১৪ লাখ ইয়াবা জব্দের মামলায় বোট মালিকের দণ্ড
১৪ লাখ পিস ইয়াবা জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় বোট মালিক রাজীব দাসকে দুই ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তিনজনকে খালাস দিয়েছেন।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৫ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় রাজিবকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত এবং একই আইনের ২১ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, মামলায় দেওয়া রায়ে উভয় দণ্ড একত্রে চলার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামি রাজীব দাস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর কথা বলেছেন আদালাত। একই রায়ে খোকন দাস, মো.জাহাঙ্গীর আলম ও মো. সেকান্দার আলী তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বন্দরের বহির্নোঙ্গর থেকে ‘এফবি রাজীব’ নামে কাঠের তৈরি একটি মাছ ধরার বোটের অভিযান পরিচালনা করে ১৪ লাখ ইয়াবা জব্দ করে নৌবাহিনী। এসময় নৌকাটিও জব্দ করা হয়।
পরে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা ১৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় জিডি করেন। ইয়াবা উদ্ধারের সাত মাস পর তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মেট্রো-উপ অঞ্চলের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক চৌধুরী ইমরুল হাসান। মামলায় বোট মালিক রাজিব দাশ ও তার ভাই খোকন দাশ এবং জাহাঙ্গির আলম ও ট্রলারের মাঝি মো. সেকান্দারকে আসামি করা হয়। আদালতে বিভিন্ন সময়ে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
কেএম/জেডএস