চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, এই চক্রটি ইঞ্জিন  ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি করে আসছিল। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ছলিমপুর এলাকা থেকে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার হওয়া চোর চক্রের সদস্যরা হলেন;  আবুল কালাম আজাদ বাঁচা (২২), সাকিব (২৩) ও দোলন দাশ (২৩)।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুছড়া এলাকার হাফেজ ইদ্রিসের বাড়ির নিচতলায় পার্কিং করা একটি মোটরসাইকেল গত ৬ জানুয়ারি চুরি হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের মালিক বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি অভিযোগ দেন। পরে বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সীতাকুণ্ড থানার সলিমপুর এলাকা থেকে আবুল কালাম আজাদ ও সাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতার দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পরিবর্তনকারী মিস্ত্রি দোলনকে গ্রেফতার করা হয়। 

তিনি বলেন, আবুল কালাম আজাদ বাঁচা পার্কিং থেকে গাড়ি চুরি করে। সে একসময় হাটহাজারীর চৌধুরীহাট এলাকায় মোটরসাইকেল গ্যারেজে মেকানিকের কাজ করত। ওই সময় চৌধুরীহাট এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ব্যাপক মারধর করে। এ ঘটনার পর সে ওই এলাকা ছেড়ে সীতাকুণ্ড থানার জলিল টেক্সটাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে। আবারও চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় বিক্রয়ে জড়িয়ে পড়ে বাঁচা। আর আসামি সাকিব আবুল কালাম চৌধুরী বাঁচার পূর্ব পরিচিতি। এ জন্য তারা বালুছড়া,  চৌধুরীর হাট ও অক্সিজেন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে সেগুলো সাকিবের গ্যারেজে নিয়ে বিক্রি করত। 

ওসি আরও বলেন,  চুরি করা মোটরসাইকেলগুলো কদমতলী এলাকার মোটর মেকানিক দোলন দাশের মাধ্যমে ইঞ্জিন নম্বর ও  চেসিস নম্বর পরিবর্তন করা হতো। তারপর বিআরটিএ থেকে পূর্বে রেজিস্ট্রেশন হওয়া নম্বর চুরি হওয়া মোটরসাইকেলে প্রতিস্থাপন করে। এরপর বিআরটিএ এর জাল কাগজপত্র তৈরি করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করত তারা। আবুল কালাম চৌধুরী বাঁচার বিরুদ্ধে খুলশী ও হাটহাজারী থানায় দুটি মামলা রয়েছে। 

কেএম/এসকেডি