আসামি শাহ জামালকে ভাসমান পান দোকানদার সেজে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী ১৯ মামলায় আসামি শাহ জামালকে ভাসমান পান দোকানদার সেজে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে চকবাজার থানার চন্দনপুরা সাফরান ভিলার দ্বিতীয় তলার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার  শাহ জামাল (৫৫) চট্টগ্রামের বৃহত্তর পাইকারিবাজার খাতুনগঞ্জের ২২৮ নং শেখ মার্কেটের মেসার্স শাহ জামাল ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শাহ জামাল খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকার উপরে আত্মসাৎ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, শাহ জামালকে ২০২০ সালে ১৬টি সিআর গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু  জামিনে বের হয়ে এসে তিনি পুনরায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন বলেন, নিজেকে আত্মগোপন করার জন্য দেশে থেকেই শাহ জামাল বিদেশ চলে গেছেন বলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট প্রচার করে আসছিল। তার এক ছেলে অস্ট্রেলিয়া ও এক ছেলে কানাডায় থাকে। যে কারণে অনেকে তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি বিশ্বাস করে। কিন্তু  শাহ জামাল বিদেশে না গিয়া নিজেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকতেন। 

তিনি বলেন, শাহ জামালকে  গ্রেফতারের জন্য  কোতোয়ালী থানার এএসআই সাইফুল আলম ও এএসআই রণেশ বড়ুয়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে খুঁজতে থাকেন। তারা কখনো পান দোকানদার, কখনো চা দোকানদার, কখনো মার্কেটিং কোম্পানির সেলসম্যান পরিচয়ে খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জ, চকবাজার, চন্দনপুরা ও আন্দরকিল্লা এলাকায় খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে গোপন সংবাদের  মাধ্যমে জানতে পারেন, আসামি শাহ জামাল তার বাসায় অবস্থান করছেন। এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মঙ্গলবার  রাত ৮টার দিকে পুলিশ সদস্যরা আসামির বাসার সামনে ভাসমান পান দোকানদার সেজে অবস্থান করেন। পরে তার বাসায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযান পরিচালনা করে বাসার ভেতরে থাকা একটি সানসেট বক্সের ভেতর থেকে জামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

ওসি বলেন, আসামি একজন প্রতারক। তার বিরুদ্ধে ৪টি সিআর সাজা ও ৩টি সিআর গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ কোতোয়ালী ও চকবাজার থানায় মোট ১৯টি গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।

কেএম/এইচকে