ইউরোপে অভিবাসনের প্রত্যাশায় ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ঠান্ডায় মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে এক বার্তায় এ তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য আমরা ইতালির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমাদের অনিশ্চিত শর্তে জানানো হয়েছে যে আগামীকাল (সোমবার) ইতালিতে দাফন করা হবে না। আমরা ইতালি পক্ষকে যেকোনো উপায়ে দাফন বন্ধ করার জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ করেছি এবং আমরা বলেছি, লাশ বাংলাদেশে পাঠাতে হবে; তারা সম্মত হয়েছে।’

ভূমধ্যসাগরে মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির লাশ ইতালিতে দাফন করা হবে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে। ইতালি সিসিলি দ্বীপের অ্যাগ্রিজেন্তোর পালমা দি মন্তেকিয়ারোর মেয়র স্তেফানো কাস্তেল্লিনোর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় গণমাধ্যম।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশি নাগরিকের পরিচয় জানায়। দূতাবাস জানিয়েছে, মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি মাদারীপুরে। বাকি দুজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে।

দূতাবাস বলছে, মারা যাওয়া ওই বাংলাদেশিদের সঙ্গে কোনো ধরনের ডকুমেন্ট না থাকায় পরিচয় শনাক্তে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। পরে উদ্ধার হওয়া বাকিদের সঙ্গে কথা বলে এ সাত বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা হয়।

মৃত বাংলাদেশিরা হলেন— মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামের ইমরান হোসেন, পিয়ারপুর গ্রামের রতন জয় তালুকদার, ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত, মোস্তফাপুর গ্রামের জহিরুল এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার বাপ্পী।

অপর দুই জন হলেন— কিশোরগঞ্জে ভৈরব উপজেলার সাইফুল ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার মামুদপুর গ্রামের সাজ্জাদ।

এর আগে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাত বাংলাদেশির মরদেহ সিসিলি প্রদেশের এগ্রিজেন্তো এলাকার একটি মর্গে রাখা আছে। মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।

এনআই/এসএসএইচ