শেখ হাসিনা : আলোর দিশারি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা চার দশক ধরে দেশের সবচেয়ে বড় দল আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এখন চতুর্থ দফায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়নের পাশাপাশি শেখ হাসিনার রয়েছে অনেক অর্জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। করোনাকালেও দেশের প্রবৃদ্ধি এশিয়ায় প্রায় সব দেশের উপরে। এসব কিছু অর্জন সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই। তবে এজন্য তাকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করতে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনা যখন দেশের মাটিতে পা রাখেন সেই সময় ঘাতক চক্রের দখলে ছিল রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা। ‘জয় বাংলা’ ‘বঙ্গবন্ধু’ এবং মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত আমাদের অহংকারের শব্দগুলো ছিল নিষিদ্ধ। এমন একটা অবস্থা থেকে তার ধারাবাহিক সংগ্রামী নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি রাষ্ট্র। শেখ হাসিনার জন্মদিন তাই আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
দুঃসহ সংকট
শেখ হাসিনার জীবনের গভীরতম সংকট ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। শেখ হাসিনা তখন স্বামী-সন্তান, ছোট বোন শেখ রেহানাসহ অবস্থান করছিলেন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। দেশে না থাকায় সেদিন তারা প্রাণে বেঁচে যান।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে কার্যকর সংসদ এবং সুশাসনের স্বপ্ন
শুরু হয় দুঃসহ এক জীবন। সেখানে অবস্থানকালে তিনি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পান। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার পরিবেশ ছিল না। সেনাশাসক জিয়াউর রহমান প্রায় ৬ বছর তাদের নির্বাসিত জীবনযাপনে বাধ্য করে। এই অবস্থায় প্রথমে জার্মানি, পরে ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করতে হয় তাদের।
ক্রান্তিকাল
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে নেমে আসে এক ক্রান্তিকাল। পরবর্তীতে জাতীয় চার নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও কামারুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়। গভীর সংকট দেখা দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করা হয়। সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ৬ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে ওই বছরের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।
দেশে ফেরার প্রথম দিন থেকেই তিনি রাজনৈতিক নির্যাতন-নিপীড়নের মুখে পড়েন। প্রাণনাশের হুমকি এবং দফায় দফায় তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তারপরও সব রাজনৈতিক বাধা পেরিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আলোর দিশারি।
শেখ হাসিনা যখন দেশের মাটিতে পা রাখেন, সেই সময় ঘাতক চক্রের দখলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসন। ‘জয় বাংলা’ ‘বঙ্গবন্ধু’ এবং মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত আমাদের অহংকারের শব্দগুলো ছিল নিষিদ্ধ।
সংগ্রামী পথচলা
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করার পর সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হন শেখ হাসিনা। তিনি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন : ভোটের গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার
দীর্ঘ এই যাত্রায় নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে, কারাভোগ করে, একাধিকবার গৃহবন্দী হয়ে, হত্যা চেষ্টা থেকে বেঁচে গিয়ে তিনি চারবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়েন। বাঙালি জাতির কাণ্ডারি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
নেতৃত্বের চড়াই-উতরাই
শেখ হাসিনা দেশে ফেরার কয়েকদিনের মধ্যে ঘটে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড। ফের নেমে আসে সামরিক শাসন। ক্ষমতার দণ্ড হাতে নিয়ে এরশাদ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কঠোরভাবে দমন করতে থাকেন; যেমনটি করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
শেখ হাসিনাসহ বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকে আটক করে রাখা হয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে। সেই সময় রাজপথের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ছিল সামনের সারিতে। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তীতে শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পরও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের সংগঠিত হতে থাকে আওয়ামী লীগ। এই সময় আসতে থাকে একের পর এক আঘাত।
১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামে ১৫ দলের সমাবেশে যোগ দিতে গেলে তার গাড়ি বহরে গুলি চালানো হয়। নানা ষড়যন্ত্র করে ২১ বছর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়েছে। সামরিক শাসকেরা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এই সময় গড়ে তোলে দুটি রাজনৈতিক দল- বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগে ভাঙন ধরানো ছিল তাদের টার্গেট। কিন্তু দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা ছিল শেখ হাসিনার সঙ্গে।
সাফল্য
শেখ হাসিনা সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর দল পুনর্গঠন ও তৃণমূলে শক্তি বাড়তে থাকে। একইসঙ্গে তিনি অন্তত চারটি আন্দোলন সফলভাবে পরিচালনা করেন। ১৯৮৪ সালের উপজেলা নির্বাচন বাতিল, ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে এরশাদের পতন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে খালেদা জিয়াকে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করা।
১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীত্বের প্রথম মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম সাফল্য ছিল ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে ৩০ বছরের চুক্তি এবং পাহাড়ে সংঘাত নিরসনে সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। এছাড়া কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করেন।
আরও পড়ুন : স্বাধীনতা-পরবর্তী গণ আন্দোলন
আজ বঙ্গবন্ধুর আত্ম স্বীকৃত খুনিদের বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন তিনি। এই সময় খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে সরকার। নানাবিধ জনকল্যাণমুখী কাজের জন্য শেখ হাসিনার সরকার প্রথম মানুষের আস্থা অর্জন করে।
২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের প্রহসনের নির্বাচন রুখে দেয় আওয়ামী লীগ। নানা সংকটময় পরিস্থিতির পর ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পটপরিবর্তনের ফলে রাজনীতির মঞ্চে আবির্ভূত হয় ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকার। ফের অনিশ্চয়তায় পড়ে বাংলাদেশ। চারদিকে ছায়া সামরিক শাসন।
শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র। এই সময় বিদেশ থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়া হয়। তবে তা প্রতিহত করে দেশে ফিরলে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করে তাকে ১১ মাস নির্জন কারাবাসে রাখা হয়। এই সময় জরুরি আইন জারি করে শেখ হাসিনাকে বন্দি রেখে আওয়ামী লীগকে ভাঙার চক্রান্ত চলতে থাকে।
ধারাবাহিক উন্নয়ন
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের দলগুলো নিয়ে গঠিত হয় ১৪-দলীয় মহাজোট। এই জোট ভোটে জয়লাভ করে। শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বার সংগ্রামের পাশাপাশি তিনি ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হন। এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে তৃতীয়বার এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
তার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও এসএমই খাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন : রাষ্ট্রভাষা: বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি, একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়সহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে এই সময়। বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, নারী শিক্ষায় অগ্রগতি, বিভিন্ন ভাতা ও বৃত্তি প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রান্তিক জনগণের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করেন।
পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, উড়ালসড়ক, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড, জিডিপির ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধিসহ জাতীয় জীবনের নানা ক্ষেত্রে তার সরকার ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেলের মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ১০০ বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন যা ‘ডেলটা প্ল্যান’ নামে পরিচিত। তরুণদের কাছে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সহজলভ্য করে দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত। মিয়ানমারে নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে যে মানবিকতার পরিচয় তিনি দিয়েছেন তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।
দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিতে তিনি রূপকল্প ২০৪১ ঘোষণা করেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশকে পরিণত করার কর্মসূচি 'ভিশন ২০২১' নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আজ পদ্মাসেতু বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন : রাজনৈতিক সম্প্রীতির দেশ!
শেখ হাসিনাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে নতজানু করার জন্য বিদেশি কিছু রাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংক তার সরকারের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করলেও তিনি সেই চাপে নত হননি। পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহার করলেও রাষ্ট্র নায়কোচিত নেতৃত্বের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে প্রমাণ করে দিয়েছেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সক্ষমতা।
একসময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি কিংবা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশকে তিনি পরিণত করেছেন ব্যাপক সম্ভাবনাময় এক রাষ্ট্রে। তার দূরদর্শী ও দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উদীয়মান শক্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ‘দ্য ফরেন পলিসি’ বিশ্বের সেরা চিন্তাবিদদের যে তালিকা তৈরি করেছে সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস সাময়িকীর ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর তালিকায়ও ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার রোল মডেল। শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়ন ও অর্জনের রোল মডেল।
ফরিদুন্নাহার লাইলী ।। কৃষি ও সমবায় সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সাবেক সংসদ সদস্য