ইউপি নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭২.২ শতাংশ, সহিংসতায় মারা গেছে ১শ
অষ্টম ধাপে ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আট ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সব মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৭২.২ শতাংশ। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট চার হাজার ১৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদে। নির্বাচনি সহিংসতায় প্রাণ গেছে ১০০ জনের। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৩৭১ জন।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অষ্টম ধাপ এবং পুরো দশম ইউপি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন অশোক কুমার। এ সময় ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান ও যুগ্মসচিব ফরহাদ আহম্মদ খান উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে অষ্টম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা। অষ্টম ধাপে দুটি ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মোট আট ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৩৭১ জন চেয়ারম্যান। সারা দেশে ৩৯৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এরপরও কোথাও কোথাও সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এতে কিছু প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এজন্য নির্বাচন কমিশন দুঃখ প্রকাশ করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান একটি মহাকর্মযজ্ঞ। এতে ব্যাপক জনবলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী; আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্ট-গার্ড ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএমের ধীরগতির বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক হয়েছে আজ। ইভিএমের কারিগরি বিষয়ের সঙ্গে যারা প্রথম থেকে জড়িত ছিলেন, তারা মতামত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ইভিএমে ভোট দিতে প্রথম ধাপে ফিঙ্গার না মিললে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড সময় নেয়। তারপর আবার ফিঙ্গার দিতে হয়। এজন্য ইভিএমে ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে মেশিনের কারণে ধীরগতি হচ্ছে না।
অতিরিক্ত সচিব জানান, কমিটির সভায় বেশ কিছু সুপারিশ এসেছে। সুপারিশগুলো একত্রিত করে পরবর্তী কমিশনের অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হবে। ইভিএমগুলো আরও বেশি ব্যবহারযোগ্য কীভাবে করা যায়, তা দেখা হবে।
তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে ইভিএমের জন্য গবেষণাগার নির্মাণ করে এগুলো আরও যুগোপযোগী করা। ইভিএমগুলো হ্যাকারদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। এ আয়োজন করতে পারলে হ্যাকাররা ইভিএমের অনেক ত্রুটি বের করে আনতে পারবে।
এসআর/আরএইচ/জেএস