টেলিফোনে একজন উপদেষ্টার উত্তর দিচ্ছিলাম : আইনমন্ত্রী
একটি নির্দোষ কথোপকথনকে ঘুঁটি বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি টেলিফোনে একজন উপদেষ্টার উত্তর দিচ্ছিলাম।’
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইনজীবী সমিতির কাছে প্রধানমন্ত্রীর ২০ কোটি টাকার প্রণোদনার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার সঙ্গে আপনার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এ বিষয়ে কী বলবেন? উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই এটার তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ব্যাপারটা হচ্ছে, যারা এই অডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করছে, তারা এতটাই দেউলিয়া যে, একটা ইনোশেন্ট (নির্দোষ) কনভারসেশনকে (কথোপকথন) তারা ঘুঁটি বানানোর চেষ্টা করছে। এর মানে হচ্ছে, তাদের কাছে কোনো হাতিয়ার নেই।’
বিজ্ঞাপন
‘ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি টেলিফোনে একজন উপদেষ্টার উত্তর দিচ্ছিলাম। তিনি একটা ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টার প্রজেক্ট... ইনফো সরকার প্রজেক্টটা, তার ব্রেইন চাইল্ড, সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। দেউলিয়া যারা, তারা এটা নিয়ে প্রচার করছে। আমার মনে হয় এটাকে তদন্ত করা হবে’, বলেন তিনি।
বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া সঠিক হবে না বলেও মনে করেন সরকারের এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটাকে গুরুত্ব দেওয়াও আমার মনে হয় সঠিক হবে না।’
কয়েকটি দল সার্চ কমিটির জন্য নাম জমা দেয়নি। যারা নাম দেয়নি তারা বলছে এই নির্বাচন কমিশনের জন্য আইন করে কোনো লাভ হবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে দুটি জিনিস, আপনার প্রশ্নের মধ্যে উত্তর রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের আন্ডারে (অধীনে) নির্বাচন করতে চান। ব্যাপারটা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ কেয়ারটেকার সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সেখানে বলা ছিল, যা হয়ে গেছে তা অবৈধ হলেও এই কেয়ারটেকার পদ্ধতিতে আরও দুই-একবার নির্বাচন করতে পারে, যদি সংসদ তাতে রাজি হয়। কিন্তু যখন আইন পাস হয় সংসদ কিন্তু সে সাজেশন গ্রহণ করেনি। সেক্ষেত্রে কেয়ারটেকার সরকারের কোনো বৈধতা নেই। এই রায়ের আলোকে কেয়ারটেকার সরকারে ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
‘দুই, যারা যাননি তারা... সার্চ কমিটি কিন্তু একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। অতীতে আইন যেহেতু ছিল না। সার্চ কমিটি যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করে কাজ করে যাচ্ছেন, সে প্রক্রিয়া তারা আগে ফলো করেননি। এখন যেটা করছেন আইনের কারণে করছেন। সবার সঙ্গে বসে একটা ঐকমত্যের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে ১০ জনের নাম সুপারিশ করার চেষ্টা করছে। যেহেতু তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন, চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, আমি সেখানে কোনো বক্তব্য রাখব না’, বলেন আনিসুল হক।
এসএইচআর/ওএফ/জেএস