দেশে মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ছয় দিন পর এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে একজনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন কোন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) ইনচার্জ ডা. মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, নতুন আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিই একমাত্র ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বাইরের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর রাজধানীর কোনো হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি নেই।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সর্বমোট ১৪৪ জন। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৪৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০০ সালে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিলেন ৯৩ জন। এর পরের দুই বছর যথাক্রমে ৪৪ ও ৫৮ জন মারা যান। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর ডেঙ্গুতে কেউ মারা যাননি। এরপর ২০১৯ সালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এর আগের সব বছরের রেকর্ড ছাড়ায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু জ্বরে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। তবে সে বছর সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৯।

২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। সে বছর ১ হাজার ৪০৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। ডেঙ্গু সন্দেহে ১২ জনের মৃত্যুর তথ্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ডেঙ্গুর কারণে ৭ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

টিআই/আইএসএইচ