ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের একটি লকার ভেঙে শতাধিক চেক পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭টি এবং সিটি ব্যাংকের ১০টি চেক রয়েছে। পাসওয়ার্ড না দেওয়া আরও একটি লকার ভাঙার কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ইভ্যালির কার্যালয় থেকে লকারগুলো বের করা হয়। সেখানে উপস্থিত আছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এজন্য আদালতের নিযুক্ত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এ দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দুটির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। যে কারণে লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়।

আদালত গঠিত বোর্ড সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি রেজাউল আহসান, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মো. শামীম আজিজ, অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, এফসিএ অ্যান্ড এফসিএমএ এর সাবেক চিফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ এবং বোর্ডের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এছাড়া উপস্থিত রয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।

উল্লেখ্য, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির নাম দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।

জেইউ/আরএম/জেডএস