কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জন্য জাপানের ২০ লাখ মার্কিন ডলারের জরুরি অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

সোমবার সংস্থা দুটি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ইউএনএইচসিআর জানায়, ভাসানচরে মানবিক সহায়তা এবং এ দ্বীপে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর কার্যক্রমের সম্পূরক সহায়তা হিসেবে ২০ লাখ মার্কিন ডলার জরুরি অনুদান দিয়েছে জাপান সরকার।

গত বছরের ৯ অক্টোবর জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পর ভাসানচরে জাতিসংঘের মানবিক সাড়াদানের অংশ হিসেবে এ অনুদান দেওয়া হয়। ওই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে এ দ্বীপে মানবিক সাড়াদানের জন্য একটি সার্বজনীন সুরক্ষা ও নীতি কাঠামো তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, জাপানের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ভাসানচরে জাতিসংঘের কার্যক্রমে কোনো দাতার সর্বপ্রথম এ অনুদান এ দ্বীপে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ অনুদান তাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি একাত্মতারই বহিঃপ্রকাশ।

ইয়োহানেস বলেন, জাপান সরকারের এ অনুদান ইউএনএইচসিআর ও ডব্লিউএফপিকে মৌলিক কিছু বিষয়ে সেবাদান ও বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন : সুরক্ষা, দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, খাদ্য, পুষ্টি, জীবিকা ও স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে সাহায্য করবে, যা এ দ্বীপে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মানসম্মত জীবনযাপন করতে ও ভবিষ্যতে মিয়ানমারে টেকসইভাবে প্রত্যাবর্তনের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, জাতিসংঘের এ মানবিক সাড়াদান ভাসানচরে বর্তমানে স্থানীয় এনজিওগুলোর দেওয়া সহায়তার সম্পূরক সহায়তা হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, জাপানের অনুদান এ দ্বীপে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জরুরি প্রয়োজনগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করতে এবং এ দ্বীপে লজিস্টিকস সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। আমরা আশা করি, অতি ঝুঁকিপূর্ণ এ সময়ে বাংলাদেশকে এবং এ দ্বীপ ও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে জাপানের পাশাপাশি অন্যান্য দাতাগোষ্ঠীও এগিয়ে আসবে।

এনআই/আরএইচ