গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ৫ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অমান্য, চালান জমার সঠিকতা যথাযথভাবে যাচাইবাছাই ছাড়া, প্রতারণা ও জালিয়াতি করে সরকারি মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্দ দেয়ার ঘটনায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ৫ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ।
বিজ্ঞাপন
মামলার আসামিরা হলেন— জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন নির্বাহী প্রকৌশলী এ কিউ এম শাহজালাল মজুমদার, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এস্টেট) নাসিরাবাদ ও বর্তমানে বগুড়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এস্টেট) রাজু আহম্মেদ, প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এস্টেট) ও বর্তমানে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ একরামুল কবীর ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এস্টেট) নাসির উদ্দিন। এছাড়াও মামলার আসামি করা হয়েছে গ্রাহক মোহাম্মদ আলম শিকদার ওরফে মোহাম্মদ আলমকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পারস্পরিক যোগসাজশে নিজে লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে হাউজিং বরাদ্দকরণ কমিটির ১৯৯১ সালের ২০ ডিসেম্বরের বোর্ড সভার সিদ্ধান্তকে অমান্য করে, চালান জমার সঠিকতা যথাযথভাবে যাচাইবাছাই ছাড়া, প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জাল চালান তৈরি পূর্বক তা খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে এবং অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি/বাণিজ্যিক প্লট আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রদান করে, নামমাত্র ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬৭ টাকা মূল্য পরিশোধের আদেশ দিয়ে, কথিত বরাদ্দগ্রহীতা মোহাম্মদ আলমের পক্ষে দায়মুক্তি সনদপত্র প্রদান করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঘটনাটি ঘটে।
কেএম/এইচকে