সাড়ে পাঁচ বছরে নিজেদের সার্ভারের তথ্য সেবা দিয়ে ২৮৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা আয় করেছে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ (এনআইডি)। ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি সেবা থেকে এ আয় করেছে সংস্থাটি। এনআইডি’র সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এনআইডি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হারানো এনআইডি উত্তোলন ফি, এনআইডি সংশোধনের আবেদনের ফি, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এনআইডির তথ্য যাচাই ফি ইত্যাদি খাত থেকে এ আয় হয়েছে।

যে সেবা দিয়ে এনআইডি’র আয় হচ্ছে— সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য সরবরাহ করে, মোবাইল অপারেটরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই সেবার ক্ষেত্রে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) এর মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে ব্যক্তি শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পোর্টালের মাধ্যমে তথ্য যাচাই এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ওয়াইল্ড সার্চের মাধ্যমে ব্যক্তি শনাক্তকরণ।

এ প্রসঙ্গে এনআইডি’র মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বর্তমানে ইসির তথ্য ভাণ্ডারে ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জন ভোটারের তথ্য রয়েছে। আর আমাদের সার্ভার থেকে এনআইডি’র সেবা নিচ্ছে ১৫৮টি প্রতিষ্ঠান। এনআইডি’র সেবা নিতে ইচ্ছুক আরও ৭ থেকে ৮টা প্রতিষ্ঠান লাইনে আছে। আমরা তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।’

মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে সেবা নিতে হলে ফি দিতে হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা হিটের জন্য এক টাকা আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক হিটের জন্য দুই টাকা করে পে করতে হয়। এই ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিয়ে এনআইডি অর্থ আয় করেছে। তবে কোভিডকালে আমরা সব সেবা ফ্রি দিয়েছি।’

এসআর/এসএসএইচ