পটুয়াখালী জেলার বাউফল পৌরসভা ভোটের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ‘ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ পৌর নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণের মাধ্যমে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ এ শুনানি করে নিষ্পত্তি করা হবে। 

বুধবার (২ জানুয়ারি) ইসির আইন শাখা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই পৌরসভার মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ‘যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং ‘জেলা ও দায়রা জজ’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৪ ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন ও বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এই পৌরসভা নির্বাচনের সব বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল গেজেটে প্রকাশের তারিখ থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা যাবে এবং এ ধরনের কোনো মামলা দায়ের করা হলে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল মামলা দায়ের হওয়ার তারিখ থেকে একশত আশি দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়ে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হলে ওই ব্যক্তি রায় ঘোষণার তারিখ থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে পারবেন এবং এ ধরনের কোনো আপিল দায়ের করা হলে নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল দায়ের হওয়ার তারিখ থেকে একশত বিশ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

এসআর/জেডএস