গাইবান্ধা থেকে ইজিবাইক ও ব্যাটারি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযুক্তরা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় আব্দুল মজিদ মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে খুনও করেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এ খুনের রহস্য উদঘাটন করা গেছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। 

গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের সদস্যরা হলেন; মো. মিরু মিয়া (২৪), মো.লাজু মিয়া (২৪),মো. সাগর মণ্ডল (৪২) ও মো. বেলাল চৌধুরী (৪০)।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানী মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

মুক্তা ধর বলেন, সম্প্রতি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাসমূহ, যেমন- গাইবান্ধা, বগুড়া, পঞ্চগড়, রংপুর, পাবনা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারী চক্রের অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়। ছিনতাইকালে যাত্রী বা চালক বাধা দিলে চক্রটি তাদের খুন করত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এমনই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন আব্দুল মজিদ মিয়া। এ বিষয়ে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই আমরা এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করি। পরে গতকাল গাইবান্ধার জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, খুন হওয়া আব্দুল মজিদ মিয়া পেশায় ইজিবাইকচালক। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় খোলাবাড়ি এলাকা থেকে সাদুল্যাপুর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য অভিযুক্তরা আব্দুল মজিদের ইজিবাইক ভাড়া করে।  সাদুল্যাপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানোর পর আব্দুল মজিদ তাদের নেমে যাওয়ার জন্য বললে তারা আরও একটু সামনে যাওয়ার কথা বলে। বাসস্ট্যান্ড থেকে বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর অভিযুক্তরা চালককে মাথায় আঘাত দিয়ে হত্যার পর ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা ইজিবাইকটি বগুড়ার কামারগাড়ির পুকুরপাড় মার্কেটে 'মেসার্স রাফি ভাঙারি' নামে একটি দোকানে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। 

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 

এমএসি/এসকেডি