও ঘটেছে। সার্কের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের যে সম্ভাবনা (বা অন্তত ঘোষণা) দেখা দিয়েছিল তাতে এমনকি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিটিভিও হয়তো নেপাল কিংবা ভুটানের, পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার সাঙ্গীতিক কিছুর আয়োজন করে বসতেন। কতজন লোক সেসব অনুষ্ঠানে আনন্দ পেতেন তার খতিয়ান নিরর্থক হবে, যেহেতু ওটাই ছিল কমবেশি একমাত্র দৈনন্দিন ভিজ্যুয়াল প্রবাহ। খুব বেশিদিন এসব তৎপরতা চলেনি সেটাও বলাই বাহুল্য। সার্কের স্থবিরতা আরেকটা প্রসঙ্গ হতে হবে। আর সেটাতে ভারতের অসীম সামরিক ও রাজনৈতিক অভিলাষ কারণ হিসেবে দায়ীও করতে হবে। তবে নিজ নিজ রাষ্ট্রের সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ ওই সামান্য ক’দিন যে অন্যরাষ্ট্রের উৎপাদ দেখিয়েছিল, সেটাকে আমি ‘প্রতিবেশীর সংস্কৃতি’ বিষয়ে নাগরিকদের তালিম হিসেবে দেখি না, দেখি রাষ্ট্র পর্যায়ের তমিজ হিসেবে। এই তমিজ জরুরি (বলে আমি বিবেচনা করি)। কিন্তু, এখানে এসে রাষ্ট্রের (রাষ্ট্র-প্রতিষ্ঠানের) কূটনৈতিক-সাংস্কৃতিক বিবেচনা আর খোলাবাজারে সাবান-শ্যাম্পু বিক্রি আর কোটি টাকার আয়ও হয় না এমন সাংস্কৃতিক পণ্যের প্রভাব বৃদ্ধি একাকার করে দেখার পক্ষপাতী নই। আপনাদেরও একাকার করে না-দেখতে সুপারিশ করি।
৭০ বা ৭৫টা জোরাজুরি করে দাঁড় করানো, অর্ধেক ভাঙা আসনের, পর্দায় কালিঝুলি থাকা সিনেমা হলে ‘পাঠান’ দুই সপ্তাহ চলা বা না-চলাতে বাংলাদেশের মরা সিনেমা কারখানার কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি নেই।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে কোনো রকমের ক্রন্দনই আর মায়াকান্না বা ছিঁচকাঁদুনে না-হয়ে উপায় নেই। আপনি ঢাকা শহরের রাস্তার ১৮ ইঞ্চি আইল্যান্ডে বটবৃক্ষ রোপণ করার চার বছর পর কেন সেটা কারও ঘাড়ে পড়েছে এই বলে বিলাপ করলে আপনার বেকুবিতে মানুষের মায়ার বদলে বিরক্তি আসবে। চলচ্চিত্র বাঁচানোর জীবনীশক্তি নিয়ে আমি লাগাতার একই কথা বলি। আমাদের ‘নান্দনিকতা’ নয়, জীবনীশক্তি, যেকোনো ব্যুরোক্র্যাট যে ভাষায় পারঙ্গম সেই ‘লজিস্টিক্স’। অবকাঠামো সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান জীবনীশক্তি। অন্যান্য আবোল-তাবোল বকে নিজেদের বোধবুদ্ধির প্রতি তো অবিচার করেছেন, নতুন যুগের যারা চলচ্চিত্রের (বা দৃশ্যের) বিশ্লেষক-পাঠক হতে চেয়েছেন তাদের জন্যও আখাম্বা সব ফ্রেমওয়ার্ক হাজির করেছেন। ‘অবকাঠামো’র ঊর্ধ্বে নন্দন/শৈলী বা ‘রুচি’র আলাপ গুরুত্ব দেওয়া আমার প্রায় গৃহহীন লোককে সঠিক প্রক্ষালন ব্যবস্থার ‘সচেতনতা’ শিক্ষাদানের মতো কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ লাগে। হাজার খানেক প্রক্ষালন কক্ষের বিকল্প যেমন কোটিখানেক লোককে শিক্ষণ নয়, তেমনি ১৪০০ সিনেমা হলের অপমৃত্যুও চলচ্চিত্রীয় নন্দনবোধের অভাবে নয়। খোলাবাজার প্রতিযোগিতায় মিলনায়তন বা কোনো কমিউনিটি/এজমালি এলাকা যে টিকবে না সেটা না বুঝতে পারলে বরং আপনাদের ‘সচেতনায়ন’ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন >>> শনিবার বিকেল : খুলে যাক রুদ্ধ দ্বার
তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কেরালা বা কর্ণাটকের জনসংখ্যা গুগল করতে পারেন। সিনেমা হলের সংখ্যা গুগল করতে পারেন। একক-পর্দা কটি, বহু-পর্দা কটি ইত্যাদি। সাইবারের তথ্যে অবিশ্বাস রাখতে পারেন। সেসব ক্ষেত্রেও কিছু রাস্তা আছে। কয়েকটা সার্চ দিয়ে কয়েকটা সোর্সের প্রাপ্ত সংখ্যার গড় করে নিলে খুব সমস্যা হবে না। জাগরূক একটা কারখানা ক্রমাগত জাগরূক হয়েছে, এমনকি হিন্দি ভাষাভাষী সিনেমার সম্ভাব্য আধিপত্যের সামনেই। যারা খবর রাসখেন তারা নিশ্চয়ই জানেন এক ‘রাষ্ট্র’ হয়েও ছায়াছবির ‘বাজার’-এর লড়াইটা খুব জগাই-মাধাই কোলাকুলিমূলক নয় দাক্ষিণাত্যের সিনেমার সাথে মুম্বাইয়ের। আমাদের একটা জাগরূক ‘কারখানা’ কীভাবে আরও আরও মৃতবৎ এবং পরিশেষে মরা হয়ে গেল সেটার বিষয়ে নির্মোহ পর্যালোচনা দরকার। ৭০ বা ৭৫টা জোরাজুরি করে দাঁড় করানো, অর্ধেক ভাঙা আসনের, পর্দায় কালিঝুলি থাকা সিনেমা হলে ‘পাঠান’ দুই সপ্তাহ চলা বা না-চলাতে বাংলাদেশের মরা সিনেমা কারখানার কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি নেই।
যদি আজকের মতো দুইটা প্রশ্ন দিয়েই দিন চালাতে চান, তাহলে সেগুলো হতে পারে—সিনেমা হলের দুর্দশার একটা ঠিকঠাক বিশ্লেষণ আপনার আছে তো? অন্যান্য রাষ্ট্রের কোন ধরনের সাংস্কৃতিক পণ্যগুলো এমনকি রাষ্ট্রের ভর্তুকি দিয়েও দেখানো আপনি আশা করেন? এই দুটোর পর ওই প্রশ্নটা তখন একদম সাইড ডিশ—কোন স্পেসে? হতেও তো পারে মরার পাশে বিলাপের তুলনায় পোর্টালের নতুন জায়গায় দৃশ্যপ্রস্তাব থাকতে পারে আপনার। আর তার জন্যও অবকাঠামোই লাগবে, ভর্তুকিসমেত—রুচি-শৈলী-নন্দন দিয়ে নিছক হবে না আরকি!
মানস চৌধুরী ।। অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়