ভালো ছেলে নয়, ভালো সিনেমা চাই
এক জীবনে চোখের সামনে অনেককিছু ধ্বংস হতে দেখেছি। তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের ধ্বংস হতে দেখা। আমাদের ছেলেবেলায় সিনেমা ছিল বিনোদনের প্রধান উৎস। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, এমনকি নিম্নবিত্তের মানুষও হলে গিয়ে সিনেমা দেখতেন।
সপরিবারে সিনেমা দেখতে যাওয়ার যে উৎসবমুখর আনন্দ, তার তুলনা কিছুতেই নেই। সত্তরের দশকে চট্টগ্রামে সপরিবারে সিনেমা দেখতে যাওয়ার স্মৃতি এখনো আনন্দ দেয় আমাকে। তবে আমার মাথায় সিনেমার পোকাটা ঢুকে কলেজে ওঠার পর।
বিজ্ঞাপন
আশির দশকে কুমিল্লায় পাঁচটি সিনেমা হল ছিল। আর আমি সপ্তাহে পাঁচটি হলেই সিনেমা দেখতাম। পরীক্ষা থাকলে একদিনে একাধিক সিনেমাও দেখে ফেলতাম। আব্বা গুনে গুনে টাকা দিতেন, তারপরও সিনেমা দেখার টাকা কীভাবে ম্যানেজ করতাম, সেটা এখনো হিসাব মেলাতে পারি না।
খোঁজ নিয়ে জানলাম, কুমিল্লায় এখন কোনো সিনেমা হল চালু নেই। দীপিকা আর মধুমতি ভেঙে মার্কেট বানানো হচ্ছে। লিবার্টি ভবন বিধ্বস্ত, পরিত্যক্ত। রূপকথা ও রূপালীও বন্ধ। এখানে মার্কেট বানানোর পরিকল্পনা চলছে। কুমিল্লার মতো ঐতিহ্যবাহী পুরোনো শহরে একটিও সিনেমা হল নেই, এটা অবিশ্বাস্য। ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য গভীর বেদনার। প্রতিটি হলের সাথে জড়িয়ে আছে আমার কত আনন্দ-বেদনার স্মৃতি।
শুধু কুমিল্লা নয়, দেশের অন্তত ৩০ জেলায় এখন কোনো সিনেমা হল নেই। নব্বইয়ের দশকেও দেশে হাজার দেড়েক সিনেমা হল ছিল। এই সংখ্যা কমতে কমতে এখন ৬০ থেকে ৬২-এর ঘরে নেমে এসেছে। বাংলাদেশের সিনেমার ধ্বংসের জন্য সিনেমা সংশ্লিষ্ট লোকেরাই দায়ী। নব্বইয়ের দশকে কাঁচা টাকার লোভে অশ্লীলতা আমদানি করে সিনেমাকে নিষিদ্ধ বিনোদন বানিয়ে ফেলা হয়, মধ্যবিত্তের সপরিবারে সিনেমায় যাওয়ার সংস্কৃতি ফুরিয়ে যায় তখনই।
স্টার সিনেপ্লেক্স এসে মধ্যবিত্তদের আবার হলে ফিরিয়ে আনে। তারা সিনেমা দেখার সংস্কৃতিতে আভিজাত্যের প্রলেপ দেয়। ব্ল্যাকারের উৎপাত নেই, ঝালমুড়ির বদলে পপকর্ন, কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতলের সম্মোহনীর বদলে ওয়ানটাইম গ্লাসের সফিসটিক্যাসি। এখন আর সিনেমা হলে সিটি বাজে না। ভদ্রলোকেরা নিঃশব্দে সিনেমা দেখেন।
বাংলাদেশের সিনেমাকে হল থেকে সিনেপ্লেক্সের আভিজাত্য উন্নীত করা, মধ্যবিত্তকে সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব অবশ্যই স্টার সিনেপ্লেক্সের। তবে আমার কথা যদি বলেন, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত সিনেপ্লেক্সে পিনপতন নীরবতায় পপকর্ন খেতে খেতে সিনেমা দেখাটা অতটা রোমাঞ্চকর নয়, যতটা ছিল আশির দশকে। মারামারি করে ব্ল্যাকে টিকেট কাটা, কখনো কখনো থার্ড ক্লাসে ঘামে ভিজে যাওয়া, বিরতির সময় কোল্ড ড্রিংসের টুংটাং শব্দ যে ঝংকার তুলতো হৃদয়ে তার তুলনা কিছুতে পাই না।
এফডিসি যেন কিছু তৃতীয় শ্রেণির মাস্তানের কাছে লিজ দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে নানা সংগঠন করে, গ্রুপিং করে, বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কার করে, নির্বাচন করে, মারামারি করে; খালি সিনেমা করে না।
সিনেপ্লেক্স তবু কোরামিন দিয়ে সিনেমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু গোটা দশেক সিনেপ্লেক্স আর গোটা পঞ্চাশেক সিনেমা হল দিয়ে একটা দেশের সিনেমা শিল্প বাঁচতে পারে না। আবার ২/৩ বছর পরপর দুয়েকটা হিট ছবি দিয়ে সিনেপ্লেক্স বা সিনেমা হল টিকবে না। সিনেপ্লেক্সগুলো তবু বিদেশি সিনেমা দেখিয়ে পুষিয়ে নেয়, বাংলাদেশের সিনেমা দেখিয়ে তো হল চলবে না। তাই ধীরে ধীরে সব সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তাহলে সমাধান কী? সিনেমা হল এবং সিনেমা শিল্প বাঁচানোর উপায় কী? অনেকে সিনেপ্লেক্সের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। খুব ভালো। কিন্তু দেশজুড়ে সিনেপ্লেক্স গড়ে তুলে সেখানে আপনি দেখাবেন কী? ভালো সিনেমা কই? বিদেশি সিনেমা দেখিয়েই যদি হল-সিনেপ্লেক্সকে টিকে থাকতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের সিনেমা তো টিকবে না।
অভিযোগের প্রথম তীর দর্শকদের দিকে। দর্শকরা যান না বলে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার হল কমে যাচ্ছে বলে ভালো সিনেমা বানানো হচ্ছে না। আমার বিবেচনায় সমস্যাটায় ভালো সিনেমার অভাবের, দোষ দর্শকের নয়। বাংলাদেশের দর্শক সিনেমা দেখে না, এই অভিযোগ সত্যি নয়।
মনপুরা (২০০৯), আয়নাবাজি (২০১৬), ঢাকা অ্যাটাক (২০১৭) দেখার জন্য তো দর্শকের অভাব হয়নি। এখনো সিনেপ্লক্সে বিদেশি সিনেমার টিকেটের জন্য তরুণেরা ভোররাত থেকে লাইন ধরে। অত দূর যাওয়ার দরকার নেই।
নেটফ্লিক্স আর হইচইয়ের কত সাবস্ক্রাইবার আছে দেশে, সেটা হিসাব করুন। তারা যদি পয়সা দিয়ে নেটফ্রিক্স সাবস্ক্রাইব করতে পারে, বিদেশি সিনেমার টিকেটের জন্য ভোররাতে লাইন দিতে পারে; তাহলে তারা হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখে না কেন? দেখে না, কারণ দেখার মতো সিনেমা তৈরি হয় না।
স্ট্রিমিং সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা সিনেমার দর্শক বাড়িয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে তা বাংলা সিনেমার দর্শক কমিয়েছে। বাংলাদেশের সিনেমা দেখা আমার মতো কুয়ার ব্যাঙদের হাতেও এখন বিশ্ব সিনেমার মহাসমুদ্রের ভান্ডার। হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, হাতের কাছের পশ্চিমবঙ্গ—সব ছবি এখন হাতের মুঠোয়। ভাষার দূরত্ব ঘুচিয়েছে সাব-টাইটেল।
সময় থাকলে আমি প্রতিদিন সিনেমা দেখব। কিন্তু আমার হাতে যেহেতু অপশন আছে, আমি কেন বিশ্বমান ছেড়ে বাংলাদেশের বানানো ট্র্যাশ দেখব? বেশি দূর যেতে হবে না, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমার তুলনায়ও তো আমরা এখনো কুয়ার ব্যাঙই। আগে যে দূর কোনো দেশের সিনেমা নকল করে পার পেয়ে যেতেন, সেই সুযোগও এখন নেই। মুহূর্তেই দর্শক ধরে ফেলবে। অরিজিনাল দেখার সুযোগ থাকলে নকল কেন দেখব?
মূল সমস্যা ভালো সিনেমার জোগানে। আর যারা সিনেমা বানান, তাদের অভিযোগ, মূল সংকট পুঁজির। যেহেতু সিনেমা হিট করে না তাই কেউ এখানে বিনিয়োগ করে না। আর টাকা নেই বলে ভালো সিনেমা বানানো যাচ্ছে না। আমি এই যুক্তির সাথে একমত।
হলিউড-বলিউডে শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সিনেমা বানানো হয়, লাভ হয় তার কয়েক গুণ। আমাদের এখন যা অবস্থা, সিনেমা সুপারহিট হলেও গোটা পঞ্চাশেক হলে দেখিয়ে পুঁজি তুলে আনাই কঠিন। তারপরও আমি মনে করি, আসল সংকট হলো বা বিনিয়োগে নয়, সংকট ভাবনায়।
শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যা হয়েছে, তা সিনেমাকেও হার মানায়। সাধারণ সম্পাদক পদে কে জিতেছেন—জায়েদ খান না নিপুণ, তার চূড়ান্ত রায় হাইকোর্টও দিতে পারেনি। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যে উত্তেজনা হয়েছে, তা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকেও ছাড়িয়ে গেছে।
কম বাজেটেও ভালো সিনেমা বানানো সম্ভব। কিন্তু কন্টেন্টে সেই চমক কই? আপনি ভালো সিনেমা বানালে দর্শক অবশ্যই হলে যাবে। আর দর্শক গেলে হলের সংখ্যাও বাড়বে। এটা তো ব্যবসা। লাভ হলে বিনিয়োগ আসবেই। তবে সবার আগে ভালো সিনেমা বানাতে হবে।
যারা সিনেমা আন্দোলন করেন, তারা বুকে হাত দিয়ে বলুন আপনাদের কাছে কয়টা মৌলিক চিত্রনাট্য আছে, যেটা আপনি টাকার অভাবে বানাতে পারেননি। দর্শকদের দোষ না দিয়ে নিজেরা আগে ভালো সিনেমা বানান। সরকারি অনুদানেও ভালো সিনেমা বানানো সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হলো, আমাদের এখানে 'ভালো সিনেমা' মানে সাধারণ দর্শকদের মাথার অনেক ওপর দিয়ে যাওয়া আর্ট ফিল্ম, যেগুলো জুরি বোর্ডের সদস্যরাই শুধু দেখেন, আমজনতা নয়।
সিনেমা বাঁচাতে হলে আমজনতার জন্য ভালো সিনেমা বানাতে হবে। ভাই, সিনেমা আমাকে পকেটের পয়সা দিয়ে দেখতে হয়। সিনেপ্লেক্সে গিয়ে দেখলেও টাকা খরচ করতে হয়, বাসায় বসে নেটফ্লিক্সে দেখলেও টাকা দিতে হয়। নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে আমি আপনার এক্সপেরিমেন্ট কেন দেখব?
টেলিফিল্মে হাত পাকিয়ে তারপর সিনেমা বানাতে আসবেন, তাতে দর্শক পাবেন না। সিনেমা মানে সিনেমা, পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা। টেলিফিল্মের মাঝখানে দুটো গান বসিয়ে হলে মুক্তি দিয়ে হা-পিত্যেশ করবেন না।
বাংলাদেশে এখন যারা সিনেমা আন্দোলন করেন বা সিনেমার জন্য মায়াকান্না কাঁদেন; তারা সবাই এফডিসি থেকে দূরে। এফডিসি যেন কিছু তৃতীয় শ্রেণির মাস্তানের কাছে লিজ দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে নানা সংগঠন করে, গ্রুপিং করে, বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কার করে, নির্বাচন করে, মারামারি করে; খালি সিনেমা করে না।
অথচ একসময় সুভাষ দত্ত-আলমগীর কবির-বাদল রহমানরা এফডিসিতে গিয়েই সিনেমা বানিয়েছেন, আন্দোলন করেছেন। সিনেমা আন্দোলন যদি বিকল্প ধারা হয়, এফডিসি নিশ্চয়ই মূলধারা। আসলে মূলধারাকে বয়কট করে বিকল্পধারা এগোতে পারবে না। সিনেমাকে বাঁচাতে হলে মূলধারাকে শক্তিশালী করতে হবে, দুর্বৃত্তদের কবল থেকে এফডিসিকে রক্ষা করতে হবে।
অনেকদিন ধরেই নানা কারণে এফডিসিকেন্দ্রিক সিনেমা শিল্প গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনার শীর্ষে। কিন্তু মজাটা কোনো আলোচনাই সিনেমা সংক্রান্ত নয়। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যা হয়েছে, তা সিনেমাকেও হার মানায়। সাধারণ সম্পাদক পদে কে জিতেছেন—জায়েদ খান না নিপুণ, তার চূড়ান্ত রায় হাইকোর্টও দিতে পারেনি।
...এখানে হিরো কে আর ভিলেন কে, ওমর সানী না জায়েদ খান; তা এখনো নির্ধারিত নয়। সিনেমার খবর নেই, বাস্তবের সিনেমায় টানটান উত্তেজনা। কে কার ভাই, কে ভালো ছেলে, কে খারাপ ছেলে; তা নিয়ে দারুণ উত্তেজনা।
শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যে উত্তেজনা হয়েছে, তা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকেও ছাড়িয়ে গেছে। জায়েদ খানকে নেতা হিসেবে যত মানুষ চেনে, তত মানুষ কি তার সিনেমা দেখেছে? আদৌ জায়েদ খান নায়ক কি না, তাও আমি জানি না। হঠাৎ বিপ্লবী নেত্রী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পর আমি নিপুণ নামে যে একজন নায়িকা আছেন, সেটা জেনেছি।
সত্যি বলছি, নির্বাচন ছাড়া সিনেমা সংক্রান্ত অন্য কোনো ইস্যুতে আমি জায়েদ খান বা নিপুণের নাম শুনিনি। জায়েদ খান বা নিপুণ যেই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোন, তাতে চলচ্চিত্র শিল্পের কী লাভ হবে?
এখন আবার চলচ্চিত্র সংক্রান্ত খবরে সরগরম গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের ঘর বাধা, ঘর ভাঙা নতুন কিছু নয়। বাংলা সিনেমার একসময়কার হার্টথ্রুব নায়িকা মৌসুমী ২৭ বছর ধরে চিত্রনায়ক ওমর সানীর সাথে সংসার করছেন। এই দম্পতি তাদের ছেলেকেও বিয়ে করিয়েছেন। কিন্তু তাদের সংসারে এখন ভাঙনের সুর।
ওমর সানী এই জন্য দায়ী করেছেন জায়েদ খানকে। খলনায়ক ডিপজলের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানকে সামনে পেয়ে চড় মারেন ওমর সানী। জবাবে পিস্তল বের করে সানীকে হত্যার হুমকি দেন জায়েদ খান। তুমুল উত্তেজনা। সমস্যা হলো, বাস্তবের এই উত্তেজনা সিনেমায় নেই।
স্ত্রীর সম্মান রক্ষায় ওমর সানী জায়েদ খানকে চড় মারলেও মৌসুমী কিন্তু স্বামীর পক্ষ না নিয়ে জায়েদ খানের পক্ষ নিয়েছেন। স্বামী ওমর সানীকে ‘ভাই’ সম্বোধন করে দেওয়া এক বার্তায় মৌসুমী জায়েদ খানকে ‘ভালো ছেলে’ বলে সার্টিফিকেট দিয়েছেন।
২৭ বছর ধরে একছাদের নিচে থাকা মৌসুমী আর ওমর সানীর মধ্যে নাকি ২৭ দিন ধরে কথাবার্তা বন্ধ। এখানে হিরো কে আর ভিলেন কে, ওমর সানী না জায়েদ খান; তা এখনো নির্ধারিত নয়। সিনেমার খবর নেই, বাস্তবের সিনেমায় টানটান উত্তেজনা। কে কার ভাই, কে ভালো ছেলে, কে খারাপ ছেলে; তা নিয়ে দারুণ উত্তেজনা।
মৌসুমী-ওমর সানী-জায়েদ খান কাহিনি নিয়ে একটা ভালো সিনেমা বানানো যেতে পারে। যেমন ভালো সিনেমা হতে পারে, জায়েদ খান আর নিপুণের নির্বাচনী লড়াই নিয়েও। আসলে আমাদের এখন ভালো ছেলে বা ভালো নেতা দরকার নেই; দরকার ভালো সিনেমা।
চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাতে হলে ভালো সিনেমা বানাতে হবে, সেই সিনেমা দেখানোর মতো হল বানাতে হবে, দর্শকদের হলে ফিরিয়ে আনতে হবে। না পারলে এফডিসি একসময় পরিত্যক্ত হয়ে যাবে। তখন এইসব জায়েদ খান, নিপুণ, ওমর সানী, মৌসুমীকে নিয়ে পর্দার বাইরের যেটুকু আগ্রহ সেটুকুও থাকবে না।
প্রভাষ আমিন ।। বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ