নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। নির্বাচন কমিশন গঠনে সুশীল সমাজকে প্রধান্য দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত নেওয়ার অংশ হিসেবে রোববার (‌১৩ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে ৩য় ও শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি পাওয়া যাবে না, মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হলেই হবে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সার্চ কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বিকেল ৪টার পর শুরু হওয়া বৈঠকটি চলে দুই ঘণ্টার বেশি সময়।

এতে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুছ, লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির, সাবেক অ্যাডিশনাল আইজিপি নুরুল আলম, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, প্রজন্ম৭১-এর আসিফ মুনির, ডা. নুজহাত চৌধুরী, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অর্থনীতিবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ। 

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়।

আর ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করার পর সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি।

এমএইচডি/জেডএস