নির্বাচন কমিশন সচিবালয় নতুন করে সাজানো হচ্ছে

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিদায়ের ছয় দিন হলো আজ। নিরুত্তাপ কমিশনে নতুনরা না আসা পর্যন্ত যেন প্রাণই ফিরছে না। কমিশনের মধ্যমণি যে সিইসিসহ চার কমিশনার তা গত ছয় দিনে স্পষ্ট হয়েছে।

রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ঘুরে দেখা যায় আগের মতো কর্মব্যস্ততা নেই কোথাও। সিইসিসহ চার কমিশনারকে বরণ করে নিতে ধোয়া-মোছাসহ নতুন করে গোছানো হচ্ছে সচিবালয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেওয়ার পরদিনই ১৫ ফেব্রুয়ারি সিইসিসহ সব কমিশনারের কক্ষের সামনে থাকা নামফলক থেকে তাদের নাম সরিয়ে ফেলা হয়। 

বর্তমানে সিইসিসহ অন্যান্য চার কমিশনারের রুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষের সামনের ফোয়ারাও সাজানো হচ্ছে নতুন করে। এছাড়া প্রত্যেক কমিশনারের কক্ষের ভেতরে রং করা থেকে শুরু করে চেয়ার-টেবিল সবকিছুই পরিষ্কার করে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।  

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটি ইতোমধ্যেই অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। 

আজ (রোববার) বিকেলে সার্চ কমিটির বৈঠকে এই ২০ জনের নাম থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে নতুন কমিশনে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। এর মধ্যে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাবেন। জানা গেছে, আগামী ২৩ বা ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

ইসির যুগ্মসচিব ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, গত ছয় দিন ধরে সিইসি ও কমিশনার-শূন্য রয়েছে সচিবালয়। সিইসিসহ কমিশনারদের এখতিয়ারভুক্ত কাজগুলো আপাতত বন্ধ আছে। তবে আমাদের দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। নতুন কমিশন এলে প্রাণ ফিরে পাবে কমিশন সচিবালয়।

তিনি বলেন, শিগগিরই নতুন কমিশন যোগ দেবে। এজন্য কমিশনারদের কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি কমিশনারদের দপ্তরের সবকিছু ঠিকঠাক করা হচ্ছে। নামফলক থেকে আগের সিইসি ও ইসিদের নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নতুন যারা আসবেন, তাদের নাম লেখা হবে।

সিইসি কেএম নুরুল হুদা ও ইসি মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন।  

এসআর/আরএইচ/জেএস