সম্ভাবনার নতুন দিনে ঢাকা পোস্ট
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অব মিডিয়া। বিশ্বজুড়ে সংবাদ মাধ্যমের আলোচিত ইস্যু। এক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী মিডিয়ার ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন প্রক্রিয়া চলছিল।
করোনা মহামারি এসে এই গতিকে আরও বেগবান করেছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবগুলো খাতই হয়তো একদিন স্বাভাবিক হবে। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের প্রচলিত যে ধারা তা কি আর মূলস্রোতে ফিরবে?
বিজ্ঞাপন
পৃথিবীজুড়ে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে কাগুজে সংবাদপত্র, যেগুলো এখন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে নতুন করে টিকে থাকার স্বপ্ন দেখছে এবং অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২১ সাল। তখনো চলছে করোনার তাণ্ডব। এমনি এক বিরুদ্ধ সময়ে ঢাকা পোস্টের জন্ম। ঢাকা পোস্টের শুরুটা একটু ব্যতিক্রম আয়োজনেই শুরু হয়েছে বলা যায়। সারাদেশে এক ঝাঁক তরুণ নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েছিল পাঠকের জন্য।
আরও পড়ুন >>> যেভাবে বদলে যাচ্ছে আধুনিক সাংবাদিকতা
বাংলাদেশে এমন তারুণ্যনির্ভর সংবাদ মাধ্যমের দেখা মেলে না। যেহেতু অনলাইন গণমাধ্যম তাই প্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ সংবাদকর্মীর সম্মিলন ঘটানো ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
ঢাকা পোস্ট শুরুতেই সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিল। মাত্র এক বছর বয়সেই পাঠকের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে।
একটি সংবাদ মাধ্যমের জন্য ২ বছর আসলেই কোনো সময় নয়। পাঠকের বিশ্বাসযোগ্যতা, আস্থার ঠিকানা হয়ে ওঠাই সংবাদ মাধ্যমের বড় চ্যালেঞ্জ।
শুরু থেকে আজ অবধি আমাদের নিরন্তর চেষ্টা চলছে পাঠকের প্রিয় প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার। আমাদের প্রত্যেক কর্মীই সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠার ২ বছরে ঢাকা পোস্ট খুব বেশি কিছু করেছে এমন দাবি করবো না। তবে, চেষ্টার কমতি ছিল না। পাঠককে বস্তুনিষ্ঠ খবর পৌঁছে দেওয়ার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা পোস্টকে প্রতিষ্ঠা করা, পাঠকের প্রিয় গণমাধ্যম হিসেবে পরিগণিত করার চেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন গণমাধ্যম যেকোনো মিডিয়ার চেয়ে খুব বেশি স্বচ্ছ। কারণ, এখানে পাঠক তার মতামত সরাসরি ব্যক্ত করার সুযোগ পান। অনলাইন মাধ্যমে বেশ কয়েকটি উপায়ে পাঠক তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারেন। তাই আমাদের প্রতিটি কদম ফেলতে হয় খুব সাবধানে। আমরা প্রতিনিয়ত পাঠকের পরামর্শ ও প্রতিক্রিয়া যথাযথ গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে থাকি।
আরও পড়ুন >>> অনলাইন সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশে মিডিয়ার ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এখনো সেই অর্থে শুরুই হয়নি। দু-চারটি প্রতিষ্ঠান বড় পরিসরে কাজ শুরু করলেও অধিকাংশই এখনো জোড়াতালি দিয়ে চলছে। এটি আসলেই কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা।
আপনারা জানেন পৃথিবীজুড়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে চ্যাটজিপিটি। পাল্লা দিয়ে খুব দ্রুতই এমন আরেকটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ট আনতে যাচ্ছে গুগল। চীনা প্রযুক্তিবিদরাও বসে নেই। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে তথ্যের অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়ে যাবে শিগগিরই। এসব উদ্ভাবনের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই সংবাদ মাধ্যমের এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা পোস্ট এসব বিষয় মাথায় রেখে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষীর নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম হতে চায় ঢাকা পোস্ট। নিত্য নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সাথে নিয়ে পাঠকের আস্থার ঠিকানা হবে ঢাকা পোস্ট।
পাঠককে ভিন্নধারার রিপোর্টিং উপহার দিতে কাজ করছে আমাদের গবেষণা টিম। পাঠকের পছন্দ মাথায় রেখে কনটেন্ট প্ল্যানিং করাই এখন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আমরা প্রতিনিয়ত এই কাজ যত্নের সঙ্গে করে থাকি। -
প্রিয় পাঠক, স্বাধীনতার ৫০ পেরিয়েছি আমরা। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ বিশ্ব দরবারে আলোচিত এক নাম।
আরও পড়ুন >>> গণমাধ্যম আইন : নিশ্চিত হোক মর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা
দুর্নীতি, দুঃশাসন সব বাধা অতিক্রম করে আজ আমাদের নিজেদের গর্ব করার মতো অনেককিছুই আছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সবকিছুই আজ বাস্তবতা।
আমরা নতুন দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আমরা দেশকে নিয়ে যেতে চাই অনন্য উচ্চতায়। দেশের সব ভালো-মন্দের সঙ্গী হতে চায় ঢাকা পোস্ট।
দুর্নীতি বিরোধী রিপোর্টিংয়ে আমরা আরও বেশি গুরুত্ব দেব সামনের দিনগুলোয়। আমাদের প্রয়োজন আপনাদের সমর্থন। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে থাকবেন। আমাদের উৎসাহ দেবেন। আমরা আপনাদের বঞ্চিত করবো না। শতভাগ চাহিদা পূরণ করতে না পারলেও হতাশ হবেন না।
মহিউদ্দিন সরকার ।। সম্পাদক, ঢাকা পোস্ট