ছবি : সংগৃহীত

উইকিপিডিয়া বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে অনলাইন বিশ্বকোষ ও তথ্য প্রাপ্তির মাধ্যম। ২০০১ সালের ১৫ জানুয়ারি এই অনলাইন প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা ভাষাসহ পৃথিবীর ৩০১টি ভাষায় পড়া যায় এই উইকিপিডিয়া। তবুও উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক অসমতা বিদ্যমান।

নারী সম্পর্কিত নিবন্ধগুলোর ক্ষেত্রে এটি আরও স্পষ্ট। এক জরিপে দেখা যায়, উইকিপিডিয়াতে যারা লেখেন তাদের মধ্যে গড়ে মাত্র ৯ শতাংশ হলেন নারী। ভারতীয় ভাষা অঞ্চলে মোট উইকিপিডিয়া অবদানকারীর মাত্র ৭ শতাংশ হলেন নারী। ইংরেজি ভাষাভাষী দেশসমূহে এই সংখ্যা ১৩ শতাংশ।

উইকিপিডিয়াতে নারী-পুরুষ সংক্রান্ত যে নিবন্ধ আছে তার মধ্যে পুরুষ সংক্রান্ত নিবন্ধের সংখ্যা নারী সংক্রান্ত নিবন্ধের তুলনায় ৪ গুণ বেশি। যদিও অঞ্চলভেদে বা উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন ভাষা সংস্করণে এই সংখ্যার তারতম্য আছে। কিন্তু একটি বিষয় পরিষ্কার যে, উইকিপিডিয়ার বিষয়বস্তুর লিঙ্গভিত্তিক ফারাক অনেক বেশি।

আরও পড়ুন : মুক্তনীলের মুক্ত বিহঙ্গ 

উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন ভাষা সংস্করণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধ আছে ইংরেজি উইকিপিডিয়ায়। ইংরেজিতে মোট জীবনীভিত্তিক নিবন্ধ আছে ১৬৩২১৯১টি যার মধ্যে নারীদের নিয়ে লেখা জীবনীর সংখ্যা মাত্র ২৯১৬৪৯টি অর্থাৎ ১৭.৮৭ শতাংশ। পাতার সংখ্যার দিক দিয়ে এই অবস্থা বাংলা উইকিপিডিয়াতে কিছুটা উন্নত। বাংলা উইকিপিডিয়া ২০০৪ সালে চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত (২৬ জুন ২০১৯)।

মোট জীবনীভিত্তিক নিবন্ধ লেখা হয়েছে ১৮৫২৪টি যার মধ্যে নারী জীবনী মাত্র ৪২৫২টি অর্থাৎ ২২.৯৫ শতাংশ। বাংলা উইকিপিডিয়াতে ১০ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত মোট ১৩০টি জীবনীভিত্তিক পাতা তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ২০টি নারীদের জীবনী।

শব্দ ব্যবহারে নারীর বৈষম্য:

'মহিলা' নাকি 'নারী'। দুটি শব্দ নিয়ে নানা মতভেদ আছে দেশে। দুটি শব্দকে আলাদা আলাদা ভাগ করে দুই রকমের অনুসারীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। বাকযুদ্ধ বেধে যায় জনে জনে। আসলে কোনটি সঠিক—মহিলা, নাকি নারী? নামে নারী দিবস হলেও সারা দেশে 'মহিলা' শব্দটির জয়জয়কার।

সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে 'মহিলা' শব্দের বহুল প্রচলন দেখে দুটি শব্দের অনুসারীদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব জোরালো হয়। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, দেশের সরকারি দফতর বা বিভাগ অথবা সংস্থাগুলোয় 'মহিলা' শব্দটি বেশি ব্যবহৃত। যেমন—মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, মহিলা পুলিশ, মহিলা কলেজ, মহিলা হোস্টেল ইত্যাদি। এদিকে, 'নারী' যে কোনোখানেই নেই তাও কিন্তু নয়। যেমন—নারী নির্যাতন, নারী নির্যাতন আইন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি।

নারীকে শব্দ দিয়ে জব্দ করার চেষ্টা:

নারীরা ঘোমটার আড়াল সরিয়ে সামনে এগিয়ে আসলেও সংসারের সংকীর্ণ পরিসরে নারী কলটেপা পুতুলের মতো নিয়ম মাফিক যাপিত জীবন। বাংলা ভাষায় অধিকাংশ হয়রানিমূলক কথা, গালি কিংবা শব্দ সাধারণত নারীকে অবমাননা কিংবা হয়রানি করার জন্যই ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুন : বাল্যবিবাহ উপসর্গ মাত্র, মূল ব্যাধি পিতৃতন্ত্র

তিরস্কারমূলক নারীবাচক অনেক শব্দের বিপরীতে পুরুষবাচক কোনো শব্দের অস্তিত্বই নেই। ‘মুখরা’, ‘ঝগড়াটে’, ‘মাল’, ‘বন্ধ্যা’, ‘পোড়ামুখী’র মতো শব্দগুলোর বিপরীতে পুরুষবাচক শব্দ খুঁজে পাওয়া ভার। অন্যদিকে, ‘ডাইনি’, ‘বেশ্যা’, ‘ছিনাল’, ‘খানকি’, ‘কুটনি’র মতো শব্দগুলো সবসময় নারীকে নেতিবাচকভাবে বর্ণনা করে।

ভাষার ভাব, শব্দ, ধ্বনি, অর্থ প্রভৃতি গড়ে উঠেছে সমাজ, রাষ্ট্র ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা দ্বারা। সমাজের প্রধান নিয়ন্ত্রক হচ্ছে পুরুষ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পুরুষ, আধিপত্য বিস্তার করে পুরুষ, উপভোগ করে পুরুষ, মালিকানা ক্ষমতায়নকেই মর্যাদা দেয়।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঘটনার সঙ্গে নারীর ন্যূনতম সম্পর্ক না থাকলেও তাকে হেয় করে ‘জন্ম নেওয়া’ গালি ব্যবহৃত হতে থাকে বিনা সংকোচে যুগের পর যুগ।

পুরুষের ভাষিক অবরোধ:

নারীর জন্য ‘অবলা’, ‘কোমল’, ‘নরম’, ‘লজ্জাবতী’ এসব শব্দ তৈরি করা হয়। অন্যদিকে পুরুষকে পৌরুষত্বের বীর গাঁথায় বীর বা শক্তিমানের সারিতে রেখে নারীকে ‘রাঁধুনি’, ‘গৃহিণী’, ‘মায়াবতী’, আখ্যা দিয়ে চার দেয়ালের অতন্ত্র প্রহরী করে রাখে। আর ভাষাগত অদৃশ্য দেয়ালের অবরোধে নারী হয়ে পড়ে অসহায়। যুক্ত হয় পুরুষতান্ত্রিক ভাষা, গালি ও নেতিবাচক শব্দের উৎপীড়ন, নিপীড়ন।

ভাষার ভাব, শব্দ, ধ্বনি, অর্থ প্রভৃতি গড়ে উঠেছে সমাজ, রাষ্ট্র ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা দ্বারা। সমাজের প্রধান নিয়ন্ত্রক হচ্ছে পুরুষ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পুরুষ, আধিপত্য বিস্তার করে পুরুষ, উপভোগ করে পুরুষ, মালিকানা ক্ষমতায়নকেই মর্যাদা দেয়। নারী পায় অবহেলা, অমর্যাদা, অপমান, লাঞ্ছনা, বঞ্ছনা আর নিগ্রহ। তাই নারীর জন্য এই সমাজ যেন পৃথক ও দুর্বল ভাষাভঙ্গি তৈরি করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন : টিপ পরছোস ক্যান : ব্যক্তি স্বাধীনতা কোথায়? 

আমাদের সমাজে নারীর পারিবারিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই বলেই তার ধ্বনিগত বা বাকস্বাধীনতাও নেই। পুরুষ নারীকে শারীরিক নির্যাতন যেমন করে, ঠিক তেমনি করে থাকে ভাষা দিয়ে নির্যাতন।

অশ্লীল, অকথ্য, গালিশব্দের মাধ্যমে কীভাবে নারীকে অবদমন, হেয় প্রতিপন্ন, তুচ্ছ, খাটো, নিন্দা বা অপমান করা যায় তার জন্যই পুরুষ তৈরি করে নিয়েছে আলাদা ভাষা যে ভাষায় চালায় নারীর প্রতি ভাষিক নিপীড়ন। গালিশব্দের ভাষা দিয়েই পুরুষ গড়ে তোলে নারীর প্রতি ভাষিক অবরোধ।

ইভটিজিং নামে নারীকে ‘উত্ত্যক্ত’ করার এবং বিরক্ত করার পারিভাষিক শব্দ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। খাদ্যদ্রব্য, ফল, বাদ্যযন্ত্র, অস্ত্র, এই সব বিষয়কে বিকৃত অর্থে ব্যবহার করা হয় নারীকে ভাষিক নিপীড়ন করার জন্য। যেমন—‘রসে ভরা কমলা’, ‘টাইট মাল’, ‘কচি ডাব’, ‘এটম বোম’, ‘মিষ্টি তেঁতুল’, ‘তানপুরা’, ‘গাড়ির চেসিস’, ‘ডবল ডেকার’, ‘গোলাপ জাম’, ‘কোম্পানির মাল’, ‘মাগির গ্যারেজ বড়’, ‘কালনাগিনী’, ‘কাশবন’, ‘কচিমাল’, ‘ইন্ডিয়া গেট’, ‘জাম্বুরা’, ‘গোলাপি আপেল’ ইত্যাদি।

উপরোক্ত শব্দগুলো নারীকে উত্ত্যক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হলেও নারীর দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সাথে সাদৃশ্য করে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে। সেই উপস্থাপন যৌনতা, কামুকতা ও নোংরামিতে ভরপুর।

আরও পড়ুন : মেয়েতো কালো

নারীর জন্য এই বিষয়গুলো অপমানসূচক। বাংলা ভাষায় এসব শব্দের সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু বিদেশি ইংরেজি শব্দ। এই শব্দগুলো বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বাংলা ভাষায় নারী কর্তৃক পুরুষকে বিরক্ত করার কোনো শব্দ নেই। কিন্তু পুরুষ যে নারীকে বিরক্ত করে তার জন্য সমাজ তৈরি করেছে অসংখ্য শব্দ। এই শব্দগুলো দিয়ে পুরুষ সূচনা করে নারীর প্রতি ভাষিক অবরোধ।

বাংলাভাষায় নেতিবাচক শব্দগুলো তৈরি করা হয়েছে নারীকে ঘিরেই। গালি শব্দ (slang word) থেকে শুরু করে নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দগুলোর অধিকাংশই নারীকে অধস্তন করার মানসে চয়ন করা।

পুরুষ তাহলে কীভাবে করে সেই ভাষিক অবরোধ। পুরুষ যে অকথ্য, অশ্লীল শব্দভাণ্ডার তৈরি করেছে তাতে নারীর কোনো প্রবেশাধিকার নেই। ভাষার দখলদারি, ভাষার আধিপত্য পুরোটাই পুরুষের। সেজন্য এসব শব্দভাণ্ডার লিঙ্গান্তর করা হয়েছে, যাতে করে তা কেবলমাত্র নারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়।

নারী এখনো অর্ধেক মানুষ। নারীকে পরিপূর্ণ সত্ত্বা হিসেবে পরিস্ফুটিত হতে দেয় না পুরুষ শাসিত সমাজ। নারীকে আলাদা সত্ত্বা হিসেবে রাখতে পারাটাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কৃতিত্ব, তাদের আধিপত্যবাদ বজায় রাখার জন্য। কাজেই নারীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ভাষাগত লৈঙ্গিক রাজনীতি।

বাংলাভাষায় নেতিবাচক শব্দগুলো তৈরি করা হয়েছে নারীকে ঘিরেই। গালি শব্দ (slang word) থেকে শুরু করে নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দগুলোর অধিকাংশই নারীকে অধস্তন করার মানসে চয়ন করা। নারীর প্রতি ভাষাগত এই বিভাজন, ভাষাগত এই অবরোধ লিঙ্গবৈষম্য তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন : উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশের মেয়েরা পিছিয়ে কেন? 

বাংলা ভাষার গবেষক সুকুমার সেন তার বাংলায় নারীর ভাষা প্রবন্ধে কিছু শব্দের কথা উল্লেখ করেছেন—যা থেকে পুরুষ ও নারীর সামাজিক অবস্থান স্পষ্ট হয়, যেমন—‘অনাদিষ্টি’, লক্ষ্মীছাড়া, ‘আঁটকুড়ো’, ‘আড়ি’, ‘আদিখ্যেতা’, ‘কুটনী’, ‘খোঁটা’, ‘গাদী’, ‘গুমর’, ‘গা’, ‘ছিরি’, ‘ঠমক’, ‘ঢঙ’, ‘দেমাক’, ‘ন্যাকা’, ‘পোয়াতি’, ‘বিয়েন’, ‘কুট্টি’, ‘মিনসে’, ‘রাঁড়’, ‘রাঁড়ী’, ‘সেয়ানা’, ‘সোমত্ত’, ‘সোহাগ’, ‘সই’ ইত্যাদি।

নারীর ক্ষেত্রে বাংলায় বিশেষ্য বাক্যাংশ এবং ক্রিয়া বাক্যাংশ প্রয়োগ কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। যেমন—বিশেষ বাক্যাংশ—‘কাঁচা বয়েস’, ‘কচি খুকি’, ‘কোলের ছেলে’, ‘চোখের বালি’, ‘দাঁতে বিষ’, ‘ননীর পুতুল’, ‘নাড়ির টান’, ‘পেটের ছেলে’, ‘মাথার দিব্যি’, ‘রাঙা বৌ’, ‘হাঁড়ির খবর’, ‘পাতা কুড়নী’, ‘ঝগড়াটে’, ‘সাতে পাঁচে না থাকা’, ‘সাত পাঁচভারা’ ইত্যাদি।

ক্রিয়া বাক্যাংশ যেমন—‘ঝেঁটিয়ে বিদেয় করা’, ‘বানের জলে ভাসা’, ‘বিয়ের ফুল ফোটা’, ‘মুখে খই ফোটা’, ‘হাঁড়িতে স্থান দেয়া’, ‘কেঁদে হাট বসানো’, ‘সই পাতানো’, ‘পাকা চুলে সিঁদুর পরা’, ‘হাঁড়ি ঠেলা’, ‘পরের মুখে ঝাল খাওয়া’, ‘মাথা কোটা’ ইত্যাদি।

শব্দ প্রয়োগে ও সম্বোধন:

বাংলা ভাষায় অজস্র শব্দ আছে, বা আবহমান কাল থেকে খুব অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। অভিধান খুললেই দেখা যাবে সেখানে পুরুষবাচক অথবা স্ত্রীবাচক শব্দের অর্থ উপস্থাপনার মধ্যে মত পার্থক্য।

আরও পড়ুন : তুমি অকুণ্ঠিতা

নারীর প্রতি মানবিক সম্মানবোধের ধারণা পর্যন্ত আমরা সমাজে স্থাপন করতে পারিনি। তাই জেন্ডার সমতার ভিত্তিতে বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করার মানসিকতাও আমাদের তৈরি হয়নি। তবে ক্ষীণ ধারায় হলেও চেষ্টা চলছে। এই ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের একটা বড় ভূমিকা আছে। তারা যদি বিষয়টি সচেতনভাবে আমাদের দেশের মানুষের সামনে নিয়ে আসে তবে পরিবর্তন দ্রুত হওয়া সম্ভব।

আমাদের সমাজে যেসব পুরুষ স্ত্রীর কথামতো চলে, তাদের বলা হয় ‘স্ত্রৈণ’। এই শব্দটি প্রয়োগ হয় পুরুষের জন্য নেতিবাচক বা অসম্মানজনক হিসেবে। বিষয়টি এরকম, যেন-নারীর কথা পুরুষের শুনতে মানা। প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহৃত বেশকিছু শব্দ আলোচনা করলে দেখতে পাব ‘চেয়ারম্যান’, ‘সভাপতি’, ‘রাষ্ট্রপতি’, ‘মেম্বার’, ‘লিডার’, ‘ক্যাডার’-এই শব্দগুলো পুরুষবাচক।

এর কোনো স্ত্রীবাচক শব্দ নেই। জেন্ডার বৈষম্য নিরোধকল্পে এই সময়ে আমরা চেয়ারপারসন, সভা প্রধান শব্দ প্রয়োগ করে থাকি। এভাবেই একটি সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসব শব্দাবলি বদলে দেওয়া সম্ভব। সম্ভব নারীকে সম্মানিত করা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ মিডিয়াতে নারীকে এভাবে উপস্থাপনের প্রভাব বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। তার মতে, পুরুষের পৌরষ্যের দুটো ভাগ, এক. প্রভাব বিস্তারকারী, দুই. সহনশীল। পুরুষ যখন সহনশীল আচরণ করে সেটাও পৌরষেরই অংশ। সে যদি নারীর প্রতি সহনশীল হয় অথবা নারী সাহায্য করে, তার মানে এ নয়; সে নারীসুলভ আচরণ করছে।

ইউনুস রাজু ।। সাংবাদিক