মো. ছালেহ আহমদ শাহীন (২৪), চাকরি করতেন চট্টগ্রামের একটি দোকানে। এক পর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন মাদকে। পাশাপাশি শুরু করেন অনলাইনে জুয়া। বেতনের টাকার সবই জুয়ায় চলে যায়।

মাদক ও জুয়ায় টাকা বিলিয়ে সংকটে পড়েন শাহীন। অর্থের যোগান দিতে গিয়ে পাশের দোকানের শাটারের  তালা ভেঙে আট লাখ ২৮ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যান নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়িতে। 

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বুধবার নোয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন। 

তিনি বলেন,  শাহী এন্টারপ্রাইজ নামে ফলের দোকানে চাকরি করতেন শাহীন। ৩ ফেব্রুয়ারি পাশের দোকান রুহুল আমিন এন্টারপ্রাইজ থেকে ৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিক ইমতিয়াজ কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

ওসি বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে তিনটার দিকে দোকানের শাটারে তালা দিয়ে পাশের একটি দোকানে চা পান করতে যান রুহুল আমিন এন্টারপ্রাইজের মালিক ইমতিয়াজ। চায়ের বিল দিতে গিয়ে দেখেন পকেটে টাকা নেই।

এ সময় দোকানের দিকে চোখ পড়তেই ইমতিয়াজ দেখেন দক্ষিণ দিকের শাটার খুলে দেখেন আসামি মো. শাহীন দোকানের পূর্ব পাশের শাটার খুলে দৌঁড় পালিয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি শাহীনের মালিককে জানান। 

পরে ইমতিয়াজ দোকানের কর্মচারীদের নিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শাহীনকে শনাক্ত করেন। মামলা দায়েরের পর বুধবার নোয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে শাহীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।   

গ্রেপ্তারের পর শাহীন ছয় লাখ ২৮ হাজার টাকা চুরির কথা স্বীকার করেছেন। পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুলিশের হাতে ফেরত দিয়েছেন। শাটার ও ক্যাশ বাক্স ভাঙার জন্য ব্যাগে কাটিং প্লাস, স্ক্রু ড্রাইভার ইত্যাদি রাখতেন তিনি। 

কেএম/আরএইচ