যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশটিকে এখনও চূড়ান্ত সম্মতিপত্র পাঠায়নি বাংলাদেশ। তবে দেশটির লেহি আইনের আওতায় নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অনুদান অব্যাহত রাখতে হলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও সংশোধিত আইনে সম্মতি জানাতে হবে।

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মার্কিন কংগ্রেস লেহি আইনটিতে সংশোধনী এনেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অনুদানের সহযোগিতার তালিকায় থাকা কোনো দেশের সংশোধিত আইনের বিষয়ে নিজেদের মতামত যুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। অনুদান অব্যাহত রাখতে হলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও সংশোধিত আইনে সম্মতি জানাতে হবে।

গত বছরের শেষের দিকে লেহি আইনে সংশোধনী এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ আইন অনুযায়ী কোনো দেশের কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ইউনিটের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলে তারা সহায়তা পাওয়ার যোগ্য হবে না। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী সহায়তা গ্রহণকারী দেশকে বিষয়টি মেনে চলতে লিখিত চুক্তি করতে হবে। লিখিত চুক্তি করার আগে কোনো নিরাপত্তা বাহিনী কিংবা বাহিনীগুলোকে আর্থিক সহায়তার জন্য মনোনীত করা হবে না।

সম্মতিপত্র পাঠানো নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে এখনও সম্মতিপত্র পাঠানো হয়নি। এখনও বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই আছে।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সহযোগিতা পেতে হলে সদ্য শেষ হওয়া বছরের শেষ মাসের শুরুর দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে দেশটি। ওয়াশিংটন-ঢাকাকে এ সংক্রান্ত চুক্তি করতে গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুরোধ জানিয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছে। সে অনুযায়ী গত ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্মতিপত্র পাঠানোর কথা ছিল ঢাকার। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত আলোচনা শেষ করতে না পারায় দ্বিতীয় দফায় সময় চেয়েছে ঢাকা। সময় চাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেনি ঢাকা।

গত ২৮ ডিসেম্বর নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য মার্কিন অনুদান বিষয়ক লেহি চুক্তির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছিলেন, মার্কিন অনুদান পেতে সম্মতিপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিজেদের রক্ষাকবচ বা নিরাপত্তাবেষ্টনী ঠিক রেখেই সামনে এগোবে। 

এনআই/এইচকে