প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা এই পাঁচ বছরে দেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনসহ প্রায় ৬ হাজার ৬৯০টি নির্বাচন করেছি। তবে কিছু নির্বাচন বিভিন্ন কারণে বাকি রয়েছে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের লেকভিউ চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন সিইসি এই কথা বলেন। 

সিইসি বলেন, গত পাচঁ বছরে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাজ করতে গিয়ে হয়তো ছোট-খাট কিছু ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। তবে আমি এবং আমার কমিশন চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চটা দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আমাদের সময়ে নানা ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কিছু কিছু কাজে আমরা সফল হইনি কারণ করোনার জন্য গত ২ বছর আমরা পিছিয়ে গেছি। তারপরও আমাদের চেষ্টা ছিল। 

সিইসি বলেন, দায়িত্ব পালনে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারপরেও সফলভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। তবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছু ভুল হয়েছে। শতভাগ সফলতা অর্জন করতে পারেনি। নির্বাচনে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বলেও জানান তিনি।

নূরুল হুদা বলেন, গত ৫ বছর নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। ইভিএমএ ভোটগ্রহণ কমিশনের বড় সাফল্য। আইনের মাধ্যমে নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা ছিল আমাদের।

এখান থেকে যাওয়ার পর বিব্রত বোধ করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, মোটেই না। কোনো বিব্রত অবস্থা নেই, কোনো দুর্বলতা নেই। আমরা নিরপেক্ষ থেকে কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আইনে যেভাবে বলা আছে সেভাবেই আমরা কাজ করেছি। 
 
তিনি বলেন, ২৪ হাজার ৮৮১ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। বিশেষ করে ইভিএমে। করোনার কারণে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে পারিনি। স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। ইভিএম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছি। এনআইডি সহজীকরণ করা হয়েছে। ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে।

আজ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে যাচ্ছে হুদা কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আজ। এ লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম। 

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাবেক আমলা কে এম নূরুল হুদাকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন অনুমোদন করেন। কমিশনে মাহবুব তালকুদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পাঁচ বছর দায়িত্বে তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সব সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করেন।

এসআর/এসএম