পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ওয়াসার সামনে সমাবেশ
পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ওয়াসা ভবনের সামনেই নাগরিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কাওরান বাজার ওয়াসা ভবনের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এইনাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পানির মূল্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা হঠকারী ও দিনে দুপুরে জনগণের উপর ডাকাতি করার মত। ওয়াসা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি অনিয়ম ও বিলাসী ব্যবস্থাপনার দায়ভার জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু বৃদ্ধি পায়নি গ্রাহক সেবার মান। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি এবং কোন কোন এলাকায় সরবরাহ না থাকলেও গ্রাহকের কাছ থেকে ঠিকই অর্থ আদায় করা হয়।
বিজ্ঞাপন
তারা আরও বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও দুই দফা মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে যা অমানবিক। কিন্তু লোকসানের পরিমাণ সমানতালে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় কেবলমাত্র মূল্যবৃদ্ধি সমস্যা সমাধানের উপায় নয়। বর্তমানে ১ হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ পরে ২৫ টাকা, তবে বিক্রি করা হয় ১৫ টাকায়, বাকি ১০ টাকা সরকার ভর্তুকি প্রদান করে। আমরা মনে করি এক টাকাও ভর্তুকির প্রয়োজন নেই এবং মূল্য আরও কমিয়ে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করে ওয়াসাকে লাভজনক করা সম্ভব। যে পরিমাণ পানি উৎপাদিত হয় সে পরিমাণ পানি বিক্রি করা হয় কিনা এইসব মিলালেই একটি ধারণা পাওয়া যাবে।
বক্তারা বলেন, সিস্টেম লস, ভর্তুকি, অপচয়, দুর্নীতি ও বিলাসী ব্যবস্থাপনার খরচ নাগরিকরা বহন করতে পারে না। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সরিয়ে এবং ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনয়ন করে ডিজিটাল জবাবদিহিমূলক এবং মানসম্মত নাগরিক সেবা দেওয়ার মাধ্যমেই ভর্তুকি প্রদান না করেই লাভজনক করা সম্ভব। তাই মূল্যবৃদ্ধি সিদ্ধান্ত বাতিল করে মূল্য কমিয়ে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করুন।
বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স সহ সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।
এএসএস/আইএসএইচ