দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার একটি ডোজও গ্রহণ করেননি।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ে মারা যাওয়া ১৪০ জনের মধ্যে মাত্র ৩১ জন (২২ দশমিক ১ শতাংশ) করোনার টিকা নিয়েছিলেন। এই ৩১ জনের মধ্যে ছয়জন প্রথম ডোজ, ২৩ জন দ্বিতীয় ডোজ, দুই জন বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন। আর অবশিষ্ট ১০৯ জনই (৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ) করোনার টিকার কোনো ডোজই গ্রহণ করেননি।

আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও কিডনি রোগসহ কোনো না কোনো ধরনের দুরারোগ্য অসংক্রামক ব্যাধিতে (কোমরবিড) আক্রান্ত ৮৬ জন। শতকরা হার ৬১.৪ শতাংশ। 

এই সময়ে মারা যাওয়া ৮৬ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ছিল উচ্চ রক্তচাপে; ৬৫ দশমিক ১ শতাংশ। এরপর রয়েছে ডায়াবেটিস; এতে আক্রান্ত ছিল ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ। কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিল ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ, হৃদরোগে আক্রান্ত ছিল ২০ দশমিক ৯ শতাংশ।

এছাড়াও বক্ষব্যাধি ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ক্যানসারে আক্রান্ত ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, স্ট্রোক ২ দশমিক ৩ শতাংশ, বাত জ্বর ২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং গ্যাস্ট্রোলিভারজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মারা যাওয়াদের কেউ কেউ দুই বা ততোধিক রোগে আক্রান্ত ছিল। তবে গত সপ্তাহে থাইরয়েডজনিত এবং মানসিক সমস্যাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।

করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৯৪ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫০১ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৩ জনে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

টিআই/জেডএস