জনসনের টিকা পাবেন ভাসমান জনগোষ্ঠী : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি জেনসেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেশের ভাসমান জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমরা কিছু জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা পেয়েছি। খুব শিগগিরই সেগুলো দেওয়া শুরু হবে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, জনসনের টিকা এক ডোজের হওয়ায় আমরা সেগুলো ভাসমান ও দিনমজুরদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ তাদের নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা না থাকায় তাদের খোঁজ সবসময় পাওয়া যায় না। একবার এক ডোজ দিয়ে দিলে পরে তাদের আর খুঁজতে হবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, এখন পর্যন্ত দেশে ১৫ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ কোটি প্রথম ডোজ ও ছয় কোটির মতো দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকায় আমরা সফল হয়েছি। এক কোটি ৪০ লাখ ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা গত এক মাসে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা দিয়েছি। এটা ভালো লক্ষণ। যারা কাজ করছে তাদেরকে ধন্যবাদ।
মন্ত্রী বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। আরেক ফেব্রুয়ারি চলে এসেছে। আমরা আশা করছি, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। দ্বিতীয় ডোজও এগিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো জনসন অ্যান্ড জনসনের ৩ লাখ ৩৬ হাজার ডোজ করোনা টিকা দেশে এসেছে। অন্যান্য টিকার মতোই এই টিকা ইপিআইয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এই টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্য কোম্পানির টিকা যেখানে অন্তত দুই ডোজ দিতে হয়, জনসনের তৈরি এই করোনাভাইরাসের টিকা এক ডোজের। অবশ্য পরে বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
গত বছরের জুনেই জনসনের কোভিড টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিল বাংলাদেশ।
জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরীক্ষামূলক প্রয়োগে জনসন অ্যান্ড জনসনের এই টিকার ৬৬ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে করোনা প্রতিরোধে কার্যকারিতার হার ছিল ৭২ শতাংশ। তবে করোনার নতুন ধরনগুলোর বিরুদ্ধে এ টিকার কার্যকারিতা পরে ততটা পাওয়া যায়নি।
টিআই/ওএফ