সরকারের কাছ থেকে গত দুই বছরে বকেয়া ২৩ কোটি টাকা না পাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধের ঘোষণা দেয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সার্ভিস বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেড।

কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বিল বকেয়ার বিষয়টি সমাধান করায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটা থেকে কিডনি ডায়ালাইসিস ফের শুরু হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। দুপুর আড়াইটার পরে আমাদের কিছু রি-এজেন্ট দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কিডনি ডায়ালাইসিস সেবাটি চালু করা হয়েছে। স্যান্ডর কর্তৃপক্ষ এখন হাসপাতালে সেবা দিচ্ছে। 

এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কিডনি সেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন কিডনি রোগীরা।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি ডায়ালাইসিস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সার্ভিস বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেড এক নোটিশে জানায়, ডায়ালাইসিসের মত জরুরি সেবা বন্ধ করার কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই কিন্তু এ সেবা চালিয়ে যাবার কোনো অবস্থাও আমাদের নেই। ২ বছরের বেশি সময়ের বকেয়া জটিলতা অমিমাংসিত থাকায় বর্তমানে আমাদের তহবিল শূন্য। এ কারণে কাঁচামাল ক্রয়ে অসমর্থ হওয়ার ফলে এ জরুরি সেবা হয়তোবা পরবর্তী দুই-এক দিনের বেশি চলমান রাখা কোনভাবেই সম্ভব হবে না।

প্রতিদিন ডায়ালাইসিস সেবা চলমান রাখার জন্য পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার কাঁচামাল প্রয়োজন যা সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে বাকিতে ক্রয় করতে হয়। ২০২০ এবং ২০২১ সালে (করোনাকালীন সময়) প্রদত্ত সেশনের বিপরীতে কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের মোট বকেয়া ২৩ কোটি টাকা এভাবে দেনাদার ও পাওনাদারদের পরিমাণ বাড়িয়ে বিশাল দায় নিয়ে সঠিকভাবে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম চালানো অসম্ভব। 

সর্বশেষ ৪ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ ৭ দিনের মধ্যে অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের নিশ্চয়তা প্রদান করলে সাপ্লায়ারদেরকে পোস্ট ভেটেড চেক দিয়ে ও সরকারি চিঠি প্রদর্শন করে সাপ্লাইচেইন কার্যক্রম অব্যহত রাখি যা এ মুহুর্তে সাপ্লায়ারদের কাছে আর গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না বিধায় কতিপয় সাপ্লায়ার ইতোমধ্যে সরবরাহ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।

কেএম/আইএসএইচ