জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখাটি যুক্ত করা হয়েছে। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে তাদের  মাঝে এই কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্টকার্ড পেলেন বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। 

উদ্বোধনের এই দিনে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মাঝে এই স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সব মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।

রোববার সকাল ১১টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। 

ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ও চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে একই সাথে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ, দি রেসপেকটেশসন অব দি পিপল অর্ডার, ১৯৭২, জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১ এই তিনটি আইন সম্বলিত বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করা হয়।

এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর কমিশনের ৯২তম সভায় বিষয়টি নিয়ে প্রথম নথি উপস্থাপন করা হয়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের নমুনা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করা হয়। এনআইডি দেখেই যাতে সবাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের চিনতে পারেন, সেই জন্য জাতির সূর্য সন্তানদের সম্মানে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ সংবলিত এনআইডি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় ইসি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ জন। যে সব মুক্তিযোদ্ধারা পূর্বে স্মার্টকার্ড পেয়েছেন তাদেরকেও পর্যায়ক্রমে এই বিশেষ মর্যাদা পূর্ণ স্মার্টকার্ড দেবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

এসআর/আইএসএইচ