আওয়ামী লীগ কেন আস্থার অপর নাম?
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ঐতিহ্যবাহী এই রাজনৈতিক দলের হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে একথা সবার জানা। তাই এনিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল, দেশ স্বাধীন হওয়ার অর্ধশত বছর অতিক্রম করার পর বর্তমানেও দেশ ও দেশের জনগণের কাছে যেটির আবেদন একটুও কমেনি; বরং আওয়ামী লীগের প্রয়োজনীয়তা বা উপযোগিতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই আওয়ামী লীগের ইতিহাসের অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। এমনকি এই কথা বললেও অতিরঞ্জিত হবে না যে, স্বাধীনতার পূর্বের সময়ের চাইতেও বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বলে আমি মনে করি।
বিজ্ঞাপন
প্রকৃতপক্ষে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সমকক্ষ বা সমান দাবিদার কোনো রাজনৈতিক দল নেই। এক কথায় আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো রাজনৈতিক দল নেই। অতীতের ন্যায় বর্তমানেও দেশে আওয়ামী লীগের বিকল্প রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগই।
আবার দেশ পরিচালনাতেও আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। সহজভাবে বলতে গেলে আওয়ামী লীগের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আওয়ামী লীগ থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সঠিকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব। দেশের যত বড় বড় অর্জন তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই অর্জন করেছে। বাংলাদেশের তিনটি বড় অর্জন রয়েছে।
এক. স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দান ও স্বাধীনতা অর্জন।
দুই. দেশে সংবিধান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন ও দেশকে খাদ্য, বাসস্থান, কৃষি উৎপাদন, যোগাযোগসহ প্রয়োজনীয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পরিচালিত করা।
তিন. যে আদর্শ ও চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তা ধারণ করা এবং বাস্তবায়ন করা। এরমধ্যে রয়েছে শোষণ-বৈষম্যহীন সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা, মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, সামরিক শাসনকে বিদায় দিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার দিয়ে দেশ পরিচালনা নিশ্চিত করা, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদকে রুখে দাঁড়ানো এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।
আশ্চর্যজনকভাবে হলেও সত্যি এই তিনটি বা এসব বড় অর্জনসমূহ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে এবং যতটুকু বাকি রয়েছে তাও এই দলের হাতেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তাই একথা জোর দিয়েই বলা যায়, সাফল্যের বিবেচনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিজের অর্জনের রেকর্ড নিজেই বারবার ভেঙেছে। সাফল্যের ক্ষেত্রে নিজের অর্জনের রেকর্ড নিজেই বারবার রেকর্ড ভাঙা দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বর্তমানেও আওয়ামী লীগের প্রয়োজনীয়তা বা উপযোগিতা কোনো বৃদ্ধি পেয়েছে সেই বিষয়ে একটু ব্যাখ্যা দিতে চাই। একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জন যেমন কঠিন ও বিরাট বিষয় তেমনই সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করাটাও কঠিন। স্বাধীনতার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা আরও কঠিন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই মানুষের চাহিদা যেমন বেড়ে যায় আবার সেখানে অসংখ্য মানুষের অসংখ্য মতাদর্শের প্রতিফলন ঘটে যা কখনো কখনো স্বাধীনতার প্রধান লক্ষ্য, এমনকি মূল চেতনাকেও ম্লান করে দিতে পারে। কিন্তু এরই মাঝে স্বাধীনতার মূল চেতনা ও প্রধান প্রধান লক্ষ্যকে সামনে রেখে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি হাতে নিয়ে হয় এবং বাস্তবায়ন করতে হয়। এই কঠিন কাজকে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো রাজনৈতিক দল নেই।
রাজনৈতিক দল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে সমুন্নত রেখে জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের ক্ষমতা রাখে। দেশে বাম-ডান বহু রাজনৈতিক দল আছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বই হারিয়ে গেছে। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র, বাধা, সবকিছু অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজয়ের পতাকা এখন পর্যন্ত বাংলার আকাশে-বাতাসে উড়ছে এবং ভবিষ্যতেও উড়বেই।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে একটি সমতা, সাম্য ও ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড হবে জনগণের জন্য কল্যাণকর, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রগতির পথকে ধরে রেখে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রকে ধারণ করা, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যকে চর্চার মাধ্যমে বিকশিত করা।
কেউ খাবে আর কেউ খাবে না সেই নীতিকে চিরতরে বিদায় করা। সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। মৌলিক চাহিদা পূরণসহ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। শিক্ষার আলো প্রতিটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এবং একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন করা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সর্বদাই বজায় রাখা।
জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ-উগ্রবাদ-মৌলবাদকে কঠোর হস্তে দমন করা, ধর্মীয় মূল্যবোধকে সদা জাগ্রত রাখা, মানুষে মানুষে বন্ধন দৃঢ় করা, বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ সম্প্রীতি ও ঐক্যকে সর্বদাই গুরুত্ব দেওয়া, যুদ্ধের বিপরীতে বিশ্বব্যাপী শান্তি বজায় রাখতে জোরালো ভূমিকা রাখা, বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণে প্রয়োজনীয় কৌশল অবলম্বন, ন্যায়সঙ্গত দাবিসমূহ আদায়ে কর্মসূচি অব্যাহত রাখা।
সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই হলো একমাত্র, একমাত্র এবং একমাত্র রাজনৈতিক দল। উপরোক্ত বিষয়গুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমানে অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে আওয়ামী লীগের উপযোগিতা বা প্রয়োজনীয়তা সব চাইতে বেশি বলে আমি মনে করি।
সাফল্যে রেকর্ড অর্জন, নিজের অর্জিত রেকর্ডসমূহ ভাঙা এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম কোনো ক্যান্টনমেন্ট থেকে হয়নি। কোনো সামরিক ছত্রছায়ায় হয়নি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। তখন নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটনোর লক্ষ্যে নাম করা হয় আওয়ামী লীগ।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন যা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ে শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি পেশ, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মোকাবিলা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন, একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দান এবং যুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন যা মুজিবনগর সরকার নামে সর্বাধিক পরিচিত।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা অর্জন, এরপর সংবিধান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন, ১৯৭৫ সালে জানুয়ারিতে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে বাকশাল গঠন যা দ্বিতীয় বিপ্লবের শুভ সূচনা নামে পরিচিত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক ও স্বৈরাচার সরকার হটাতে এবং দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মূল নেতৃত্ব দান
১৯৯১ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধান বিরোধী দলের অবস্থান অর্জন করা, ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করে দীর্ঘ ২১ বছর পর পুনরায় সরকার গঠন করা, ২০০১ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধান বিরোধী দলের অবস্থান অর্জন করা এবং এই সময়ে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলনে মূল নেতৃত্ব দেওয়া।
২০০৯ সাল, ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে একটানা তিনবার সরকার গঠন, সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু করার প্রধান বাধা কালো আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা, ভারতের সাথে যুক্ত থাকা নদীসমূহের পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেতে ঐতিহাসিক ফারাক্কা চুক্তি করা, সীমান্তের করিডোর সমস্যা দূর করা, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় নিশ্চিত করা এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা, জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার বিচার শুরু করা, বাংলাদেশের সম পরিমাণ আয়তনের সমুদ্র বিজয় করা, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ মেগাপ্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ, অবকাঠামোর উন্নয়নে অভাবনীয় সাফল্য কত শত অর্জন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সরকারের।
এত অর্জনের পর তো একথা বলাই যায় যে, সাফল্যের অসংখ্য ফুল দিয়ে বিজয়ের মালা গাঁথা দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যে দলটি সাফল্যের নতুন রেকর্ড গড়ে পুরাতন রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্যে।
আওয়ামী লীগ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। সত্যিকথা বলতে আওয়ামী লীগের পূর্ণতা পায় বাংলাদেশের জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হাত ধরে। দলের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
বঙ্গবন্ধু ঐ সময়ে কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রকৃতপক্ষে, ১৯৬৬ সাল পর্যন্তই নয় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার পূর্ববর্তী যত আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনসহ যত ঐতিহাসিক কার্যক্রম তা আওয়ামী লীগের হাতেই সম্পন্ন হয়েছে এবং এর প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আওয়ামী লীগের পূর্ণতা পায় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কার্যক্রম শুরু হয়। উল্টোপথে চলতে শুরু করে দেশে। দেশে ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। স্বাভাবিকভাবেই ওই সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন।
সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে দেশ ও দেশের জনগণকে মুক্ত করতে কান্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দিশেহারা সমগ্র জাতিকে উদ্ধারে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব পান জননেত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিপূর্ণতা লাভ করে বর্তমানের আলোকিত গৌরবোজ্জ্বল অবস্থানে পৌঁছেছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সংগ্রাম, সাফল্য ও গৌরবের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল।
বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনকল্যাণকর কার্যক্রমসমূহ সমগ্র দেশে বিস্তৃত হয়ে মহিরুহ আকার ধারণ করেছে। দেশ ও জনগণের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই যত অসম্ভব কার্যক্রম তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে এবং বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের সময় পর্যন্ত দলের পূর্ণতা পায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে। আর স্বাধীন বাংলাদেশে সামরিক ও স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে গণ মানুষের প্রধান দল আওয়ামী লীগকে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠা করার মূল নেতৃত্ব দেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতেই দল পরিপূর্ণতা লাভ করে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিকাশ, পরিপূর্ণতা, জয়জয়কার অবস্থা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। আগামী বছরের শেষ দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। ওই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষের জন্য বাঁচা মরার নির্বাচন। ওই নির্বাচনে যাতে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ধর্মের কথা বলে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এবং কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় না আসতে পারে সে লক্ষ্যে এখন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সকল পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ আওয়ামী আবারও সরকার গঠন করতে পারবে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যদি আবারও সরকার পরিচালনার সুযোগ পান তাহলে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে যাবে এবং সাথে সাথে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে মানুষের মাঝে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব হবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কার্যক্রমও অনেকখানি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। পরিশেষে বলবো, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল হোক। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা শতায়ু লাভ করুন। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। বাংলার প্রতিটি মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত হোক। জয় বাংলা।
ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ।। অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ ও কোষাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়