করোনার টিকা নিচ্ছেন এক বিজিবি সদস্য/ ছবি: সংগৃহীত

মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মাঝেও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবি সদরদপ্তর পিলখানায় বর্ডার গার্ড হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

বর্ডার গার্ড হাসপাতাল প্রশিক্ষণ মাঠে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. নজরুল ইসলাম খান প্রথম বিজিবির সদস্য হিসেবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনার টিকা নেন।

এ সময় বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকরা, ঊর্ধ্বতন অফিসাররা, সৈনিক এবং অন্যান্য বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বিজিবির অন্যান্য সকল ইউনিট, স্থাপনার সদস্যরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এই টিকাদান শুরু হয়েছে।

সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (শুক্রবার ব্যতীত) ১২ ধাপে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিজিবিতে কর্মরত অফিসার, জিসিও এবং অন্যান্য সদস্যদের শরীরে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ করা হবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ প্রথম ধাপে পোশাকধারী ও অসামরিক বিজিবি সদস্যসহ মোট ৩০০ জন বিজিবি সদস্যকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতি কার্য দিবসে ৩০০ জন করে বিজিবি সদরদপ্তরসহ পিলখানার অন্যান্য ইউনিটের সর্বমোট তিন হাজার ৬০০ জনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

মো. শরিফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া গাইডলাইন অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালন করে করোনাকালেও বিজিবি সদস্যরা রাত-দিন দেশের সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছে। করোনা স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী তুলনামূলকভাবে বিজিবিতে সবচেয়ে কম সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

জেইউ/এফআর