প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও তার স্ত্রী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। আজ (রোববার) রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা টিকা নেন।

বিকাল ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলমের কক্ষে প্রবেশ করেন তারা। টিকা নিয়ে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে বেরিয়ে আসেন প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রী। এ সময়ে দেশবাসীকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।

টিকা নেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি টিকা নিয়েছি। আমার এ পর্যন্ত কোনো অসুবিধা হয়নি। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আদালত হলো আপিল বিভাগ, আপিল বিভাগের আমিসহ প্রত্যেক জজ (বিচারপতি) টিকা নিয়েছেন। আমিসহ হাইকোর্ট বিভাগের প্রায় ৪০ জনের মতো টিকা নিয়েছি। সুতরাং আমি দেশবাসীকে বলব, সবাই যাতে তাড়াতাড়ি নিবন্ধন করে। আমার স্ত্রীও টিকা নিয়েছে।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশে সবার আগে টিকা দেওয়া হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর বিশাল কৃতিত্ব।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের এক হাজার ৫টি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এসময় তিনি বলেন, আজ সারাদেশে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। করোনার শুরুতে মাত্র একটি ল্যাব ছিল বাংলাদেশে। সেখানে ২০০টি ল্যাব এমনি এমনি তৈরি হয়ে যায়নি। ৩৫টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল, আমরা ৯০টি নতুন সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এনেছি। অনেকে বলেছিলেন ভেন্টিলেটর লাগবে। কিন্তু এখন সব ভেন্টিলেটর খালি পড়ে রয়েছে। দরকার ছিল সেন্ট্রাল হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা। আমরা যখন এটি জানলাম তখন লকডাউন থাকা অবস্থায় নিয়ে এসেছি কয়েক হাজার হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। ফলে আমাদের মৃত্যুহার কম রাখতে সক্ষম হয়েছি। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশব্যাপী করোনা টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে ঢাকার ৫০টি হাসপাতালে ৫০টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মোট ২০৪টি দল ঢাকার টিকাদান পরিচালনা করছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলার ৯৫৫টি হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে মোট দুই হাজার ১৯৬টি দল কাজ করছে। 

একে/এইচকে /এফআর