নতুন বছরের শুরু থেকেই দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণের হারও বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। এ অবস্থায় সংক্রমণ রোধে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। তারপরও সংক্রমণের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না।

এবার করোনার থাবা পড়েছে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়েও। সর্বশেষ সোমবার পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৬৩ জন কর্মকর্তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব (পিএস) মাহমুদ ইবনে কাসেম আজ দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত মন্ত্রিরিষদ বিভাগের ৬৩ জন কর্মকর্তার করোনায় আক্রান্তের তথ্য রয়েছে।

মাহমুদ ইবনে কাসেম বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য আসছে। অনেকে এরই মধ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন। তাদের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এখন কতজন আক্রান্ত তা বলা মুশকিল। তথ্য হালনাগাদ করা হলে তা স্পষ্ট হবে।

তিনি আরও জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এখন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তার মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অফিসে অর্ধেক জনবল দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে। ২৩ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

তাতে বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৪ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শর্ত সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তার মধ্যে ছিল; সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।

গত ২৪ জানুয়ারি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিসগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়ে পরিচালনার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

পিএসডি/এসকেডি