রাজধানীর ফুলবাড়ীয়ার জাকের সুপার মার্কেটের ছাদ থেকে ফেলে এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফিরোজকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বলছে পুলিশেরে এলিট ফোর্স র‍্যাব।
 
র‍্যাবের দাবি, বাকি গ্রেফতার পাঁচজনই ফিরোজ বাহিনীর সদস্য। ফিরোজ ফুলবাড়িয়া জাকের সুপার মার্কেটে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। সেই বাহিনীকে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা আদায়ে ব্যবহার করত। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফুলবাড়িয়া জাকের সুপার মার্কেটে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও আধিপত্যকে কেন্দ্র করে রাকিব শেখ (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে ফিরোজ বাহিনী। 

চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত ফিরোজসহ ছয় আসামিকে নরসিংদী, গাজীপুর ও রাজধানীর গুলিস্তান থেকে গ্রেফতারের এ তথ্য জানিয়েছে র‍্যাব-১০।

আজ রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।

তিনি বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফুলবাড়িয়া জাকের সুপার মার্কেটে ক্ষমতার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে রাকিব শেখ (৪৮) নামে একজনকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে বংশাল থানায় ১৮ জন এজাহারনামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১০। ওই ঘটনায় র‍্যাব জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১০ এর ৩টি দল নরসিংদী, গাজীপুর ও রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছয়জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন ফিরোজ আহম্মেদ (৫০), হুমায়ুন কবির বিটু (৫৩), নাসির উদ্দিন (৫০), মাহমুদুল হাসান রাসেল (৪১), হাজী মো. ফরিদ ভূইয়া ওরফে ছোট ফরিদ (৩৯), আলম শিকদার (৫০)।
 
র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান দাবি করেন, কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে বা বাধা দিলে গ্রেফতার ফিরোজ আহম্মেদের সন্ত্রাসী পেটুয়া বাহিনী মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করত বলে জানা গেছে। গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জেইউ/এইচকে