আগামী ২ মার্চ (বুধবার) দেশব্যাপী পালিত হবে জাতীয় ভোটার দিবস। এবার ভোটার দিবস উপলক্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থীকে ভোটার তালিকায় নিবন্ধন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্মার্টকার্ড দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর ঢাকা পোস্টের সঙ্গে একান্ত আলাপে এ তথ্য জানান।

এনআইডি ডিজি বলেন, ‘এবার যারা নতুন ভোটার হয়েছে জাতীয় ভোটার দিবসে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার হতে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে টোকেন ভোটার কার্যক্রম চালু করা হবে। এই টোকেন ভোটার সিস্টেমের আওতায় শিক্ষার্থী ছাড়া কাউকে ভোটার করা হবে না। এটা করতে পারলে যেসব শিক্ষার্থী এনআইডির জন্য টিকা কর্মসূচির বাইরে রয়েছে তারাও টিকার আওতায় চলে আসবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ভোটার দিবসকে উৎসবমুখর করতে প্রশাসন শাখা থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও দেশব্যাপী নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে কোভিডের উপর নির্ভর করছে ভোটার দিবসকে কেন্দ্র করে কতটুকু কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে।’

এবার হালনাগাদে কত ভোটার আছেন প্রশ্নে এনআইডি ডিজি বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না। তবে গতবারের চেয়ে বেশি ভোটার  হালনাগাদে যুক্ত হবেন। কারণ গতবার কোভিডের কারণে অনেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরও হালনাগাদে যুক্ত হননি। তারা এবার হয়েছেন। সে তুলনায় এবার বেশি হবে।’

১৫ জন শিক্ষার্থীকে স্মার্টকার্ড দেওয়া প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ জন, শহীদ আনোয়ারা গার্লস হাইস্কুলের পাঁচ জন এবং আদমজি ক্যান্টনমেন্ট কলেজের পাঁচ জনসহ মোট ১৫ জন ভোটার হবেন, সঙ্গে সঙ্গে স্মার্টকার্ডও পেয়ে যাবেন। মূলত নতুন ভোটারদের চিন্তা-ভাবনা আরও পজেটিভ করতে নেওয়া উদ্যোগের অংশ এটি। উন্নত হতে হলে শুধু অর্থনৈতিকভাবে হলেই হবে না, সেবা খাতগুলোকেও উন্নত করতে হবে। এনআইডি সেবাটা যেন সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে আমরা সেই চিন্তাই করছি।’

তিনি আর বলেন, ‘নতুন কমিশন এলে তারা চিন্তা করবে আরও কিছু করা যায় কি না। তাদের দিক-নির্দেশনার জন্য আমরা অপেক্ষা করব আরও কী ধরনের সুবিধা দেওয়া যায়। নতুন কমিশন নতুনভাবে চিন্তা করতে পারবে।  নতুন কমিশনের দিক-নির্দেশনা পেলে আমরা উদ্বুদ্ধ হব। আমাদের আইডিয়াগুলোও নতুন কমিশনকে বোঝাব। তারপর কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।’

এসআর/জেডএস